নারায়ণগঞ্জ ০২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও সাবেক সেনা পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে “প্রবাসী নাশীদ ব্যান্ডের” উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত রিয়াদে সিলেট সদর উপজেলা প্রবাসীদের উদ্যোগে সংবর্ধণা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

যারা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চায় তাদের কেন চায়ের দাওয়াত দিচ্ছেন -শামীম ওসমান

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২
  • ১৬৪ বার পড়া হয়েছে

ফতুল্লা প্রতিনিধি ঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, এখানেও ষড়যন্ত্র হয় খেলা হয়। যারা খেলছেন এতদিন চুপ ছিলাম। ধৈর্য্যের একটা সীমা আছে। সামাল দিয়ে চলেন। রাজপথ দখল করবেন করেন। আমরা বসে আছি তোমাদের সাথে খেলার জন্য৷ রাজাকারের সন্তানদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের খেলা হবে। সে খেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরাই জিতবে।রোববার (২১ আগষ্ট) বিকেলে তল্লায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
্আজ একুশে আগষ্ট। আজ থেকে একুশ বছর আগে নারায়ণগঞ্জে একটা ঘটনা ঘটেছিল। ১৬ জুন ২০০১ সালে বোমা মারা হয়েছিল। নিজের কাছে অপরাধবোধ হয়, মাফ করতে পারি না। অপরাধ করেছিলান স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে, মুক্তিযোদ্ধার ঘরে জন্ম নিয়ে। অপরাধ করেছিলাম কারণ সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে শিখেছিলাম। বেশীকিছু করিনি, শুধু বলেছিলাম এ নারায়ণগঞ্জের পবিত্র মাটি যেখানে আওয়ামী লীগের জন্ম যেখানে ভাষা আন্দোলন শুরু সেখানে বলেছিলাম নারায়ণগঞ্জের পবিত্র মাটিতে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রবেশ নিষেধ। এই অপরাধে আওয়ামী লীগ অফিসে আরডিএক্স দিয়ে হামলা করা হল। আমাদের হাত পা বিকল হয়ে গেল। আমাদের অপরাধ কি। আমাদের ২০জন মানুষ যে মরল তারা কি মানুষ না। তখন আমার জ্ঞান ছিল না। হাসপাতালে নেয়ার পর আমি জানতাম না কয়জন মারা গেছে। জ্ঞান ফেরার পরে শুধু একটা কথাই বলেছিলাম শেখ হাসিনাকে বাঁচান। আমি বলিনি আমাকে বাঁচাও কষ্ট হচ্ছে। আমি বলেছি শেখ হাসিনকে বাঁচান। কারণ আমি উপলব্দি করেছিলাম আমি মারা গেলে কিছু হবে না তবে শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ থাকবে না। এই বোমা হামলার দায়ও আমাদের দেয়া হল। আমাদের অত্যাচার করা হল। আজ বাংলাদেশে মানবাধিকারের কথা শুনি। কোথায় ছিল সেদিন মানবাধিকার। জাতিসংঘ থেকে মানবাধিকার শেখাতে আসছেন। রোহিঙ্গাদের পাঠিয়ে দিয়েছে সেখানে তো মানবাধিকার দেখালেন না।
তিনি বলেন, বিএনপিকে চায়ের দাওয়াত দেয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, কেন তাদের চায়ের দাওয়াত দেন। যারা আপনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল তাদের আপনি চায়ের দাওয়াত দিতে পারেন না। কি ঠেকা পড়েছে আমাদের যে গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। আমাদের ঠেকা পড়েনি গণতন্ত্র চর্চা করার। যারা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চায় তাদের কেন চায়ের দাওয়ার দিচ্ছেন। আপনি এখন বাংলাদেশের সম্পদ।
তিনি আরও বলেন, আমরা তো ক্ষমতায় আছি। কাউকে তো মারলাম না ধরলাম না। কারণ শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমি সব হারিয়ে ধৈর্য ধরেছি। তোমরাও ধৈর্য ধরো। আমি জাতির পিতার কন্যার উদ্দ্যেশ্যে বলছি ধৈর্যের সীমা আছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মেরে ফেলা হয়েছে। তার কন্যাকে বেঁচে যাওয়ার অপরাধে ২১বার মারার চেষ্টা করা হয়েছে।্

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা আর পনেরো বিশ বছর পেলে বাংলাদেশ জাপানের মত দেশ হওয়ার কথা ছিল। আমাদের তো সোনার শরীর পুড়িয়ে বিদেশে কাজ করার কথা না। তারা আমাদের মত যারা কিশোর ছিল তাদের স্বপ্নকে হত্যা করেছিল। তারপরেও তারা শান্তি হয়নি।
শামীম ওসমান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে মারার পর আমাদের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা বাচ্চাদের স্বপ্ন। আজ আবারও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিএনপির ফখরুল সাহেব হাসতে হাসতে বললেন সরকার চোখে সর্ষে ফুল দেখবে। বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কার মত দেউলিয়া হয়ে যাবে। এতে তো আপনার খুশি হওয়ার কথা না। দুঃখ কষ্ট পাওয়ার কথা।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা

