নারায়ণগঞ্জ ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

আড়াইহাজারে মাংস সমিতির জনপ্রিয়তা বাড়ছে

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪১:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১
  • ১৫৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ জিয়াউর রহমান: বেশ কয়েক বছর ধরে নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘মাংস সমিতি’ বা ‘গরু সমিতি’। উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়নে এ বছর ৫’শ এর ও বেশি সমিতি গরীব , নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের মাংসের চাহিদা পুরন করেছে। সারাবছর একটু একটু করে সঞ্চয় করে ঈদের আগে পশু কিনে জবাই করে মাংস ভাগ করে নেন ‘মাংস সমিতি’র সদস্যরা। এতে করে ঈদে গরীব মানুষ বাড়তি আনন্দ পায় এবং তাদের আর্থিক চাপও কমে যায়।

আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া বা মহল্লায় ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এ ধরনের মাংস বা গরু সমিতি গঠন করা হয়। শুরুতে শুধুমাত্র নিম্নবিত্ত মানুষেরা এ ধরনের সমিতি করলেও এখন মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তরা ও মাংস সমিতি করছেন। মাংস সমিতির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গ্রামের লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দশ-বারো বছর আগে দু’একটি গ্রামে পেশাদার মাংস বিক্রেতারা পরীক্ষা মূলকভাবে এ ধরনের সমিতি চালু করেছিল। কসাইদের দেখানো পথে অনেকেই হেটেছেন। প্রতিবছর বাড়ছে মাংস সমিতির সংখ্যা।

এ বছর আড়াইহাজার উপজেলার ৩১৬ টি গ্রামে সমিতির সংখ্যা ১ হাজারের চেয়ে বেশি হয়েছে বলে জানাগেছে। মাংস সমিতিতে সচরাচর সদস্য সংখ্যা হয়ে থাকে ২০ থেকে ৪০ জন পর্যন্ত। প্রত্যেক সদস্য সপ্তাহে বা মাসে চাঁদা জমা দেন। ঈদুল ফিতরের দু’একদিন আগে জমা করা টাকায় গরু বা ছাগল কিনে এনে জবাই করে সদস্যরা মাংস ভাগ করে নেন। তবে চামড়া বিক্রির টাকা পরের বছরের জন্য তহবিল গঠন করে সমিতির কার্য্যক্রম চলে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

আড়াইহাজারে মাংস সমিতির জনপ্রিয়তা বাড়ছে

আপডেট সময় : ১০:৪১:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১

মোঃ জিয়াউর রহমান: বেশ কয়েক বছর ধরে নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘মাংস সমিতি’ বা ‘গরু সমিতি’। উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়নে এ বছর ৫’শ এর ও বেশি সমিতি গরীব , নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের মাংসের চাহিদা পুরন করেছে। সারাবছর একটু একটু করে সঞ্চয় করে ঈদের আগে পশু কিনে জবাই করে মাংস ভাগ করে নেন ‘মাংস সমিতি’র সদস্যরা। এতে করে ঈদে গরীব মানুষ বাড়তি আনন্দ পায় এবং তাদের আর্থিক চাপও কমে যায়।

আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া বা মহল্লায় ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এ ধরনের মাংস বা গরু সমিতি গঠন করা হয়। শুরুতে শুধুমাত্র নিম্নবিত্ত মানুষেরা এ ধরনের সমিতি করলেও এখন মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তরা ও মাংস সমিতি করছেন। মাংস সমিতির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গ্রামের লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দশ-বারো বছর আগে দু’একটি গ্রামে পেশাদার মাংস বিক্রেতারা পরীক্ষা মূলকভাবে এ ধরনের সমিতি চালু করেছিল। কসাইদের দেখানো পথে অনেকেই হেটেছেন। প্রতিবছর বাড়ছে মাংস সমিতির সংখ্যা।

এ বছর আড়াইহাজার উপজেলার ৩১৬ টি গ্রামে সমিতির সংখ্যা ১ হাজারের চেয়ে বেশি হয়েছে বলে জানাগেছে। মাংস সমিতিতে সচরাচর সদস্য সংখ্যা হয়ে থাকে ২০ থেকে ৪০ জন পর্যন্ত। প্রত্যেক সদস্য সপ্তাহে বা মাসে চাঁদা জমা দেন। ঈদুল ফিতরের দু’একদিন আগে জমা করা টাকায় গরু বা ছাগল কিনে এনে জবাই করে সদস্যরা মাংস ভাগ করে নেন। তবে চামড়া বিক্রির টাকা পরের বছরের জন্য তহবিল গঠন করে সমিতির কার্য্যক্রম চলে।