নারায়ণগঞ্জ ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে অপকর্ম চাঁদাবাজি সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও সাবেক সেনা পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলছে অবৈধ অটোরিক্সা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবৈধ নিষিদ্ধ অটোরিক্সা, সিএনজি সহ নানা ধরনের অবৈধ পরিবহন চলতে দেখা গিয়েছে। বুধবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ শিমরাইল মোড়ে শত শত অটোরিক্সা, সিএনজি, থ্রী হুইলার সহ যানবাহন চলাচল করছে পুলিশের সামনে দিয়ে। নামে মাত্র কয়েকটিকে মামলা দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, শিমরাইল ও সাইনবোর্ডের দায়িত্বে থাকা কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব অবৈধ যানবাহন। গত কিছুদিন আগে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন মহাসড়কে অবৈধ অটোরিক্সা চলতে পারবেনা এমন নির্দেশ দেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রশাসনকেও নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে ব্যার্থ হয়েছে শিমরাইল ও সাইনবোর্ডের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা এমটাই দাবি সচেতন মহলের। সচেতন মহলের দাবি অবৈধ অটোরিক্সা বেপরোয়া গতিতে মহাসড়কে চলাচল করার কারনে সড়কে ঝরেছে তাজা অনেক প্রাণ। মহাসড়কে অবৈধ অটোরিক্সা, সিএনজি সহ অবৈধ যানবাহন চলাচল করতে পারবেনা এমন বক্তব্যে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছে দেশবাসী। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এখনো শত শত অবৈধ অটোরিক্সা, সিএনজি, থ্রী হুইলার চলাচল করতে দেখা যায়। তাহলে শিমরাইল ও সাইনবোর্ডে দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশ কি দায়িত্ব পালন করছে। সে সাথে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্যের শামিল মনে করি আমরা।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন অটোরিক্সার চালক বলেন, প্রতিদিন দালালের মাধ্যমে পুলিশকে টাকা দিতে হয়। না দিলে রিক্সা ধরে নিয়ে গিয়ে মামলা দেওয়া হয়। টাকা দিলে রাস্তায় চলতে পারি। এভাবে প্রতিদিন শত শত রিক্সা চলছে।

এলাকাবাসী বলেন, গত কিছু দিন যাবৎ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শত শত অটোরিক্সা পুলিশের সামনে দিয়ে চলাচল করছে। তবে ভাবে শুনা যাচ্ছে অটোরিক্সা চলাচলে পুলিশকে ম্যানেজ করছে ড্রাইভাররা। দালালের মাধ্যমে অটোরিক্সা থেকে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা হাতানো হচ্ছে । এতে করে মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচল করলে আর সমস্যা হবেনা।

গাজীপুর রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই প্রশাসন মোঃ মশিউর আলম মুঠোফোনে বলেন, আমি বাসায় আছি। মহাসড়কে অটোরিক্সা চলতে পারবেনা মাননীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তাবায়ন কি ভাবে করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে টিআই মশিউর আলম বলেন আমি ৩ টার দিকে আসবো তখন আপনি আইসেন বলে ফোন রেখে দেন।

উক্ত বিষয়ে গাজীপুর রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশ সুপার আলী আহম্মদ খান বলেন, প্রতিটি পয়েন্টে পয়েন্টে আমাদের চেকপোস্ট কাজ করছে। আমাদের চেকপোস্ট অটোরিক্সা যদি অতিক্রম করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। অটোরিক্সআর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া, জরিমানা করা এবং রিক্সা গুরিয়ে দেওয়া আমাদের এসব কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ মামলা দেওয়া হচ্ছে। দালালের মাধ্যমে রিক্সা চালকদের কাছ থেকে পুলিশের নামে টাকা দেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নে জবাবে এসপি আলী আহম্মদ খান বলেন, অবৈধ ভাবে টাকা দেওয়া এবং নেওয়া দুইটাই সমান অপরাধ। উক্ত বিষয়ে গুলো তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে অপকর্ম চাঁদাবাজি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলছে অবৈধ অটোরিক্সা

