উচ্ছেদের পরও চলছে অবৈধ হাট, করোনা সংক্রামণের শঙ্কা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

আড়াইহাজার সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবৈধ পশুর হাটে মানুষের উপচেপড়া ভিড়ে করোনা সংক্রামণের শঙ্কায় সেটি বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে প্রশাসনের লোকজন চলে যাবার পর আবারো বসেছে সেই হাট।

বুধবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকেই উপজেলার বিশনন্দীতে চলছে এ হাট। হাটের সংবাদ পেয়ে সেখানে উপজেলা প্রশাসন গিয়ে হাট বন্ধ করে দিয়ে চলে আসেন। পরে তারা চলে যাবার পর আবারো বসে হাট। পরে খবর পেয়ে আবারো সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল হোসেন গিয়ে হাট বন্ধ করে দেন। তবে তিনি চলে যাবার পর আবারো বসে হাট।

জানা যায়, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন সাকু, আওয়ামীলীগ নেতা কাবুল মিয়া, এমদাদ দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে এ হাট বসিয়েছেন। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং লকডাউন অমান্য করে এ ধরনের হাট বসিয়ে তারা নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননা। এ ধরণের হাট বসানোয় স্থানীয় বাসিন্দারা আতংকে রয়েছেন এবং দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন তারা। এ ছাড়াও এলাকায় নানা অপকর্ম তারা দলীয় নাম ভাঙ্গিয়ে করে বেড়ান বলে অভিযোগ রয়েছেন এলাকাবাসীর। এলাকায় মাদক বিক্রেতাদের সেল্টারও দিয়ে থাকেন তারা এমনটাই জানান স্থানীয়রা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ হোসেন জানান, এখানে হাট বসার কোন অনুমতি নেই। এভাবে মানুষ জড়ো হয়ে হাট চালানো অবৈধ আর এ সময়ে শঙ্কারও। এ হাটের কারণে ঘটতে পারে করোনা সংক্রামণও। আমরা হাট বন্ধ করে দিয়েছি, যদি আবারো কেউ হাট বসায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

উচ্ছেদের পরও চলছে অবৈধ হাট, করোনা সংক্রামণের শঙ্কা

আপডেট সময় : ১১:০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১

আড়াইহাজার সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবৈধ পশুর হাটে মানুষের উপচেপড়া ভিড়ে করোনা সংক্রামণের শঙ্কায় সেটি বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে প্রশাসনের লোকজন চলে যাবার পর আবারো বসেছে সেই হাট।

বুধবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকেই উপজেলার বিশনন্দীতে চলছে এ হাট। হাটের সংবাদ পেয়ে সেখানে উপজেলা প্রশাসন গিয়ে হাট বন্ধ করে দিয়ে চলে আসেন। পরে তারা চলে যাবার পর আবারো বসে হাট। পরে খবর পেয়ে আবারো সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল হোসেন গিয়ে হাট বন্ধ করে দেন। তবে তিনি চলে যাবার পর আবারো বসে হাট।

জানা যায়, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন সাকু, আওয়ামীলীগ নেতা কাবুল মিয়া, এমদাদ দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে এ হাট বসিয়েছেন। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং লকডাউন অমান্য করে এ ধরনের হাট বসিয়ে তারা নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননা। এ ধরণের হাট বসানোয় স্থানীয় বাসিন্দারা আতংকে রয়েছেন এবং দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন তারা। এ ছাড়াও এলাকায় নানা অপকর্ম তারা দলীয় নাম ভাঙ্গিয়ে করে বেড়ান বলে অভিযোগ রয়েছেন এলাকাবাসীর। এলাকায় মাদক বিক্রেতাদের সেল্টারও দিয়ে থাকেন তারা এমনটাই জানান স্থানীয়রা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ হোসেন জানান, এখানে হাট বসার কোন অনুমতি নেই। এভাবে মানুষ জড়ো হয়ে হাট চালানো অবৈধ আর এ সময়ে শঙ্কারও। এ হাটের কারণে ঘটতে পারে করোনা সংক্রামণও। আমরা হাট বন্ধ করে দিয়েছি, যদি আবারো কেউ হাট বসায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।