নারায়ণগঞ্জ সংবাদ রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট নিমার্ণাধীন ব্রিজ এলাকায় শীতলক্ষ্যায় ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চটি ১৮ ঘন্টা পর উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসা হয়। লঞ্চটি ভেতর থেকে শিশু, নারী ও পুরুষের ২১ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ এর আগে রাতে আরোও ৫ নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল৷
রাতে উদ্ধারকর্মীরা ৫ নারীর লাশ উদ্ধার করেছে বলে জানান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক৷ লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে৷ নিহতরা হলেন: মুন্সিগঞ্জ সদরের উত্তর চরমসুরার ওয়ালিউল্লাহের স্ত্রী পাখিনা (৪৫), মুন্সিগঞ্জ সদরের প্রীতিময় শর্মার স্ত্রী প্রতিমা শর্মা (৫৩), মালপাড়ার হারাধন সাহার স্ত্রী সুনিতা সাহা (৪০) ও নোয়াগাঁও পূর্বপাড়ার দুখু মিয়ার মেয়ে ছাউদা আক্তার লতা (১৮)৷
এদিকে দুপুর সোয়া বারোটার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি তীরে আনা হলে ভেতরে লাশ দেখা যায় ৷ দুপুর পর্যন্ত ২১টি নতুন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷
নারায়ণগঞ্জ নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল আলম জানান, চরসৈয়দপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যায় নির্মাণাধীন সেতুর কাছাকাছি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় এম এল সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটি ডুবে যায৷ নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের দিকে রওয়ানা হয়েছিল ডুবে যাওয়া লঞ্চটি।
গত রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে সদর মডেল থানাধীন চর সৈয়দপুর এলাকায় একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চে শতাধিক যাত্রী ছিল৷ রাতেই ২৯ জন সাঁতরে তীরে ওঠেন৷ লঞ্চ ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, দমকল বাহিনী, নৌ ও থানা পুলিশের উদ্ধারকর্মীরা৷