সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :সিদ্ধিরগঞ্জের কালুহাজী রোড এলাকার বাসিন্দা আলেক মিয়া (৪০)। ভ্যানগাড়ি দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় বিক্রি করতেন কাঁচা তরিতরকারি। তিনি এখন শত কোটি টাকার মালিক। চলেন নিশান গাড়ি দিয়ে। আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যাওয়া আলেক ধনকুবে পরিণত হওয়া রূপকথার গল্পকেও হারমানায়।
অনুন্ধানে জানা গেছে, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার ৩ নং সাদুল্লাহপুর ইউনিয়নের পুটিয়ারপাড় এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে আলেক মিয়া। জীবিকার তাগিতে নব্বই দশকে কিশোর বয়সে ঢাকার যাত্রাবাড়ি, শ্যামপুর ও জুরাইন সড়কে ভ্যানগাড়ি দিয়ে কাঁচা তরিতরকারি বিক্রি করতেন। পরে ফারি দেন সৌদি আরবে। মোবাইলের সিম কিনা বেচায় অসঙ্গতির কারণে সৌদি আরবের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কিছু দিন জেল খেটে ফিরে আসেন দেশে। সিদ্ধিরগঞ্জের কালু হাজী রোড এলাকায় ৬ শতাংশ জমি কিনে ৫ তলা বাড়ি নির্মাণ করেন। শুরু করেন সুদের ব্যবসা। এতেই পেয়ে যায় টাকার মেশিন। মাত্র ১৫/১৬ বছরে বনে যায় টাকার কুমির।
সরেজমিন অনুসন্ধান করে জানা যায়, কালুহাজী রোড ৬ শতাংশ জমিতে তার ৫ তলা বাড়ি (যার মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা), একই এলাকায় ১২ শতাংশ জমিতে একটি জুতা তৈরির কারখানা ও ব্যক্তিগত অফিস (যার মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা), ৩ কাটার একটি খালি জায়গা যা কিছু দিন আগে কিনে ৬০ লাখ টাকা দিয়ে, জালকুড়িতে ৬০ শতাংশ জমি (যার মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা), ফতুল্লার কোতালের বাগ কাব রোড, কুতুবআইল এলাকায় ৩৩ শতাংশ জমিতে ৪ তলা তিনটি ভবন (যার মূল্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা), লালখারাবাদ এলাকায় ২৫ শতাংশ জমিতে টিনসেট দুইটি বাড়ি (যার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা), ভূঁইগড় এলাকায় ঐশী কারহাট স্ট্যান্ডে সুদে লাগানো রয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা, কোটি টাকার পল্টি ব্যবসা, সিলেটে রয়েছে পাথর ব্যবসা, পাথর ভাঙার মেশিনের দাম প্রায় ১ কোটি টাকা, ৪/৫ টি জেক গাড়ি (যার মূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা), তার জন্মস্থান পুটিয়ার পাড় এলাকায় চার ভাই মিলে প্রায় ১২ একর বাগানবাড়ি ও কৃষি জমি রয়েছে, যার মধ্যে কমপক্ষে ৫ একরের মালিক আলেক মিয়া। এলাছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানা এলাকায় বিপুল পরিমান জায়গা জমি রয়েছে।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, কুতুবআইলের ৩ টি বাড়িতে ৯০ টি ডাবল চুলা। যার সিংহ ভাগই চলছে অবৈধভাবে। লালখারাবাদ এলাকার টিনসেট বাড়ির ৩০ টি কক্ষে গ্যাসের ১০ টি ডাবল চুলা জ্বলছে অবৈধ ভাবে। সূত্র জানায় বিগত ১০/১২ বছরে কমপক্ষে কোটি টাকার গ্যাস চুরি করেছে আলেক।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ৯০ দশকের দিকে কাঁচা তরিতরকারি বিক্রি করার কথা স্বীকার করে আলেক মিয়া বলেন, আমরা ৪ ভাই বিদেশ থেকে পরিশ্রম করে টাকা কামিয়েছি। কুতুবআইল এর তিনটি বাড়ি আমার একার নয়। একটি আমার ভাই রুহুল আমিনের। সুদ ব্যবসা ও অবৈধ গ্যাস সংযোগ সঠিক নয়। বছরে ৭৬ হাজার টাকা আয় কর দিচ্ছি। কোন অবৈধ উপায়ে সম্পদের মালিক হইনি।
সংবাদ শিরোনাম ::
তরকারি বিক্রেতা আলেক এখন শত কোটি টাকার মালিক
- প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ০১:০৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ নভেম্বর ২০২১
- ২৮১ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :