নারায়ণগঞ্জ ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিচার পতির সাথে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাক্ষাৎ রূপগঞ্জে ইয়াবাসহ জিয়া মঞ্চ দলের নেতা গ্রেফতার মহানগর কৃষকদলের সভাপতি এনামুল হক স্বপন ও সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল কে হাসান আল মামুনের শুভেচ্ছা সৌদি আরবে “ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি সোসাইটি”র বনভোজন ও নাশিদ সন্ধ্যা সৌদি প্রবাসী দালাল ইব্রাহিমের বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল দেশ রূপান্তরের নতুন সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ রিয়াদে এনটিভি দর্শক ফোরামের উদ্যোগে জমকালো আয়োজনে ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপন যুবকদের আগামীতে এইদেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে – মাজেদুল ইসলাম সৌদিতে প্রবাসী আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা

খাবারের ব্যবস্থা না করে লকডাউন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবাস্তব : ন্যাপ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১
  • ১৭৫ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি : দেশের বর্তমান করোনা দুর্যোগ ও লকডাউনের ফলে খেটে খাওয়া মানুষ আজ সংকটাপন্ন। এই অবস্থায় নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের খাবারের ব্যবস্থা না করে লকডাউন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবাস্তব চিন্তার ফসল ছাড়া অন্য কিছুই নয় বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, কঠোর লকডাউনের কোনো আলামত নেই সাধারণের চোখে। ব্যাংক, কলকারখানা, গার্মেন্টস, সীমিত পরিসর ও সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান-প্রতিষ্ঠান খোলা, বন্ধ গণপরিবহন, সাধারণ যানবাহন। এতে কেউ হাঁটে, কেউ ঘাটে আর সাধারণ জনগণ নিরুপায় নিষ্ক্রিয় হয়ে ঘরে আটকা।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, করোনার মত মহামারীর থাবা থেকে আমরা কীভাবে মুক্তি পাব, সে প্রশ্নে যাওয়ার আগে আমাদের আর্থিক সামর্থ্যকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আনা উচিত। আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি শ্রমনির্ভর, কৃষি-গার্মেন্টস ও প্রবাসীর অর্জননির্ভর। সাম্প্রতিকালে কৃষি থেকে খাদ্য নিরাপত্তা মোটামুটি নিশ্চিত থাকলেও দেশের অর্থনীতির নিয়ামক গার্মেন্টসশিল্প ও প্রবাসীর আয় করোনার প্রাদুর্ভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। দেশের অভ্যন্তরে শ্রমজীবী, প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক/কর্মচারী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, সাধারণ জনগোষ্ঠীর অর্থনীতি মারাত্মক বিপর্যযয়ে পড়েছে।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, লকডাউন কঠোর করতে হলে সংকটে থাকা সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে হবে। ঘরে রাখা সম্ভব তাদের আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার মাধ্যমে। সরকার ঘোষিত আড়াই হাজার টাকা করে মাসিক প্রণোদনা দিলে ১ মাসে ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকার বিষয়। যদি লকডাউন দীর্ঘ মেয়াদে করতে হয়, তবে কি দেশ সে ভার বহন করতে সক্ষম হবে? ঘাড় খড়্গ নিয়ে সরকার যদি তা করেও, তবে কি পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাড়াঁনোর শক্তি অবশিষ্ট থাকবে কি? বর্তমান সময়ে তা বাস্তবায়ন করা অনেকের মতে অসম্ভব। এ অবস্থায় ঢিলেঢালা লকডাউনের ভার দেশ আর বহন করতে পারে না।

তারা বলেন, করোনা প্রতিরোধে আমাদের গতানুগতিক কৌশলকে নতুন করে ঢেলে সাজানো উচিত। লকডাউনের কার্যকারিতা যেহেতু আশানুরূপ পর্যায়ে নাই, তাই তা প্রত্যাহার করে মানুষের জীবনের গতিকে ফিরিয়ে আনা উচিত। গত বছরের লকডাউনে প্রান্তিক মানুষ দুর্দশায় পড়েছিলেন। দুর্দশা লাঘবে সরকারি প্রচেষ্টা খুব একটা সফল হয়নি, রিলিফের চাল-ডাল প্রচলিত নিয়মে অনেকটাই স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের প্রান্তিক কর্মজীবীরা রোজগারের ব্যবস্থা হারিয়ে এবারও কষ্টে পড়েছেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, বিজ্ঞানীরা শুরু থেকেই বলছেন, দ্বিতীয় এমনকি তৃতীয় ধাক্কা আসবে। তাতে কর্ণপাত না করে আমরা মগ্ন ছিলাম সংক্রমণ এবং মৃত্যু হ্রাসের কৃতিত্বে অবগাহনে। পরিস্থিতি যখন আবার খারাপের দিকে, তখন আইসিইউ, অক্সিজেন ও ন্যাজাল ক্যানোলার অভাব স্বাস্থ্যকর্মীদের দুশ্চিন্তায় ফেলছে। এই অভাব দূর করে সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছিলাম আমরা, যার সঠিক ব্যবহার হয়নি। অর্থহীন বাক্যব্যয় না করে, এখনো এসবেই দ্বিগুণ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন দেশের স্বাস্থ্য নেতৃত্বের।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিচার পতির সাথে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাক্ষাৎ

