অনলাইন ডেস্ক : উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর আর নেই। মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে রোববার সকালে ৮.১২ মিনিটে ৯২ বছর বয়সে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আপতত তার লাশ শিবাজি পার্কে নিয়ে যাওয়ার আয়োজন করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সেখানেই শেষশ্রদ্ধা জানানো হবে লতা মঙ্গেশকরকে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১১ জানুয়ারি তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন। গত চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
জানুয়ারি মাসের শুরু থেকেই মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বর্ষীয়ান গায়িকা, থামল তার ২৯ দিনের লড়াই। করোনা ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে গত ৮ জানুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। করোনামুক্ত হলেও শনিবার তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়, ফের ভেন্টিলেশনেও দেয়া হয়েছিল তবুও শেষরক্ষা হলো না!
শনিবার লতা মঙ্গেশকরকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে এসেছিলেন বোন আশা ভোঁসলে, পৌঁছেছিলেন নাতনি শ্রদ্ধা কাপুরও।
১৯২৯ সালে ইন্দোরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন লতা। সঙ্গীত জগতের অবিসংবাদী সম্রাজ্ঞী হওয়ার আগে শিশু অভিনেতা হিসেবেই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেছিলেন এই প্রবাদপ্রতিম শিল্পী।
১৯৪২ সালে একটি মারাঠি ছবির সৌজন্যে প্রথম গান রেকর্ড করেন তিনি। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। লতার সুরেলা কণ্ঠের জাদুতে বুঁদ থেকেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।
সাত দশকের দীর্ঘ কেরিয়ারে ত্রিশ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেছেন তিনি। ২০০১ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান, ভারত রত্নে ভূষিত করা হয়েছে। এর আগে ‘পদ্মভূষণ’, ‘পদ্মবিভূষণ’-এর মতো নাগরিক সম্মানও দেয়া হয়েছে লতা মঙ্গেশকরকে। চলচ্চিত্র জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার দাদা সাহেব ফালকে দ্বারাও সম্মানিত হয়েছেন তিনি।