আপডেট সময় : ০১:৪৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবৈধ নিষিদ্ধ অটোরিক্সা, সিএনজি সহ নানা ধরনের অবৈধ পরিবহন চলতে দেখা গিয়েছে। বুধবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ শিমরাইল মোড়ে শত শত অটোরিক্সা, সিএনজি, থ্রী হুইলার সহ যানবাহন চলাচল করছে পুলিশের সামনে দিয়ে। নামে মাত্র কয়েকটিকে মামলা দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, শিমরাইল ও সাইনবোর্ডের দায়িত্বে থাকা কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব অবৈধ যানবাহন। গত কিছুদিন আগে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন মহাসড়কে অবৈধ অটোরিক্সা চলতে পারবেনা এমন নির্দেশ দেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রশাসনকেও নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে ব্যার্থ হয়েছে শিমরাইল ও সাইনবোর্ডের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা এমটাই দাবি সচেতন মহলের। সচেতন মহলের দাবি অবৈধ অটোরিক্সা বেপরোয়া গতিতে মহাসড়কে চলাচল করার কারনে সড়কে ঝরেছে তাজা অনেক প্রাণ। মহাসড়কে অবৈধ অটোরিক্সা, সিএনজি সহ অবৈধ যানবাহন চলাচল করতে পারবেনা এমন বক্তব্যে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছে দেশবাসী। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এখনো শত শত অবৈধ অটোরিক্সা, সিএনজি, থ্রী হুইলার চলাচল করতে দেখা যায়। তাহলে শিমরাইল ও সাইনবোর্ডে দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশ কি দায়িত্ব পালন করছে। সে সাথে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্যের শামিল মনে করি আমরা।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন অটোরিক্সার চালক বলেন, প্রতিদিন দালালের মাধ্যমে পুলিশকে টাকা দিতে হয়। না দিলে রিক্সা ধরে নিয়ে গিয়ে মামলা দেওয়া হয়। টাকা দিলে রাস্তায় চলতে পারি। এভাবে প্রতিদিন শত শত রিক্সা চলছে।

এলাকাবাসী বলেন, গত কিছু দিন যাবৎ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শত শত অটোরিক্সা পুলিশের সামনে দিয়ে চলাচল করছে। তবে ভাবে শুনা যাচ্ছে অটোরিক্সা চলাচলে পুলিশকে ম্যানেজ করছে ড্রাইভাররা। দালালের মাধ্যমে অটোরিক্সা থেকে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা হাতানো হচ্ছে । এতে করে মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচল করলে আর সমস্যা হবেনা।

গাজীপুর রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই প্রশাসন মোঃ মশিউর আলম মুঠোফোনে বলেন, আমি বাসায় আছি। মহাসড়কে অটোরিক্সা চলতে পারবেনা মাননীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তাবায়ন কি ভাবে করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে টিআই মশিউর আলম বলেন আমি ৩ টার দিকে আসবো তখন আপনি আইসেন বলে ফোন রেখে দেন।

উক্ত বিষয়ে গাজীপুর রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশ সুপার আলী আহম্মদ খান বলেন, প্রতিটি পয়েন্টে পয়েন্টে আমাদের চেকপোস্ট কাজ করছে। আমাদের চেকপোস্ট অটোরিক্সা যদি অতিক্রম করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। অটোরিক্সআর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া, জরিমানা করা এবং রিক্সা গুরিয়ে দেওয়া আমাদের এসব কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ মামলা দেওয়া হচ্ছে। দালালের মাধ্যমে রিক্সা চালকদের কাছ থেকে পুলিশের নামে টাকা দেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নে জবাবে এসপি আলী আহম্মদ খান বলেন, অবৈধ ভাবে টাকা দেওয়া এবং নেওয়া দুইটাই সমান অপরাধ। উক্ত বিষয়ে গুলো তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।