আড়াইহাজার(নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা:
আগামী কাল রোববার আড়াইহাজার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে প্রশাসন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪১১ জন প্রার্থী। এরমধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৮ জন, মেম্বার প্রার্থী ৩২২ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী ৮১ জন।
১০টি ইউনিয়নের মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছে ৬ জন। এরা হলেন দুপ্তারায় নাজমুল ইসলাম, ফতেপুরে আবু তালেব মোল্লা, হাইজাদীতে আলী হোসেন, ব্রাক্ষন্দী লাক মিয়া , বিশনন্দীতে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও মাহমুদপুরে আমান উল্লাহ আমান। আর নির্বাচন হচ্ছে ৪টি ইউনিয়নে।
এই গুলো হলো কালাপাহাড়িয়া, উচিৎপুরা, সাতগ্রাম ও খাগকান্দা। এই সকল ইউনিয়নে মোট ৮ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তাঁরা হলেন কালাপাহাড়িয়া সাইফুল ইসলাম স্বপন (নৌকা), ফাইজুল হক ডালিম (আনারস), সাতগ্রামে ওয়াদুদ মাহমুদ( নৌকা) ও মিয়া মোহাম্মদ সেলিম (আনারস), উচিৎপুরায় ইসামাইল হোসেন (নৌকা), আলমগীর হোসেন (আনারস) , খাগকান্দায় আরিফুল ইসলাম( নৌকা ) ও নজরুল ইসলাম (আনারস) । নৌকার বিপরীতে সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
জানা গেছে, আড়াইহাজার উপজেলায় এ মুহূর্তে চলছে ১০ টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী উৎসব। প্রতিটি গ্রামে এখন চলছে নির্বাচনী উৎসব। প্রাণের টানে জেগে উঠেছে গ্রামের মানুষ। চেয়ারম্যান , মেম্বার ও সংরক্ষিত নারী মেম্বার মিলে এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ৫০১ জন প্রার্থী। সবকিছু ছাপিয়ে আড়াইহাজার উপজেলার সর্বত্র ফুটে উঠেছে নির্বাচনী উৎসব। এদিকে ভোটারদের মাঝে সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে রয়েছে শংকা। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবী জানান।
শীত আর কুয়াশা উপেক্ষা করে নানান প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তবে প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতিতে না ভুলে যোগ্যতা ও সততা দেখে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। রাস্তাঘাটে, হাটেবাজারে, প্রার্থীদের মিছিল মিটিং ও গণসংযোগের চিত্র চোখে পড়ে। একজন মেম্বার প্রার্থী সকলকে চা পান করিয়ে গেলেনতো, আবার আসে চেয়ারম্যান প্রার্থী। আবার চায়ের কাপে ঝড় উঠে। গ্রামের চায়ের দোকানগুলো বেশ জমজমাট। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শেষ হচ্ছে প্রচারনা।
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাচন অফিসার সুলতানা এলিন সকলের সহযোগীতা চেয়ে গণমাধ্যমকে জানান, আমরা চাই নির্বাচনটা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হোক। সবকিছু ভালভাবে সম্পন্ন হলেই আমাদের পরিশ্রমের সার্থকতা আসবে। সবাই খুব হেল্পফুল। আমাদের কাজ হচ্ছে জনগণকে সাহায্য করা,সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায়। জনগণ যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে ও শান্তিপূর্ণভাবে তার পছন্দের প্রার্থীকে, ভোট দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। যেসব ইউনিয়ন থেকে বিশৃঙ্খলার খবর আসছে,সেখানে আমাদের বিশেষ নজর রয়েছে।