নারায়ণগঞ্জ ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে অপকর্ম চাঁদাবাজি সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও সাবেক সেনা পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ

ঢাকা উদ্যানের নতুন ডন রহুল

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
  • ১৭৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার ঢাকা উদ্যান এলাকার অপরাধ জগতের নতুন ডন বনেছেন রহুল আমিন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান রাজীবের অস্ত্রধারী গুন্ডা বাহিনীর অন্যতম সদস্য তিনি। গত বছরে র‌্যাব রাজীবকে গ্রেপ্তার করার পর রহুল আমিন গা ঢাকা দেয়। পলাতক ছিলেন দীর্ঘ দিন। রাজিব জেলে থাকলেও সম্প্রতি এলাকায় ফিরে এসে রহুল আমিন চাঁদাবাজিসহ আনা অপকর্ম শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ভোলা জেলার দৌলতখান থানা সদরের শাহজাহানের ছেলে রুহুল আমিন ঢাকায় এসে যোগদেন সন্ত্রাসী মনির বাহিনীতে। পরে বনে যায় তারেকুজ্জামান রাজীবের অন্যতম ক্যাডার। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে অল্প দিনে বিপুল পরিমান ধনসম্পদের মালিক বনে যান তিনি। তার আপন ভাই রুবেলকেও দলে নিয়ে নেন। রুবেলের নেতৃত্বে গড়ে তুলেন বিশাল মাদক সেন্ডিকেট। চাঁদ উদ্যান এলাকায় মাদকের স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেন রুবেল। তিনিও এখন সঙ্গ দিচ্ছে ভাই রহুল আমিনকে। রহুল আমিনের বিরুদ্ধে ছিনতাই,ডাকাতি, হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তি জানান, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গত বছর র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান রাজীব। তখন ভেঙে পরে তার অপরাধ সাম্্রাজ্য। গা ঢাকা দেয় রাজিবের ক্যাডার বাহিনী। সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আসেন রাজিবের অন্যতম ক্যাডার রুহুল আমিন। এলাকায় এসেই নিয়ন্ত্রন নেন, মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন পরিবহন চাঁদাবাজি, বেড়িবাঁধ চৌরাস্তা থেকে সøুইচগেট পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের অবৈধ ফুটপাত, সরকারি জমির ওপর অবৈধ দোকান, টেম্পো,রিকশা,ইজিবাইক,ট্রাক,পিকআপ,সিএনজি স্ট্যান্ড ও গার্মেন্টস সেক্টর। ফের গড়ে তুলেন ঢাকা উদ্যান এলাকায় ছিনতাই, মাদক বাহিনী। নিজের নিয়ন্ত্রনে নেন চাঁদ উদ্যান, নবীনগর হাউজিং, চন্দ্রিমা হাউজিং, নবোদয় হাউজিং, শেখেরটেক, তুরাগ, ও একতা হাউজিং এলাকায় চলাচলকারী রিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহন চাঁদাবাজি। সঙ্গবদ্ধ করছে তার পুরনো সহযোগীদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন চা দোকানদার জানান,রুহুল আমিন নিজেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা পরিচয় দেন। রাজিবের আমলে তিনি সব সময় চার পাঁচজন সহযোগী সঙ্গে নিয়ে চলাফিরা করতেন। এখন আগের মত দাপট না দেখালেও হঠাৎ উদয় হয় চাঁদা নিয়ে দ্রুত চলে যায়। চাঁদা না দিলে আগে যেমন পরিবহন ও রিকশা চালকদের প্রকাশ্যে মারধর করত এখন তা করছেন না। তাছাড়া এত কিছুর পর আবার এলাকায় ফিরে আসায় লোকজন ভয়েই চাঁদা দিয়ে দিচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি জানান, শুধু চাঁদাবাজি নয়, এলাকায় ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসাও করেন রুহুল আমিন। ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত তিনি। ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে একবার থাকে পুলিশ ধরেছিল। পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন। চাঁদাবাজির আপরাধে মোহাম্মদ পুর থানা পুলিশ একবার তাকে গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠিয়েছিলেন।
এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে রহুল আমিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে অপকর্ম চাঁদাবাজি