যারা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চায় তাদের কেন চায়ের দাওয়াত দিচ্ছেন -শামীম ওসমান

আপডেট সময় : ০১:২০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২

ফতুল্লা প্রতিনিধি ঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, এখানেও ষড়যন্ত্র হয় খেলা হয়। যারা খেলছেন এতদিন চুপ ছিলাম। ধৈর্য্যের একটা সীমা আছে। সামাল দিয়ে চলেন। রাজপথ দখল করবেন করেন। আমরা বসে আছি তোমাদের সাথে খেলার জন্য৷ রাজাকারের সন্তানদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের খেলা হবে। সে খেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরাই জিতবে।রোববার (২১ আগষ্ট) বিকেলে তল্লায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
্আজ একুশে আগষ্ট। আজ থেকে একুশ বছর আগে নারায়ণগঞ্জে একটা ঘটনা ঘটেছিল। ১৬ জুন ২০০১ সালে বোমা মারা হয়েছিল। নিজের কাছে অপরাধবোধ হয়, মাফ করতে পারি না। অপরাধ করেছিলান স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে, মুক্তিযোদ্ধার ঘরে জন্ম নিয়ে। অপরাধ করেছিলাম কারণ সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে শিখেছিলাম। বেশীকিছু করিনি, শুধু বলেছিলাম এ নারায়ণগঞ্জের পবিত্র মাটি যেখানে আওয়ামী লীগের জন্ম যেখানে ভাষা আন্দোলন শুরু সেখানে বলেছিলাম নারায়ণগঞ্জের পবিত্র মাটিতে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রবেশ নিষেধ। এই অপরাধে আওয়ামী লীগ অফিসে আরডিএক্স দিয়ে হামলা করা হল। আমাদের হাত পা বিকল হয়ে গেল। আমাদের অপরাধ কি। আমাদের ২০জন মানুষ যে মরল তারা কি মানুষ না। তখন আমার জ্ঞান ছিল না। হাসপাতালে নেয়ার পর আমি জানতাম না কয়জন মারা গেছে। জ্ঞান ফেরার পরে শুধু একটা কথাই বলেছিলাম শেখ হাসিনাকে বাঁচান। আমি বলিনি আমাকে বাঁচাও কষ্ট হচ্ছে। আমি বলেছি শেখ হাসিনকে বাঁচান। কারণ আমি উপলব্দি করেছিলাম আমি মারা গেলে কিছু হবে না তবে শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ থাকবে না। এই বোমা হামলার দায়ও আমাদের দেয়া হল। আমাদের অত্যাচার করা হল। আজ বাংলাদেশে মানবাধিকারের কথা শুনি। কোথায় ছিল সেদিন মানবাধিকার। জাতিসংঘ থেকে মানবাধিকার শেখাতে আসছেন। রোহিঙ্গাদের পাঠিয়ে দিয়েছে সেখানে তো মানবাধিকার দেখালেন না।
তিনি বলেন, বিএনপিকে চায়ের দাওয়াত দেয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, কেন তাদের চায়ের দাওয়াত দেন। যারা আপনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল তাদের আপনি চায়ের দাওয়াত দিতে পারেন না। কি ঠেকা পড়েছে আমাদের যে গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। আমাদের ঠেকা পড়েনি গণতন্ত্র চর্চা করার। যারা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চায় তাদের কেন চায়ের দাওয়ার দিচ্ছেন। আপনি এখন বাংলাদেশের সম্পদ।
তিনি আরও বলেন, আমরা তো ক্ষমতায় আছি। কাউকে তো মারলাম না ধরলাম না। কারণ শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমি সব হারিয়ে ধৈর্য ধরেছি। তোমরাও ধৈর্য ধরো। আমি জাতির পিতার কন্যার উদ্দ্যেশ্যে বলছি ধৈর্যের সীমা আছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মেরে ফেলা হয়েছে। তার কন্যাকে বেঁচে যাওয়ার অপরাধে ২১বার মারার চেষ্টা করা হয়েছে।্

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা আর পনেরো বিশ বছর পেলে বাংলাদেশ জাপানের মত দেশ হওয়ার কথা ছিল। আমাদের তো সোনার শরীর পুড়িয়ে বিদেশে কাজ করার কথা না। তারা আমাদের মত যারা কিশোর ছিল তাদের স্বপ্নকে হত্যা করেছিল। তারপরেও তারা শান্তি হয়নি।
শামীম ওসমান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে মারার পর আমাদের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা বাচ্চাদের স্বপ্ন। আজ আবারও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিএনপির ফখরুল সাহেব হাসতে হাসতে বললেন সরকার চোখে সর্ষে ফুল দেখবে। বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কার মত দেউলিয়া হয়ে যাবে। এতে তো আপনার খুশি হওয়ার কথা না। দুঃখ কষ্ট পাওয়ার কথা।