নারায়ণগঞ্জ ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া মাহফিল সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্রদলের মিছিলে রিফাতের চমক সিদ্ধিরগঞ্জে সৃষ্টি যুব সংসদের উদ্যোগে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া সিদ্ধিরগঞ্জে সন্ত্রাস চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ আজাদের নির্দেশে কালাপাহাড়িয়ায় বিএনপির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর সোনারগাঁওয়ে গণিত অলিম্পিয়াড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জমকালো আয়োজনে সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রি-পেইড মিটার বাতিল চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম সিদ্ধিরগঞ্জের বিক্ষুব্দ গ্রাহকদের

আড়াইহাজারে মাংস সমিতির জনপ্রিয়তা বাড়ছে

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪১:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১
  • ১৭৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ জিয়াউর রহমান: বেশ কয়েক বছর ধরে নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘মাংস সমিতি’ বা ‘গরু সমিতি’। উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়নে এ বছর ৫’শ এর ও বেশি সমিতি গরীব , নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের মাংসের চাহিদা পুরন করেছে। সারাবছর একটু একটু করে সঞ্চয় করে ঈদের আগে পশু কিনে জবাই করে মাংস ভাগ করে নেন ‘মাংস সমিতি’র সদস্যরা। এতে করে ঈদে গরীব মানুষ বাড়তি আনন্দ পায় এবং তাদের আর্থিক চাপও কমে যায়।

আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া বা মহল্লায় ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এ ধরনের মাংস বা গরু সমিতি গঠন করা হয়। শুরুতে শুধুমাত্র নিম্নবিত্ত মানুষেরা এ ধরনের সমিতি করলেও এখন মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তরা ও মাংস সমিতি করছেন। মাংস সমিতির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গ্রামের লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দশ-বারো বছর আগে দু’একটি গ্রামে পেশাদার মাংস বিক্রেতারা পরীক্ষা মূলকভাবে এ ধরনের সমিতি চালু করেছিল। কসাইদের দেখানো পথে অনেকেই হেটেছেন। প্রতিবছর বাড়ছে মাংস সমিতির সংখ্যা।

এ বছর আড়াইহাজার উপজেলার ৩১৬ টি গ্রামে সমিতির সংখ্যা ১ হাজারের চেয়ে বেশি হয়েছে বলে জানাগেছে। মাংস সমিতিতে সচরাচর সদস্য সংখ্যা হয়ে থাকে ২০ থেকে ৪০ জন পর্যন্ত। প্রত্যেক সদস্য সপ্তাহে বা মাসে চাঁদা জমা দেন। ঈদুল ফিতরের দু’একদিন আগে জমা করা টাকায় গরু বা ছাগল কিনে এনে জবাই করে সদস্যরা মাংস ভাগ করে নেন। তবে চামড়া বিক্রির টাকা পরের বছরের জন্য তহবিল গঠন করে সমিতির কার্য্যক্রম চলে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া মাহফিল

আড়াইহাজারে মাংস সমিতির জনপ্রিয়তা বাড়ছে

আপডেট সময় : ১০:৪১:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১

মোঃ জিয়াউর রহমান: বেশ কয়েক বছর ধরে নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘মাংস সমিতি’ বা ‘গরু সমিতি’। উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়নে এ বছর ৫’শ এর ও বেশি সমিতি গরীব , নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের মাংসের চাহিদা পুরন করেছে। সারাবছর একটু একটু করে সঞ্চয় করে ঈদের আগে পশু কিনে জবাই করে মাংস ভাগ করে নেন ‘মাংস সমিতি’র সদস্যরা। এতে করে ঈদে গরীব মানুষ বাড়তি আনন্দ পায় এবং তাদের আর্থিক চাপও কমে যায়।

আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া বা মহল্লায় ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এ ধরনের মাংস বা গরু সমিতি গঠন করা হয়। শুরুতে শুধুমাত্র নিম্নবিত্ত মানুষেরা এ ধরনের সমিতি করলেও এখন মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তরা ও মাংস সমিতি করছেন। মাংস সমিতির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গ্রামের লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দশ-বারো বছর আগে দু’একটি গ্রামে পেশাদার মাংস বিক্রেতারা পরীক্ষা মূলকভাবে এ ধরনের সমিতি চালু করেছিল। কসাইদের দেখানো পথে অনেকেই হেটেছেন। প্রতিবছর বাড়ছে মাংস সমিতির সংখ্যা।

এ বছর আড়াইহাজার উপজেলার ৩১৬ টি গ্রামে সমিতির সংখ্যা ১ হাজারের চেয়ে বেশি হয়েছে বলে জানাগেছে। মাংস সমিতিতে সচরাচর সদস্য সংখ্যা হয়ে থাকে ২০ থেকে ৪০ জন পর্যন্ত। প্রত্যেক সদস্য সপ্তাহে বা মাসে চাঁদা জমা দেন। ঈদুল ফিতরের দু’একদিন আগে জমা করা টাকায় গরু বা ছাগল কিনে এনে জবাই করে সদস্যরা মাংস ভাগ করে নেন। তবে চামড়া বিক্রির টাকা পরের বছরের জন্য তহবিল গঠন করে সমিতির কার্য্যক্রম চলে।