ঢাকা উদ্যানের নতুন ডন রহুল

আপডেট সময় : ১০:৩৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার ঢাকা উদ্যান এলাকার অপরাধ জগতের নতুন ডন বনেছেন রহুল আমিন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান রাজীবের অস্ত্রধারী গুন্ডা বাহিনীর অন্যতম সদস্য তিনি। গত বছরে র‌্যাব রাজীবকে গ্রেপ্তার করার পর রহুল আমিন গা ঢাকা দেয়। পলাতক ছিলেন দীর্ঘ দিন। রাজিব জেলে থাকলেও সম্প্রতি এলাকায় ফিরে এসে রহুল আমিন চাঁদাবাজিসহ আনা অপকর্ম শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ভোলা জেলার দৌলতখান থানা সদরের শাহজাহানের ছেলে রুহুল আমিন ঢাকায় এসে যোগদেন সন্ত্রাসী মনির বাহিনীতে। পরে বনে যায় তারেকুজ্জামান রাজীবের অন্যতম ক্যাডার। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে অল্প দিনে বিপুল পরিমান ধনসম্পদের মালিক বনে যান তিনি। তার আপন ভাই রুবেলকেও দলে নিয়ে নেন। রুবেলের নেতৃত্বে গড়ে তুলেন বিশাল মাদক সেন্ডিকেট। চাঁদ উদ্যান এলাকায় মাদকের স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেন রুবেল। তিনিও এখন সঙ্গ দিচ্ছে ভাই রহুল আমিনকে। রহুল আমিনের বিরুদ্ধে ছিনতাই,ডাকাতি, হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তি জানান, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গত বছর র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান রাজীব। তখন ভেঙে পরে তার অপরাধ সাম্্রাজ্য। গা ঢাকা দেয় রাজিবের ক্যাডার বাহিনী। সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আসেন রাজিবের অন্যতম ক্যাডার রুহুল আমিন। এলাকায় এসেই নিয়ন্ত্রন নেন, মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন পরিবহন চাঁদাবাজি, বেড়িবাঁধ চৌরাস্তা থেকে সøুইচগেট পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের অবৈধ ফুটপাত, সরকারি জমির ওপর অবৈধ দোকান, টেম্পো,রিকশা,ইজিবাইক,ট্রাক,পিকআপ,সিএনজি স্ট্যান্ড ও গার্মেন্টস সেক্টর। ফের গড়ে তুলেন ঢাকা উদ্যান এলাকায় ছিনতাই, মাদক বাহিনী। নিজের নিয়ন্ত্রনে নেন চাঁদ উদ্যান, নবীনগর হাউজিং, চন্দ্রিমা হাউজিং, নবোদয় হাউজিং, শেখেরটেক, তুরাগ, ও একতা হাউজিং এলাকায় চলাচলকারী রিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহন চাঁদাবাজি। সঙ্গবদ্ধ করছে তার পুরনো সহযোগীদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন চা দোকানদার জানান,রুহুল আমিন নিজেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা পরিচয় দেন। রাজিবের আমলে তিনি সব সময় চার পাঁচজন সহযোগী সঙ্গে নিয়ে চলাফিরা করতেন। এখন আগের মত দাপট না দেখালেও হঠাৎ উদয় হয় চাঁদা নিয়ে দ্রুত চলে যায়। চাঁদা না দিলে আগে যেমন পরিবহন ও রিকশা চালকদের প্রকাশ্যে মারধর করত এখন তা করছেন না। তাছাড়া এত কিছুর পর আবার এলাকায় ফিরে আসায় লোকজন ভয়েই চাঁদা দিয়ে দিচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি জানান, শুধু চাঁদাবাজি নয়, এলাকায় ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসাও করেন রুহুল আমিন। ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত তিনি। ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে একবার থাকে পুলিশ ধরেছিল। পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন। চাঁদাবাজির আপরাধে মোহাম্মদ পুর থানা পুলিশ একবার তাকে গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠিয়েছিলেন।
এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে রহুল আমিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।