বিশেষ প্রতিনিধি:
নরসিংদীর পলাশের ইসলামপাড়া এলাকায় আম কুড়ানোর অপরাধে হামলা করে সাংবাদিকের পুত্রে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে সন্ত্রাসী এক যুবক ।থানায় অভিযোগ করার পর স্থানীয় মেম্বার বিচারের আশ্বাস দিয়ে মামলা না করার অনূরোধ করে ।
গত ২৫শে মে নরসিংদীর পলাশ থানাধীন ইসলামপাড়া এলাকায় নানীর বাড়তে গিয়ে ।নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকের পুত্র পরিচয় জেনে আম কুড়ানোর অপরাধে স্কুল ছাত্র মো. আশরাফাকুজ্জামান সফল ( ১১) কে হামলা করে হাত ভেঙ্গে আহত করার ঘটনাটি ঘটে । এই ঘটনায় সাংবাদিক ভূইয়া কাজল বাদী হয়ে মুন্না ও তার পিতা মো. সবির মিয়ার বিরুদ্ধে নরসিংদী পলাশ থানায় ২৬/৫/২১ ইং একটি অভিযোগ করে থাকে ।
সাংবাদিক ভূইয়া কাজল জানান, আমার ছেলে ঈদের পর নরসিংদী পলাশ থানার অন্তর্ভুক্ত ইসলাম পাড়া গ্রামে নানা বাড়ি বেড়াতে য়ায়। এই সময় আমার ছেলেকে একই গ্রামের প্রতিবেশী মোঃ সবির মিয়ার আম গাছ তলায় একটি আম মাটিতে পরা অবস্থায় দেখে, সেই আমটি কুড়িয়ে হাতে নেয়। পিছন থেকে কিশোর গ্যং সন্ত্রাসী মুন্না এসে আমার ছেলেকে ধরে মাথায় তুলে আছার মারে এবং পা দিয়ে লাথি মারতে থাকলে তখন ওর চিৎকারে আশেপাশের মানুষ দৌড়ে আসে আমার বাচ্চার মা-কে খবর দেয়, বাচ্চার মা ছেলের এই অবস্থা দেখে নিজেই মাটিতে লুটিয়ে পরেন। এলাকার মানুষ ধরে নদী পাড় করে কালিগন্জ সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যান। এক্স-রে রির্পোটে ধরা পরে মাল্টিপল ফ্যাকচার, যা এই হাসপাতালে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তারপর আমার স্ত্রীর মা বাবা ও আরও আত্বীয় স্বজন মিলে জামালপুর প্রাইভেট হাসপাতাল নুবহা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অর্থপেক্স ডাঃ রাকিব আবার পরীক্ষা নীরিক্ষা করে বলেন আপতত বেন্ডেজ করে দিলাম, প্রয়োজনে একসপ্তাহ পর আসলে যদি কাজ না হয় তাহলে অপারেশন করতে হতে পারে। এ সমস্ত তথ্য আমার স্ত্রীর কাছ থেকে জানতে পারি। সাংবাদিক ভূইয়া কাজল এর স্ত্রী কামরুন্নাহার বৃষ্টি বলেন আসেপাশের সবাই ঘটনা দেখছে আমার নিরপরাধ ছেলেটাকে এভাবে মেরেছে অমানুষ মুন্না আর মুন্নার বাবা চেয়ে চেয়ে দেখছে। আমার ছেলের ভবিষ্যত এখন অন্ধকার। কারন একটি হাত ভেংগে হারে কয়েকটি টুকরা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। অবশেষে থানায় অভিযোগ হওয়ার পর ইউনিয়ন মেম্বার নয়ন তিন দিন সময় নিয়েছিলেন ঘটনার সুরাহা করার জন্য। যা আজও করা হয়নি। ইসলাম পাড়ার সাধারন জনগন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। এখন অবশ্যই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।