রফিক রানা, ষ্টাফ রিপোর্টার: অবশেষে দীর্ঘ আট বছর পর ৬ সেপ্টেম্বর আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রলীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উপজেলার শহীদ মঞ্জুর স্টেডিয়ামে এ সম্মেলনের আয়োজন করছে উপজেলা ছাত্রলীগ। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, উদ্বোধক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সম্মেলন বক্তা লেখক ভট্টাচার্য।
নানা চড়াই উতরাই ও প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে দেশের সুপ্রাচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আড়াইহাজার উপজেলা শাখার আজকের সাংগঠনিক অবস্থান তিল তিল করে গড়ে তোলে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রয়েছেন অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু এমপির উদ্যোগে ১৯৯১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সরকারী সফর আলী কলেজ মাঠে আড়াইহাজার উপজেলার ছাত্রলীগের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান আওয়ামীলীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মারুফুল ইসলাম মারুফকে সভাপতি ও আবু সিদ্দিক বাদলকে সাধারন সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ঠ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা দেন। ১৯৯৪ সালে আহম্মেদুল কবির উজ্জ্বলকে সভাপতি ও আলমগীর হোসেনকে সাধারন সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি করা হয়।
পরবর্তীতে রাজনৈতিক প্রতিকুলতার কারণে ১১ বছর পর ২০০৫ সালে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রফিকুল ইসলাম রফিককে সভাপতি ও দেলোয়ার হোসেনকে সাধারন সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে এলাকার ছাত্ররাজনীতির ধারা অব্যাহত রাখেন। এর নয় বছর পর ২০১৪ সালের জুনে সরকারি সফর আলী কলেজ মাঠে ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
তৎকালীন ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ প্রধান অতিথি এবং সাধারন সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকলেও কমিটি ঘোষনা ছাড়াই সম্মেলন শেষ হয়।
এর পর ওই বছরেই মামুন অর রশিদ মামুনকে সভাপতি ও আসলাম পাঠানকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষনা করেন। এর পাঁচ বছর পর তিন মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কাজী রাজীবুল ইসলাম জুয়েলকে আহŸায়ক করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহŸায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ।
দীর্ঘ বিরতির পর ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। ইতিমধ্যে মাঠপর্যায়ের ত্যাগী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ১০ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভা কমিটি গঠন সমাপ্ত হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের আহŸায়ক কাজী রাজীবুল ইসলাম জুয়েল জানান, এখানকার ছাত্রলীগ একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন হিসেবে নিজেদের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম হয়েছে। এখানে দলীয় নেতৃত্ব নিয়ে হানাহানি মতো কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় তারা হতাশ থাকলেও নবীনরা দলের যে কোন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে।
এ দিকে দীর্ঘ ৮ বছর পর উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেশ উজ্জীবিত। আসন্ন সম্মেলনকে সামনে রেখে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বহুদিনের কাঙ্খিত পদ লাভ করতে মরিয়া হয়ে সিনিয়র নেতৃৃবৃন্দের কাছে ছুটে চলছেন। এমনকি স্থানীয় সংসদ সদস্যের আনুকুল্য পেতে তারা উদয়াস্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে যাদের নাম জোরে শোরে শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, সরকারি সফর আলী কলেজের সাবেক ভিপি শফিকুল ইসলাম শরীফ, সাবেক এজিএস সাদ্দাম হোসেন, কলেজ শাখা ছাত্রলীগে সাধারণ সম্পাদক সোহেল মোল্লা সাজিদ, সাবেক জিএস সুমন মিয়া, গোপালদী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ আপন,ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল আমিন মোল্লা সাজিদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য আবু হানিফ, সুজন ভ‚ইয়া, শাহরিয়ার হিরা,সাতগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান ফয়সাল,তরুনলীগ সভাপতি নাদিরুল ইসলাম ভ‚ইয়া প্রমুখ।