রফিক রানা, ষ্টাফ রিপোর্টার:
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে বেজায় খুশি মিনারা বেগম। তিনি আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের মাধবদী গ্রামের বাসিন্দা মৃত রুহুলআমিনের স্ত্রী। তার নিজের কোন বসতবাড়ী ও ভুমি না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করে তিনি তার নামে দুই শতাংশ জায়গাসহ ঘরটি বরাদ্দ পান বলে জানান ।
মিনারা বেগম জানান, ভুমিহীন হিসেবে তিনি তার নামে জায়গাসহ একটি ঘর বরাদ্দ দেয়ার জন্য প্রধানন্ত্রীর দপ্তরে তার নাম টি যেন তালিকা ভুক্ত হয় সেই জন্য হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদে ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেন। এরপর সরকারী প্রকৃয়া অনুযায়ি ঘরটি তিনি বরাদ্দ পান। তিনি আরও জানান,স্বামীর মৃত্যুর পর চার ছেলে সহ তিনি একবোরেই ভুমি ও বিত্তহীন হয়ে পড়েন। ছেলেরা বসত বাড়ী না থাকায় বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন এবং তিনি নিজেও তার গ্রাম মাধবদীতেই একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। তিনি জানান, ”আমার ওয়ার্ড মেম্বার আঃ খালেক এবং হাইজাদী ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তার সহকারী আঃ বাতেন আমাকে জানান যে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আমার নামটি তালিকাভুক্ত হলে আমি দুই শতাংশ জায়গাসহ একটি ঘর বরাদ্দ পেতে পারি।তখন তাদের পরামর্শ মত আমি দুই কপি ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটো কপি তাদের মাধ্যমেই হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেই। হাইজাদী ইউনিয়ন পষিদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন ভূঁইয়ার চেষ্টায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় আমি দুই শতাংশ জায়গাসহ ঘরটি বরাদ্দ পাই। আমি প্রধানমন্ত্রী এবং আমার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের জন্য মন থেকে দোয়া করি”। তিনি ১৮ দিন আগে এ ঘরে উঠেছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে হাইজাদী ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আলী হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এখানে কামালদী মৌজায় আর এস ৬৫ নং দাগে ৩০ শতাংশ সরকারী জায়গার উপর ঘর গুলো নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে ৮টি ঘর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে এবং বাকী ঘর গুলো নির্মাণাধীন আছে।
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, এক জন ভুমিহীনের নামে একটি করে ঘর এবং দুই শতাংশ করে জায়গা বরাদ্দ হয়েছে। ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে তালিকা অনুযায়ি দলিলসহ পত্যেককে বুঝিয়ে দেয়া হবে।