নারায়ণগঞ্জ ০১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

মাদকে ভাগ্য বদল মিজমিজির পলাশের

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১
  • ৫৫১ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি পশ্চিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা পলাশ (৪৩)। পিতার নাম আব্দুস সালাম। গত ৫ বছর আগে ছিলের গাড়ি চালক। এখন তিনি কোটিপতি। নয়টি পিকআপ, দুইটি প্রাইভেটকার, তিনটি জেক গাড়ি ও বহুতল ভবনের মালিক ড্রাইভার পলাশ। অল্প সময়ে তিনি কি ভাবে এত টাকার মালিক হলেন প্রশ্ন স্থানীয়দের।

অভিযোগ জানা গেছে, পলাশ রাতা রাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার আসল রহস্য মাদক ব্যবসা আর রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার দালালি। হঠাৎ বিত্তবান হয়ে যাওয়া পলাশকে নিয়ে এলাকায় কৌতুহল সৃষ্টি হলেও তার আয়ের উৎস খুঁজে পাচ্ছিলনা স্থানীয়রা। তার বিত্তবান হওয়ার রহস্য প্রকাশ পায় গত ১৯ মার্চ আড়াইহাজার থানার বিশনন্দী ফেরীঘাট এলাকায় র‌্যাবের অভিযানে সবজিবাহী পিকআপ আটক করে ৭১ কেজি গাঁজা উদ্ধারের পর। সেদিন গাঁজাসহ আটক হওয়া (ঢাকা-মেট্রো-ন-১৩-৩২৮১) পিকআপটির মালিক এই পলাশ। বর্তামানে গাড়িটি আড়াইহাজার থানায় জব্দ রয়েছে। সেদিন গাজাসহ আটক হয় নূর আলম ও আলাউদ্দিন। তাদের একজন পলাশের গাড়ির চালক। বিত্তবান হওয়ার পর থেকেই নাসিক ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের অন্যতম সহযোগী হয়ে পড়ায় পলাশ এলাকায় দাপট দেখাতে শুরু করে। ভয়ে তার আয়ের উৎস নিয়ে তেমন মাথা ঘামায়নি স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পলাশ ছিলেন অন্যের গাড়ির চালক। তখন তিনি মাদক পাচারে জড়িয়ে যায়। কিছুদিনেই মধ্যে নিজে একটি গাড়ি কিনে ফেলে। অন্যের গাড়ি বাদ দিয়ে নিজের গাড়ি চালানো শুরু করে। মাদকের কাঁচা টাকায় অল্পদিনে একে একে করে ফেলে নয়টি পিকআপ, তিনটি জেক ও দুইটি প্রাইভেটকার। মিজমিজি এলাকায় জমি কিনে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ কাজও চলছে। এরই মধ্যে বাড়ির তিনতলার কাজ শেষ হয়েছে। চতুর্থ তলার কাজ চলামান রয়েছে। এখন নিজে গাড়ি চালানো ছেড়ে রাজকীয় বেস ধারণ করে সঙ্গবদ্ধ একটি বাহিনী গড়ে তুলে কৌশলে মাদক পাচার ও ব্যবসা চালাচ্ছে এই পলাশ। অভিযোগ রয়েছে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট করার দালালি করতে গিয়ে ধরাও পরেছিলেন তিনি। বি-বাড়িয়া ও কক্সবাজার থেকে পলাশের গাড়ি দিয়ে অবিনব কৌশলে মাদকের বড় বড় চালান আনা হয়।

জানাগেছে, এই পলাশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা একটি মারামারি হামলা ভাঙচুর মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি। গত বছরের ১ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টার দিকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পলাশ তার বাহিনী নিয়ে একই এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে হাসানের উপর হামলা চালিয়ে মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এঘটনায় পলাশসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধিন রয়েছে।

এবিষয়ে পলাশের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে তিনি বলেন, একজন চালক গাড়িটি নিয়মিত চালাইত। সে আমাকে না জানিয়ে অন্যএকজন চালককে বদলি হিসেবে দেয়। সেই চালকই মাদক বহনে জড়িত ছিল। বিষয়টি আমি জানতে পারি গাড়িটি আটক হওয়ার পর। পাসপোর্ট দালালির অভিযোগটিও তিনি অস্বীকার করেন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

