মোঃ জিয়াউর রহমান: বেশ কয়েক বছর ধরে নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘মাংস সমিতি’ বা ‘গরু সমিতি’। উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়নে এ বছর ৫’শ এর ও বেশি সমিতি গরীব , নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের মাংসের চাহিদা পুরন করেছে। সারাবছর একটু একটু করে সঞ্চয় করে ঈদের আগে পশু কিনে জবাই করে মাংস ভাগ করে নেন ‘মাংস সমিতি’র সদস্যরা। এতে করে ঈদে গরীব মানুষ বাড়তি আনন্দ পায় এবং তাদের আর্থিক চাপও কমে যায়।
আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া বা মহল্লায় ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এ ধরনের মাংস বা গরু সমিতি গঠন করা হয়। শুরুতে শুধুমাত্র নিম্নবিত্ত মানুষেরা এ ধরনের সমিতি করলেও এখন মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তরা ও মাংস সমিতি করছেন। মাংস সমিতির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গ্রামের লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দশ-বারো বছর আগে দু’একটি গ্রামে পেশাদার মাংস বিক্রেতারা পরীক্ষা মূলকভাবে এ ধরনের সমিতি চালু করেছিল। কসাইদের দেখানো পথে অনেকেই হেটেছেন। প্রতিবছর বাড়ছে মাংস সমিতির সংখ্যা।
এ বছর আড়াইহাজার উপজেলার ৩১৬ টি গ্রামে সমিতির সংখ্যা ১ হাজারের চেয়ে বেশি হয়েছে বলে জানাগেছে। মাংস সমিতিতে সচরাচর সদস্য সংখ্যা হয়ে থাকে ২০ থেকে ৪০ জন পর্যন্ত। প্রত্যেক সদস্য সপ্তাহে বা মাসে চাঁদা জমা দেন। ঈদুল ফিতরের দু’একদিন আগে জমা করা টাকায় গরু বা ছাগল কিনে এনে জবাই করে সদস্যরা মাংস ভাগ করে নেন। তবে চামড়া বিক্রির টাকা পরের বছরের জন্য তহবিল গঠন করে সমিতির কার্য্যক্রম চলে।