খাবারের ব্যবস্থা না করে লকডাউন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবাস্তব : ন্যাপ

আপডেট সময় : ১২:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি : দেশের বর্তমান করোনা দুর্যোগ ও লকডাউনের ফলে খেটে খাওয়া মানুষ আজ সংকটাপন্ন। এই অবস্থায় নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের খাবারের ব্যবস্থা না করে লকডাউন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবাস্তব চিন্তার ফসল ছাড়া অন্য কিছুই নয় বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, কঠোর লকডাউনের কোনো আলামত নেই সাধারণের চোখে। ব্যাংক, কলকারখানা, গার্মেন্টস, সীমিত পরিসর ও সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান-প্রতিষ্ঠান খোলা, বন্ধ গণপরিবহন, সাধারণ যানবাহন। এতে কেউ হাঁটে, কেউ ঘাটে আর সাধারণ জনগণ নিরুপায় নিষ্ক্রিয় হয়ে ঘরে আটকা।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, করোনার মত মহামারীর থাবা থেকে আমরা কীভাবে মুক্তি পাব, সে প্রশ্নে যাওয়ার আগে আমাদের আর্থিক সামর্থ্যকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আনা উচিত। আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি শ্রমনির্ভর, কৃষি-গার্মেন্টস ও প্রবাসীর অর্জননির্ভর। সাম্প্রতিকালে কৃষি থেকে খাদ্য নিরাপত্তা মোটামুটি নিশ্চিত থাকলেও দেশের অর্থনীতির নিয়ামক গার্মেন্টসশিল্প ও প্রবাসীর আয় করোনার প্রাদুর্ভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। দেশের অভ্যন্তরে শ্রমজীবী, প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক/কর্মচারী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, সাধারণ জনগোষ্ঠীর অর্থনীতি মারাত্মক বিপর্যযয়ে পড়েছে।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, লকডাউন কঠোর করতে হলে সংকটে থাকা সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে হবে। ঘরে রাখা সম্ভব তাদের আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার মাধ্যমে। সরকার ঘোষিত আড়াই হাজার টাকা করে মাসিক প্রণোদনা দিলে ১ মাসে ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকার বিষয়। যদি লকডাউন দীর্ঘ মেয়াদে করতে হয়, তবে কি দেশ সে ভার বহন করতে সক্ষম হবে? ঘাড় খড়্গ নিয়ে সরকার যদি তা করেও, তবে কি পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাড়াঁনোর শক্তি অবশিষ্ট থাকবে কি? বর্তমান সময়ে তা বাস্তবায়ন করা অনেকের মতে অসম্ভব। এ অবস্থায় ঢিলেঢালা লকডাউনের ভার দেশ আর বহন করতে পারে না।

তারা বলেন, করোনা প্রতিরোধে আমাদের গতানুগতিক কৌশলকে নতুন করে ঢেলে সাজানো উচিত। লকডাউনের কার্যকারিতা যেহেতু আশানুরূপ পর্যায়ে নাই, তাই তা প্রত্যাহার করে মানুষের জীবনের গতিকে ফিরিয়ে আনা উচিত। গত বছরের লকডাউনে প্রান্তিক মানুষ দুর্দশায় পড়েছিলেন। দুর্দশা লাঘবে সরকারি প্রচেষ্টা খুব একটা সফল হয়নি, রিলিফের চাল-ডাল প্রচলিত নিয়মে অনেকটাই স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের প্রান্তিক কর্মজীবীরা রোজগারের ব্যবস্থা হারিয়ে এবারও কষ্টে পড়েছেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, বিজ্ঞানীরা শুরু থেকেই বলছেন, দ্বিতীয় এমনকি তৃতীয় ধাক্কা আসবে। তাতে কর্ণপাত না করে আমরা মগ্ন ছিলাম সংক্রমণ এবং মৃত্যু হ্রাসের কৃতিত্বে অবগাহনে। পরিস্থিতি যখন আবার খারাপের দিকে, তখন আইসিইউ, অক্সিজেন ও ন্যাজাল ক্যানোলার অভাব স্বাস্থ্যকর্মীদের দুশ্চিন্তায় ফেলছে। এই অভাব দূর করে সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছিলাম আমরা, যার সঠিক ব্যবহার হয়নি। অর্থহীন বাক্যব্যয় না করে, এখনো এসবেই দ্বিগুণ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন দেশের স্বাস্থ্য নেতৃত্বের।