নারায়ণগঞ্জ ০৮:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া মাহফিল সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্রদলের মিছিলে রিফাতের চমক সিদ্ধিরগঞ্জে সৃষ্টি যুব সংসদের উদ্যোগে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া সিদ্ধিরগঞ্জে সন্ত্রাস চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ আজাদের নির্দেশে কালাপাহাড়িয়ায় বিএনপির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর সোনারগাঁওয়ে গণিত অলিম্পিয়াড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জমকালো আয়োজনে সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রি-পেইড মিটার বাতিল চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম সিদ্ধিরগঞ্জের বিক্ষুব্দ গ্রাহকদের

আড়াইহাজারে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে মহা খুশি মিনারা বেগম

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৭:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২
  • ২১১ বার পড়া হয়েছে

রফিক রানা, ষ্টাফ রিপোর্টার:

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে বেজায় খুশি মিনারা বেগম। তিনি আড়াইহাজার উপজেলার  হাইজাদী ইউনিয়নের মাধবদী গ্রামের বাসিন্দা মৃত রুহুলআমিনের স্ত্রী। তার নিজের কোন বসতবাড়ী ও ভুমি না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করে তিনি তার নামে দুই শতাংশ জায়গাসহ ঘরটি বরাদ্দ পান বলে জানান ।

মিনারা বেগম জানান, ভুমিহীন হিসেবে তিনি তার নামে জায়গাসহ একটি ঘর বরাদ্দ দেয়ার জন্য প্রধানন্ত্রীর দপ্তরে তার নাম টি যেন তালিকা ভুক্ত হয় সেই জন্য হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদে ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেন। এরপর সরকারী প্রকৃয়া অনুযায়ি ঘরটি তিনি বরাদ্দ পান। তিনি আরও জানান,স্বামীর মৃত্যুর পর চার ছেলে সহ তিনি একবোরেই ভুমি ও বিত্তহীন হয়ে পড়েন। ছেলেরা বসত বাড়ী না থাকায় বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন এবং তিনি নিজেও তার গ্রাম মাধবদীতেই একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। তিনি জানান, ”আমার ওয়ার্ড মেম্বার আঃ খালেক এবং হাইজাদী ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তার সহকারী আঃ বাতেন আমাকে জানান যে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আমার নামটি তালিকাভুক্ত হলে আমি দুই শতাংশ জায়গাসহ একটি ঘর বরাদ্দ পেতে পারি।তখন তাদের পরামর্শ মত আমি দুই কপি ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটো কপি তাদের মাধ্যমেই হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেই। হাইজাদী ইউনিয়ন পষিদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন ভূঁইয়ার চেষ্টায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় আমি দুই শতাংশ জায়গাসহ ঘরটি বরাদ্দ পাই। আমি প্রধানমন্ত্রী এবং আমার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের জন্য মন থেকে দোয়া করি”। তিনি ১৮ দিন আগে এ ঘরে উঠেছেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে হাইজাদী ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আলী হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এখানে কামালদী মৌজায় আর এস ৬৫ নং দাগে ৩০ শতাংশ সরকারী জায়গার উপর ঘর গুলো নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে ৮টি ঘর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে এবং বাকী ঘর গুলো নির্মাণাধীন আছে।

আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, এক জন ভুমিহীনের নামে একটি করে ঘর এবং দুই শতাংশ করে জায়গা বরাদ্দ হয়েছে। ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে তালিকা অনুযায়ি দলিলসহ পত্যেককে বুঝিয়ে দেয়া হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া মাহফিল

আড়াইহাজারে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে মহা খুশি মিনারা বেগম

আপডেট সময় : ০৬:৫৭:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২

রফিক রানা, ষ্টাফ রিপোর্টার:

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে বেজায় খুশি মিনারা বেগম। তিনি আড়াইহাজার উপজেলার  হাইজাদী ইউনিয়নের মাধবদী গ্রামের বাসিন্দা মৃত রুহুলআমিনের স্ত্রী। তার নিজের কোন বসতবাড়ী ও ভুমি না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করে তিনি তার নামে দুই শতাংশ জায়গাসহ ঘরটি বরাদ্দ পান বলে জানান ।

মিনারা বেগম জানান, ভুমিহীন হিসেবে তিনি তার নামে জায়গাসহ একটি ঘর বরাদ্দ দেয়ার জন্য প্রধানন্ত্রীর দপ্তরে তার নাম টি যেন তালিকা ভুক্ত হয় সেই জন্য হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদে ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেন। এরপর সরকারী প্রকৃয়া অনুযায়ি ঘরটি তিনি বরাদ্দ পান। তিনি আরও জানান,স্বামীর মৃত্যুর পর চার ছেলে সহ তিনি একবোরেই ভুমি ও বিত্তহীন হয়ে পড়েন। ছেলেরা বসত বাড়ী না থাকায় বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন এবং তিনি নিজেও তার গ্রাম মাধবদীতেই একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। তিনি জানান, ”আমার ওয়ার্ড মেম্বার আঃ খালেক এবং হাইজাদী ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তার সহকারী আঃ বাতেন আমাকে জানান যে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আমার নামটি তালিকাভুক্ত হলে আমি দুই শতাংশ জায়গাসহ একটি ঘর বরাদ্দ পেতে পারি।তখন তাদের পরামর্শ মত আমি দুই কপি ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটো কপি তাদের মাধ্যমেই হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেই। হাইজাদী ইউনিয়ন পষিদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন ভূঁইয়ার চেষ্টায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় আমি দুই শতাংশ জায়গাসহ ঘরটি বরাদ্দ পাই। আমি প্রধানমন্ত্রী এবং আমার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের জন্য মন থেকে দোয়া করি”। তিনি ১৮ দিন আগে এ ঘরে উঠেছেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে হাইজাদী ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আলী হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এখানে কামালদী মৌজায় আর এস ৬৫ নং দাগে ৩০ শতাংশ সরকারী জায়গার উপর ঘর গুলো নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে ৮টি ঘর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে এবং বাকী ঘর গুলো নির্মাণাধীন আছে।

আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, এক জন ভুমিহীনের নামে একটি করে ঘর এবং দুই শতাংশ করে জায়গা বরাদ্দ হয়েছে। ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে তালিকা অনুযায়ি দলিলসহ পত্যেককে বুঝিয়ে দেয়া হবে।