নারায়ণগঞ্জ ১২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে হাইওয়ে মহাসড়কের পাশে শতাধিক কম্প্রেসার দোকানে বিদ্যুৎ চুরি

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৫৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২
  • ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ সিদ্ধিরগঞ্জে হাইওয়ে সরকারি জায়গা দখল ও অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে নিশ্চিন্তে ব্যবসা করে যাচ্ছে কম্প্রেসার হওয়া মেশিন দোকান মালিকরা। কাঁচপুর ব্রীজের পশ্চিম পাড় থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত হাইওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু’পাশে প্রায় শতাধিক হাওয়া মেশিন বসানো হয়েছে। সওজ, ডিপিডিসি ও হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ অবৈধ এসব হাওয়া মেশিন দোকান মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিনস্থ বহু সরকারি জায়গায় রয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এসব সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল ও দোকানপাট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বহু টায়ারের দোকান। এসব দোকানে বসানো হয়েছে কম্প্রেসার হাওয়া মেশিন। এসব মেশিনে অবৈধভাবে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। একদিকে সরকারি জায়গা দখল অপর দিকে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে এসব হাওয়া মেশিন দিন রাত অনবরত চলছে। সরকারি জমি দখল করে এসব দোকান গড়ে উঠলেও সওজ কর্তৃপক্ষ নিরব। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না ডিপিডিসি। মহাসড়কের উপর দীর্ঘক্ষণ গাড়ি দাঁড় করিয়ে চাকা পরিবর্তন ও হাওয়া দিতে গিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। বিঘœ ঘটছে পথচারীদের চলাচলে। মহাসড়কের দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ও সাইনবোর্ড পুলিশ ক্যাম্পের টিআই ও সার্জেন্টরা এসব হাওয়া মেশিন দোকান মালিকদের বিরুদ্ধে নিচ্ছেন না কোন ব্যবস্থা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাঁচপুর সেতু থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় শতাধিক কম্প্রেসার হাওয়া মেশিন রয়েছে। তার মধ্যে সড়কের উত্তর পাশে মুক্তিনগর থেকে টায়ারমার্কেটের মাদানীনগর ও পাইনাদী থেকে শিমরাইল মোড় ডাচ বাংলা ব্যাংক পর্যন্ত পৌনে এক’কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে ২৫’টি মেশিন। সবগুলো মেশিন বসানো হয়েছে সরকারি জায়গা দখল করে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কোন দোকান মালিক কথা বলতে রাজি হয়নি। অনেকই বিদ্যুৎ সংযোগ বৈধ দাবি করলেও বাস্তবে দেখা গেছে আশপাশের বাড়ী কিংবা বড় দোকান থেকে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তাদের নিজস্ব কোন মিটার নেই।
বিদ্যুৎ সংযোগ অবৈধ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান স্থানীয় ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ।
শিমরাইল ও সাইনবোর্ডের দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশের টিআই(প্রশাসন) একে এম সরফুদ্দিন বলেন, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়টি ডিপিডিসির আওতায়। দোকানগুলো মহাসড়কের সরকারি জায়গায় কিনা আমার জানা নেই। তবে মহসড়কের সীমানায় কোন কম্প্রেসার মেশিনের দোকান থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ####

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সিদ্ধিরগঞ্জে হাইওয়ে মহাসড়কের পাশে শতাধিক কম্প্রেসার দোকানে বিদ্যুৎ চুরি

আপডেট সময় : ০১:৫৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ সিদ্ধিরগঞ্জে হাইওয়ে সরকারি জায়গা দখল ও অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে নিশ্চিন্তে ব্যবসা করে যাচ্ছে কম্প্রেসার হওয়া মেশিন দোকান মালিকরা। কাঁচপুর ব্রীজের পশ্চিম পাড় থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত হাইওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু’পাশে প্রায় শতাধিক হাওয়া মেশিন বসানো হয়েছে। সওজ, ডিপিডিসি ও হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ অবৈধ এসব হাওয়া মেশিন দোকান মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিনস্থ বহু সরকারি জায়গায় রয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এসব সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল ও দোকানপাট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বহু টায়ারের দোকান। এসব দোকানে বসানো হয়েছে কম্প্রেসার হাওয়া মেশিন। এসব মেশিনে অবৈধভাবে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। একদিকে সরকারি জায়গা দখল অপর দিকে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে এসব হাওয়া মেশিন দিন রাত অনবরত চলছে। সরকারি জমি দখল করে এসব দোকান গড়ে উঠলেও সওজ কর্তৃপক্ষ নিরব। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না ডিপিডিসি। মহাসড়কের উপর দীর্ঘক্ষণ গাড়ি দাঁড় করিয়ে চাকা পরিবর্তন ও হাওয়া দিতে গিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। বিঘœ ঘটছে পথচারীদের চলাচলে। মহাসড়কের দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ও সাইনবোর্ড পুলিশ ক্যাম্পের টিআই ও সার্জেন্টরা এসব হাওয়া মেশিন দোকান মালিকদের বিরুদ্ধে নিচ্ছেন না কোন ব্যবস্থা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাঁচপুর সেতু থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় শতাধিক কম্প্রেসার হাওয়া মেশিন রয়েছে। তার মধ্যে সড়কের উত্তর পাশে মুক্তিনগর থেকে টায়ারমার্কেটের মাদানীনগর ও পাইনাদী থেকে শিমরাইল মোড় ডাচ বাংলা ব্যাংক পর্যন্ত পৌনে এক’কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে ২৫’টি মেশিন। সবগুলো মেশিন বসানো হয়েছে সরকারি জায়গা দখল করে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কোন দোকান মালিক কথা বলতে রাজি হয়নি। অনেকই বিদ্যুৎ সংযোগ বৈধ দাবি করলেও বাস্তবে দেখা গেছে আশপাশের বাড়ী কিংবা বড় দোকান থেকে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তাদের নিজস্ব কোন মিটার নেই।
বিদ্যুৎ সংযোগ অবৈধ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান স্থানীয় ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ।
শিমরাইল ও সাইনবোর্ডের দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশের টিআই(প্রশাসন) একে এম সরফুদ্দিন বলেন, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়টি ডিপিডিসির আওতায়। দোকানগুলো মহাসড়কের সরকারি জায়গায় কিনা আমার জানা নেই। তবে মহসড়কের সীমানায় কোন কম্প্রেসার মেশিনের দোকান থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ####