নারায়ণগঞ্জ ০৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে অপকর্ম চাঁদাবাজি সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও সাবেক সেনা পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ

সংস্কারবাদী আঙ্গুরের ভাতিজা সুমন পৈত্রিক সূত্রে বিএনপির সভাপতি!

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০১:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১
  • ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

আড়াইহাজার প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপির রাজনীতি বলতে বুঝাতো প্রয়াত বিএনপি নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরু ও তারই ভাই সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর। কিন্তু খসরুর মৃত্যুর পর আড়াইহাজারে বিএনপির রাজনীতিতে নড়াদশা। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আড়াইহাজারে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে একটি কর্মসূচিও পালন করতে পারেনি তারা।

অথচ সেখানে বিএনপির দুটি কার্যালয়। যার একটি প্রতিষ্ঠা করেছেন খসরু ও আরেকটি আঙ্গুর। দুটি কার্যালয়ের তালাও খুলতে পারেনি সেখানের বিএনপি নেতারা। অথচ নিজেদের মধ্যে কমিটি ও কমিটির পদ পদবী অনুগতদের দিয়ে ভাগিয়ে নিতে চলছে লড়াই। আড়াইহাজার বিএনপির কমিটি নিয়ন্ত্রনের লড়াইয়ে এখন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান সুমন। যেখানে আঙ্গুর রয়েছেন নীরব।

সূত্রে, ১/১১ এর কঠিন সময়ে জিয়া পরিবারের রাজনীতি বাদ দিয়ে সংস্কারবাদীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বিএনপির একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর। অথচ তিনি ছিলেন একটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। সেখান থেকে তাকে বিএনপিতে নিয়ে আসেন প্রয়াত খসরু। কয়েক বছর পূর্বে আবারো দলে নেয় আঙ্গুরকে। কিন্তু রাজপথের আন্দোলনে সংগ্রামে তার কোন হদিশ পাওয়া যায়নি। যদিও জেলা বিএনপির বিগত কমিটিতে তাকে সদস্য পদে রাখা হয়েছিল। বর্তমান কমিটি হওয়ার আগে জেলা বিএনপির সভাপতি পদে চেয়ে আঙ্গুরের পোস্টার ছেয়েছিল জেলায়।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্র্রাথমিকভাবে আতাউর রহমান আঙ্গুর, নজরুল ইসলাম আজাদ ও মাহমুদুর রহমান সুমন মনোনয়ন পায়। কিন্তু চূড়ান্তভাবে নজরুল ইসলাম আজাদকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এর বছর দেড়েক আগে মৃত্যুবরণ করেন বদরুজ্জামান খান খসরু। তার মৃত্যুর পর হটাত করে বিএনপির রাজনীতিতে উদয় হয় মাহমুদুর রহমান সুমনের। যাকে এর আগে রাজপথের আন্দোলনে তো দুরের কথা বিএনপির মানববন্ধনেও দেখা মিলেনি। জোর করে হয়ে যান আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। তার পিতা খসরু ছিলেন আড়াইহাজার বিএনপির সভাপতি। একই সঙ্গে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।

২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি হোন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও সেক্রেটারি কাজী মনিরুজ্জামান মনির। কমিটি গঠনের কয়েক মাসের মাথায় আড়াইহাজারে বদরুজ্জামান খান খসরুকে সভাপতি ও হাবিবুর রহমান হাবুকে সেক্রেটারি করে একটি কমিটি দেন তৈমূর ও কাজী মনির। যে কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মীরজুল হাসান নযন মোল্লা ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লাকে রাখা হয়।

২০১৩ সালের দিকে আড়াইহাজারে ধীরে ধীরে উদয় হয় নজরুল ইসলাম আজাদ। ওই সময় থেকে হাবিবুর রহমান হাবু খসরুর নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যেতে থাকেন। এক পর্যায়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে হাবুকে শোকজ করা হয়। শোকজের জবাব না দেয়ায় হাবুকে অব্যাহতি দিয়ে আব্দুল কাশেম ফকিরকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বসান তৈমূর আলম খন্দকার। পরবর্তীতে খসরুর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়ান হলে তৈমূর আলম মৌখিকভাবে হাবুকেই সেক্রেটারি পদে থাকার বৈধতা দেন বিভিন্ন কর্মসূচিতে। তারপর থেকে দুজনই সেক্রেটারি পরিচয় দেয়। হাবু একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আজাদের সঙ্গে রাজনীতিতে জড়িতদের বেশির ভাগ বিতর্কিত। আজাদের ছোট ভাইও কদিন আগে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছিল।

গত নির্বাচনের পূর্বে আজাদের বিরুদ্ধে জিডিও করেছিল হাবু। কাশেম ফকিরকে ফুলের মালা দিয়ে আওয়ামীলীগে বরণ করেছিল স্থানীয় আওয়ামীলীগের এমপি। যে ছবি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভায় তুলে ধরেছিলেন আড়াইহাজার বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি ইউসুফ আলী ভুঁইয়া। সভার মাঝখানেই সভাস্থল ত্যাগ করেছিলেন কাশেম ফকির। কাশেম ফকির ও হাবু জেলা বিএনপির সদস্য।

এমন পরিস্থিতিতে খসরুর মৃত্যুর পর খসরুর অনুগত নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে খসরুর ছেলে মাহমুদুর রহমান সুমন নিজেই আড়াইহাজার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়ে যান। কার্যত দলীয় নিয়মে সিনিয়র সভাপতি মীরজুল হাসান নয়ন মোল্লাকেই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করার কথা।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীরজুল হাসান নয়ন মোল্লা সান নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আসলে এখন রাজনীতি থেকে একটু নীরব রয়েছি। সুমন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কিভাবে হলো সেটা সে বলতে পারবে। তবে শুনেছি তৈমূর সাহেব নাকি এককভাবে গোপনে আরেকটি কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেণ সেখানে সুমনের নাম নাকি রয়েছে। তবে এসব বিষয় নিয়ে এখন কথা বলতে চাইনা। কারন রাজনীতি থেকে দুরে আছি।’

তবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুয়েল হোসেনের কাছে আড়াইহাজার বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারি কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খসরু সাহেব সভাপতি ছিলেন, সেক্রেটারি পদে হাবিবুর রহমান হাবু। আর সুমন ভুয়া, সে ভারপ্র্রাপ্ত সভাপতি না। সে পৈত্রিক সূত্রে এখন ভারপ্র্রাপ্ত সভাপতি হয়ে গেছে।’

আড়াইহাজারে সভাপতি ও সেক্রেটারি কে রয়েছেন জানতে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহামুদ বলেন, খসরু সাহেবের মৃত্যুর পর আমরা আড়াইহাজারে ধরে নিয়েছি সেখানে কমিটি সাইলেন্স। আমরা অচিরেই সেখানে আহ্বায়ক কমিটি দিব। যেহেতু কমিটি দিব, তাই পুরনো কাসন্দি ঘাটাঘাটি করে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাই না। আমরা নতুন কমিটি দিব এটাই ফাইনাল।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে অপকর্ম চাঁদাবাজি

সংস্কারবাদী আঙ্গুরের ভাতিজা সুমন পৈত্রিক সূত্রে বিএনপির সভাপতি!

আপডেট সময় : ০২:০১:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১

আড়াইহাজার প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপির রাজনীতি বলতে বুঝাতো প্রয়াত বিএনপি নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরু ও তারই ভাই সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর। কিন্তু খসরুর মৃত্যুর পর আড়াইহাজারে বিএনপির রাজনীতিতে নড়াদশা। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আড়াইহাজারে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে একটি কর্মসূচিও পালন করতে পারেনি তারা।

অথচ সেখানে বিএনপির দুটি কার্যালয়। যার একটি প্রতিষ্ঠা করেছেন খসরু ও আরেকটি আঙ্গুর। দুটি কার্যালয়ের তালাও খুলতে পারেনি সেখানের বিএনপি নেতারা। অথচ নিজেদের মধ্যে কমিটি ও কমিটির পদ পদবী অনুগতদের দিয়ে ভাগিয়ে নিতে চলছে লড়াই। আড়াইহাজার বিএনপির কমিটি নিয়ন্ত্রনের লড়াইয়ে এখন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান সুমন। যেখানে আঙ্গুর রয়েছেন নীরব।

সূত্রে, ১/১১ এর কঠিন সময়ে জিয়া পরিবারের রাজনীতি বাদ দিয়ে সংস্কারবাদীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বিএনপির একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর। অথচ তিনি ছিলেন একটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। সেখান থেকে তাকে বিএনপিতে নিয়ে আসেন প্রয়াত খসরু। কয়েক বছর পূর্বে আবারো দলে নেয় আঙ্গুরকে। কিন্তু রাজপথের আন্দোলনে সংগ্রামে তার কোন হদিশ পাওয়া যায়নি। যদিও জেলা বিএনপির বিগত কমিটিতে তাকে সদস্য পদে রাখা হয়েছিল। বর্তমান কমিটি হওয়ার আগে জেলা বিএনপির সভাপতি পদে চেয়ে আঙ্গুরের পোস্টার ছেয়েছিল জেলায়।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্র্রাথমিকভাবে আতাউর রহমান আঙ্গুর, নজরুল ইসলাম আজাদ ও মাহমুদুর রহমান সুমন মনোনয়ন পায়। কিন্তু চূড়ান্তভাবে নজরুল ইসলাম আজাদকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এর বছর দেড়েক আগে মৃত্যুবরণ করেন বদরুজ্জামান খান খসরু। তার মৃত্যুর পর হটাত করে বিএনপির রাজনীতিতে উদয় হয় মাহমুদুর রহমান সুমনের। যাকে এর আগে রাজপথের আন্দোলনে তো দুরের কথা বিএনপির মানববন্ধনেও দেখা মিলেনি। জোর করে হয়ে যান আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। তার পিতা খসরু ছিলেন আড়াইহাজার বিএনপির সভাপতি। একই সঙ্গে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।

