সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক ও ফুটপাত ব্যবসায়ীরা। হাইওয়ে পুলিশ বক্সের পাশেই প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। রহস্যজনক কারণে পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করছে। ফলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চাঁদাবাজরা। শুধু মহাসড়কের উত্তর পাশে ইজিবাইক ও ফুটপাত থেকেই আদায় হচ্ছে মাসে ৪ লক্ষাধিক টাকা চাঁদা।
জানা গেছে, সাইনবোর্ড ডগাই সড়কের মোড়ে ইজিবাইক স্ট্যান্ডের প্রতিটি গাড়ি থেকে দৈনিক ৬০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে কবির ও রেজা ভূঁইয়া নামে দুইজন। এই স্ট্যান্ডে শতাধিক ইজিবাইক চলাচল করছে। সে হিসাবে চাঁদা আদায় হচ্ছে দৈনিক ৬ হাজার টাকার অধিক। যা মাসে দাঁড়ায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার বেশি। একই সড়কের দুই পাশে সরকারি জমি দখল করে শতাধিক ফুটপাত দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে দৈনিক ৫০ টাকা করে। পরিসংখ্যান মতে মাসে দাঁড়ায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার অধিক। এসব দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দৈনিক আদায় করা হচ্ছে ৫০ টাকা করে। সব মিলিয়ে মাসে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা। কবির ও রেজা ভূঁইয়ার নিয়োজিত মজনু নামে এক লোক আদায় করছে চাঁদা। এই মজনুকে চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করে। কিছুদিন জেলহাজত বাস করে জামিনে বের হয়ে আবার শুরু করে চাঁদা আদায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইজিবাইক চালক জানান, কবির ও রেজা ভূুঁইয়া সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তার পাশে দীর্ঘদিন ধরেই নিয়ন্ত্রন করছেন চাঁদাবাজি। তাদের চাঁদা না দিলে মারধরের শিকার হতে হয়।
এবিষয়ে কবিরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইজিবাইক থেকে ৬০ টাকা করে নেওয়া সত্যতা স্বীকার করেন। তবে দোকানপাট থেকে কোন চাঁদা নেয়নি। পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চাঁদা নিচ্ছেন বলে জানায় কবির।
সাইনবোর্ড দায়িত্বরত হাইওয়ে পুলিশের টিআই মশিউর রহমান বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি কেহ চাঁদাবাজি করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।