নারায়ণগঞ্জ ০৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও সাবেক সেনা পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ভাষা সৈনিক গাজীউল হক আমাদের অহংকার : মোস্তফা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

ভাষা সৈনিক গাজীউল হক বাঙ্গালি জাতিসত্ত্বার অহংকার ও আমাদের প্রেরনা মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, তার সাহসিকতার পরিচয় কেবল ভাষা আন্দোলনের সময়ই দেখা যায় নি। পরবর্তী সকল অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন, সাংস্কৃতিক ও জাতীয় সংগ্রামে তিনি অংশ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে জাতীয় সাংস্কৃতিক আন্দোলন আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে গাজীউল হকের অবদান ছিল অত্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ১৯৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৪’র সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৯’র গণআন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রথমে স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠক হিসেবে ও পরে জাতীয় পর্যায়ের লেখক এবং সংগঠকের ভূমিকায় তিনি ছিলেন প্রথম কাতারে। ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠনে আওয়ামী লীগের সর্বাঙ্গীণ প্রতিকূলতা প্রতিরোধে মাওলানা ভাসানীর ঘনিষ্ঠ সহকমী হিসেবে কাজ করেন। তিনি আরো বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে যে স্বাধীনতা সেই স্বাধীন বাংলাদেশে এখনও ভাষা সৈনিকদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান করা হয়নি। যা জাতি হিসাবে আমাদের লজ্জা দেয়। ভাষা সৈনিকদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান আজ সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে। ন্যাপ মহাসচিব বলেন, ভাষা আন্দোলনের মহান নেতা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কাজী গোলাম মাহবুব, আবদুল মতিন, গাজীউল হক, অলি আহাদ-সহ সকল ভাষা বীরদের রাাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করা জাতি হিসাবে আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে ইতিহাস রচনার চেষ্টা চলছে তা হলো সন্তান জন্মের ভ্রুন সৃষ্টির কথা নাই, নাই পিতা-মাতার কথা। শুধু সন্তান জন্মের পরের কথা দিয়ে ইতিহাস নির্মান চলছে। যা কখনো টিকে থাকতে পারে না। আর বিকৃত ইতিহাস নির্মানের কাজ করছেন এক ধরনের পাঁচাটা বুদ্ধিজীবীরা যারা দলীয় সুবিধাভোগি শ্রেনী। জাতীয় সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সমন্বয়ক সোলায়মান সোহেলের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব এহসানুল হক জসীম, কৃষক মো. মহসীন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, সংগঠনের নির্বাহী সদস্য সালমা আক্তার, মহাবুবুল আলম, ছাইদুর রহমান, বেলাল হোসেন প্রমুখ।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই

ভাষা সৈনিক গাজীউল হক আমাদের অহংকার : মোস্তফা

আপডেট সময় : ১২:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

ভাষা সৈনিক গাজীউল হক বাঙ্গালি জাতিসত্ত্বার অহংকার ও আমাদের প্রেরনা মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, তার সাহসিকতার পরিচয় কেবল ভাষা আন্দোলনের সময়ই দেখা যায় নি। পরবর্তী সকল অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন, সাংস্কৃতিক ও জাতীয় সংগ্রামে তিনি অংশ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে জাতীয় সাংস্কৃতিক আন্দোলন আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে গাজীউল হকের অবদান ছিল অত্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ১৯৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৪’র সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৯’র গণআন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রথমে স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠক হিসেবে ও পরে জাতীয় পর্যায়ের লেখক এবং সংগঠকের ভূমিকায় তিনি ছিলেন প্রথম কাতারে। ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠনে আওয়ামী লীগের সর্বাঙ্গীণ প্রতিকূলতা প্রতিরোধে মাওলানা ভাসানীর ঘনিষ্ঠ সহকমী হিসেবে কাজ করেন। তিনি আরো বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে যে স্বাধীনতা সেই স্বাধীন বাংলাদেশে এখনও ভাষা সৈনিকদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান করা হয়নি। যা জাতি হিসাবে আমাদের লজ্জা দেয়। ভাষা সৈনিকদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান আজ সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে। ন্যাপ মহাসচিব বলেন, ভাষা আন্দোলনের মহান নেতা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কাজী গোলাম মাহবুব, আবদুল মতিন, গাজীউল হক, অলি আহাদ-সহ সকল ভাষা বীরদের রাাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করা জাতি হিসাবে আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে ইতিহাস রচনার চেষ্টা চলছে তা হলো সন্তান জন্মের ভ্রুন সৃষ্টির কথা নাই, নাই পিতা-মাতার কথা। শুধু সন্তান জন্মের পরের কথা দিয়ে ইতিহাস নির্মান চলছে। যা কখনো টিকে থাকতে পারে না। আর বিকৃত ইতিহাস নির্মানের কাজ করছেন এক ধরনের পাঁচাটা বুদ্ধিজীবীরা যারা দলীয় সুবিধাভোগি শ্রেনী। জাতীয় সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সমন্বয়ক সোলায়মান সোহেলের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব এহসানুল হক জসীম, কৃষক মো. মহসীন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, সংগঠনের নির্বাহী সদস্য সালমা আক্তার, মহাবুবুল আলম, ছাইদুর রহমান, বেলাল হোসেন প্রমুখ।