মাদকে ভাগ্য বদল মিজমিজির পলাশের

আপডেট সময় : ১০:৪৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি পশ্চিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা পলাশ (৪৩)। পিতার নাম আব্দুস সালাম। গত ৫ বছর আগে ছিলের গাড়ি চালক। এখন তিনি কোটিপতি। নয়টি পিকআপ, দুইটি প্রাইভেটকার, তিনটি জেক গাড়ি ও বহুতল ভবনের মালিক ড্রাইভার পলাশ। অল্প সময়ে তিনি কি ভাবে এত টাকার মালিক হলেন প্রশ্ন স্থানীয়দের।

অভিযোগ জানা গেছে, পলাশ রাতা রাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার আসল রহস্য মাদক ব্যবসা আর রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার দালালি। হঠাৎ বিত্তবান হয়ে যাওয়া পলাশকে নিয়ে এলাকায় কৌতুহল সৃষ্টি হলেও তার আয়ের উৎস খুঁজে পাচ্ছিলনা স্থানীয়রা। তার বিত্তবান হওয়ার রহস্য প্রকাশ পায় গত ১৯ মার্চ আড়াইহাজার থানার বিশনন্দী ফেরীঘাট এলাকায় র‌্যাবের অভিযানে সবজিবাহী পিকআপ আটক করে ৭১ কেজি গাঁজা উদ্ধারের পর। সেদিন গাঁজাসহ আটক হওয়া (ঢাকা-মেট্রো-ন-১৩-৩২৮১) পিকআপটির মালিক এই পলাশ। বর্তামানে গাড়িটি আড়াইহাজার থানায় জব্দ রয়েছে। সেদিন গাজাসহ আটক হয় নূর আলম ও আলাউদ্দিন। তাদের একজন পলাশের গাড়ির চালক। বিত্তবান হওয়ার পর থেকেই নাসিক ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের অন্যতম সহযোগী হয়ে পড়ায় পলাশ এলাকায় দাপট দেখাতে শুরু করে। ভয়ে তার আয়ের উৎস নিয়ে তেমন মাথা ঘামায়নি স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পলাশ ছিলেন অন্যের গাড়ির চালক। তখন তিনি মাদক পাচারে জড়িয়ে যায়। কিছুদিনেই মধ্যে নিজে একটি গাড়ি কিনে ফেলে। অন্যের গাড়ি বাদ দিয়ে নিজের গাড়ি চালানো শুরু করে। মাদকের কাঁচা টাকায় অল্পদিনে একে একে করে ফেলে নয়টি পিকআপ, তিনটি জেক ও দুইটি প্রাইভেটকার। মিজমিজি এলাকায় জমি কিনে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ কাজও চলছে। এরই মধ্যে বাড়ির তিনতলার কাজ শেষ হয়েছে। চতুর্থ তলার কাজ চলামান রয়েছে। এখন নিজে গাড়ি চালানো ছেড়ে রাজকীয় বেস ধারণ করে সঙ্গবদ্ধ একটি বাহিনী গড়ে তুলে কৌশলে মাদক পাচার ও ব্যবসা চালাচ্ছে এই পলাশ। অভিযোগ রয়েছে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট করার দালালি করতে গিয়ে ধরাও পরেছিলেন তিনি। বি-বাড়িয়া ও কক্সবাজার থেকে পলাশের গাড়ি দিয়ে অবিনব কৌশলে মাদকের বড় বড় চালান আনা হয়।

জানাগেছে, এই পলাশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা একটি মারামারি হামলা ভাঙচুর মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি। গত বছরের ১ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টার দিকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পলাশ তার বাহিনী নিয়ে একই এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে হাসানের উপর হামলা চালিয়ে মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এঘটনায় পলাশসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধিন রয়েছে।

এবিষয়ে পলাশের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে তিনি বলেন, একজন চালক গাড়িটি নিয়মিত চালাইত। সে আমাকে না জানিয়ে অন্যএকজন চালককে বদলি হিসেবে দেয়। সেই চালকই মাদক বহনে জড়িত ছিল। বিষয়টি আমি জানতে পারি গাড়িটি আটক হওয়ার পর। পাসপোর্ট দালালির অভিযোগটিও তিনি অস্বীকার করেন।