২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি হোন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও সেক্রেটারি কাজী মনিরুজ্জামান মনির। কমিটি গঠনের কয়েক মাসের মাথায় আড়াইহাজারে বদরুজ্জামান খান খসরুকে সভাপতি ও হাবিবুর রহমান হাবুকে সেক্রেটারি করে একটি কমিটি দেন তৈমূর ও কাজী মনির। যে কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মীরজুল হাসান নযন মোল্লা ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লাকে রাখা হয়।

২০১৩ সালের দিকে আড়াইহাজারে ধীরে ধীরে উদয় হয় নজরুল ইসলাম আজাদ। ওই সময় থেকে হাবিবুর রহমান হাবু খসরুর নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যেতে থাকেন। এক পর্যায়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে হাবুকে শোকজ করা হয়। শোকজের জবাব না দেয়ায় হাবুকে অব্যাহতি দিয়ে আব্দুল কাশেম ফকিরকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বসান তৈমূর আলম খন্দকার। পরবর্তীতে খসরুর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়ান হলে তৈমূর আলম মৌখিকভাবে হাবুকেই সেক্রেটারি পদে থাকার বৈধতা দেন বিভিন্ন কর্মসূচিতে। তারপর থেকে দুজনই সেক্রেটারি পরিচয় দেয়। হাবু একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আজাদের সঙ্গে রাজনীতিতে জড়িতদের বেশির ভাগ বিতর্কিত। আজাদের ছোট ভাইও কদিন আগে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছিল।

গত নির্বাচনের পূর্বে আজাদের বিরুদ্ধে জিডিও করেছিল হাবু। কাশেম ফকিরকে ফুলের মালা দিয়ে আওয়ামীলীগে বরণ করেছিল স্থানীয় আওয়ামীলীগের এমপি। যে ছবি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভায় তুলে ধরেছিলেন আড়াইহাজার বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি ইউসুফ আলী ভুঁইয়া। সভার মাঝখানেই সভাস্থল ত্যাগ করেছিলেন কাশেম ফকির। কাশেম ফকির ও হাবু জেলা বিএনপির সদস্য।

এমন পরিস্থিতিতে খসরুর মৃত্যুর পর খসরুর অনুগত নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে খসরুর ছেলে মাহমুদুর রহমান সুমন নিজেই আড়াইহাজার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়ে যান। কার্যত দলীয় নিয়মে সিনিয়র সভাপতি মীরজুল হাসান নয়ন মোল্লাকেই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করার কথা।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীরজুল হাসান নয়ন মোল্লা সান নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আসলে এখন রাজনীতি থেকে একটু নীরব রয়েছি। সুমন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কিভাবে হলো সেটা সে বলতে পারবে। তবে শুনেছি তৈমূর সাহেব নাকি এককভাবে গোপনে আরেকটি কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেণ সেখানে সুমনের নাম নাকি রয়েছে। তবে এসব বিষয় নিয়ে এখন কথা বলতে চাইনা। কারন রাজনীতি থেকে দুরে আছি।’

তবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুয়েল হোসেনের কাছে আড়াইহাজার বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারি কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খসরু সাহেব সভাপতি ছিলেন, সেক্রেটারি পদে হাবিবুর রহমান হাবু। আর সুমন ভুয়া, সে ভারপ্র্রাপ্ত সভাপতি না। সে পৈত্রিক সূত্রে এখন ভারপ্র্রাপ্ত সভাপতি হয়ে গেছে।’

আড়াইহাজারে সভাপতি ও সেক্রেটারি কে রয়েছেন জানতে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহামুদ বলেন, খসরু সাহেবের মৃত্যুর পর আমরা আড়াইহাজারে ধরে নিয়েছি সেখানে কমিটি সাইলেন্স। আমরা অচিরেই সেখানে আহ্বায়ক কমিটি দিব। যেহেতু কমিটি দিব, তাই পুরনো কাসন্দি ঘাটাঘাটি করে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাই না। আমরা নতুন কমিটি দিব এটাই ফাইনাল।