নারায়ণগঞ্জ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

রামগঞ্জ ছেড়ে সিদ্ধিরগঞ্জে এসেও রেহাই পাচ্ছেন না সুমন হত্যা মামলার বাদী

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২০:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৮২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জের মুদিদোকান কর্মচারি মো: সুমন (২৪) হত্যা মামলা তুলে নিতে আসামি পক্ষ বাদীকে প্রাণনাশসহ বিভিন্ন হুমকি প্রধান করছে বলে অভিযোগ জানা গেছে।

নিহতের পিতা মামলার বাদী বর্তামনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি বড় বাড়ি এলাকার বাসিন্দা মো: ইউনুছ আলী অভিযোগ জানায়, গত বছরের ২১ জুলাই সুমন তার কর্মস্থল রামগঞ্জ পৌর সোনাপুর বাজারের হাজী মনতাজ মিয়া স্টোর থেকে বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ৭ দিন পর উপজেলার ৯ নম্বর ভোলাকোট ইউনিয়নের উত্তর নাগমুদ গ্রামের মিঝি বাড়ির পরিত্যক্ত বাগান থেকে মাটিচাপা অবস্থায় বস্তাবন্দি অর্ধগলিত সুমনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার দ্বিতীয় মুরাদপুর( সুজা নগর) এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ইউনুছ আলী বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে একই দোকানের অন্য কর্মচারী মোঃ সোহেলকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত মোঃ সোহেল রামগঞ্জ উপজেলার নাগমুদ চৌকিদার/মিঝি বাড়ির বাবুল মিয়ার ছেলে।
পরিকল্পিত হত্যা রহস্য উদঘাটিত হওয়ার পর ঘাতক সোহেলের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানব বন্ধন করে ব্যবসায়ীরা।

পুলিশের তদন্ত সূত্র ধরে বাদী ইউনুছ আলী জানায়, একই দোকানে কর্মরত থাকায় সোহেলের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে সুমনের। ঘটনার মাসখানেক আগে দোকান মালিক সোহেলকে চাকরী থেকে অব্যাহতি দেয়। তারপরও সুমনের সাথে সোহেলের বন্ধুত্ব বহাল ও আর্থিক লেনদেন চলতে থাকে। পাওনা টাকা নিয়ে দুজনের মাঝে একাধিকবার ঝগড়ার ঘটনা ঘটে। সুমন নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে সোহেল লাপাত্তা থাকায় সন্দেহজনক হলে পুলিশ সোহেলের পিতা বাবুল মিয়াকে আটক করে। পিতাকে আটকের খবর পেয়ে সোহেল রামগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ কাউসারুজ্জামান গণমাধ্যম কর্মদের জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন রাতে সুমনকে ডাব খাওয়ানোর কথা বলে সোহেল তাদের বাড়ির পাশ্ববর্তি বাগানে ডেকে আনে। সোহেলের চাকরী না থাকায় কষ্টে দিনযাপন করার কথা বলে টাকা ধার চায় সুমনের কাছে। সুমন আগের দেয়া টাকা ফেরত চাইলে দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় উত্তেজিত হয়ে সোহেল ডাব কাটার জন্য আনা বটি দিয়ে সুমনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে । মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সোহেল বাগানের একটি ডোবার পাশে গর্ত খুড়ে লাশ প্লাষ্টিকের বস্তায় ভরে মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। সোহেলের দেয়া তথ্যমতে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সোহেল বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে।

এদিকে আসামি সোহেলের মা জুলেকা ও ভাই ইব্রাহীম মামলা মিমাংশা করার জন্য বাদী ইউনুছ আলীকে প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে ইউনুছ আলীর অভিযোগ। তাদের ভয়ে তিনি লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার রতনপুর এলাকা ছেড়ে সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন। এখানেও তিনি রেহাই পাচ্ছেন না। বিভিন্ন লোকমারফত হুমকি দিয়ে যচ্ছেন। এতে তিনি নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

রামগঞ্জ ছেড়ে সিদ্ধিরগঞ্জে এসেও রেহাই পাচ্ছেন না সুমন হত্যা মামলার বাদী

আপডেট সময় : ০২:২০:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার : লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জের মুদিদোকান কর্মচারি মো: সুমন (২৪) হত্যা মামলা তুলে নিতে আসামি পক্ষ বাদীকে প্রাণনাশসহ বিভিন্ন হুমকি প্রধান করছে বলে অভিযোগ জানা গেছে।

নিহতের পিতা মামলার বাদী বর্তামনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি বড় বাড়ি এলাকার বাসিন্দা মো: ইউনুছ আলী অভিযোগ জানায়, গত বছরের ২১ জুলাই সুমন তার কর্মস্থল রামগঞ্জ পৌর সোনাপুর বাজারের হাজী মনতাজ মিয়া স্টোর থেকে বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ৭ দিন পর উপজেলার ৯ নম্বর ভোলাকোট ইউনিয়নের উত্তর নাগমুদ গ্রামের মিঝি বাড়ির পরিত্যক্ত বাগান থেকে মাটিচাপা অবস্থায় বস্তাবন্দি অর্ধগলিত সুমনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার দ্বিতীয় মুরাদপুর( সুজা নগর) এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ইউনুছ আলী বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে একই দোকানের অন্য কর্মচারী মোঃ সোহেলকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত মোঃ সোহেল রামগঞ্জ উপজেলার নাগমুদ চৌকিদার/মিঝি বাড়ির বাবুল মিয়ার ছেলে।
পরিকল্পিত হত্যা রহস্য উদঘাটিত হওয়ার পর ঘাতক সোহেলের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানব বন্ধন করে ব্যবসায়ীরা।

পুলিশের তদন্ত সূত্র ধরে বাদী ইউনুছ আলী জানায়, একই দোকানে কর্মরত থাকায় সোহেলের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে সুমনের। ঘটনার মাসখানেক আগে দোকান মালিক সোহেলকে চাকরী থেকে অব্যাহতি দেয়। তারপরও সুমনের সাথে সোহেলের বন্ধুত্ব বহাল ও আর্থিক লেনদেন চলতে থাকে। পাওনা টাকা নিয়ে দুজনের মাঝে একাধিকবার ঝগড়ার ঘটনা ঘটে। সুমন নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে সোহেল লাপাত্তা থাকায় সন্দেহজনক হলে পুলিশ সোহেলের পিতা বাবুল মিয়াকে আটক করে। পিতাকে আটকের খবর পেয়ে সোহেল রামগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ কাউসারুজ্জামান গণমাধ্যম কর্মদের জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন রাতে সুমনকে ডাব খাওয়ানোর কথা বলে সোহেল তাদের বাড়ির পাশ্ববর্তি বাগানে ডেকে আনে। সোহেলের চাকরী না থাকায় কষ্টে দিনযাপন করার কথা বলে টাকা ধার চায় সুমনের কাছে। সুমন আগের দেয়া টাকা ফেরত চাইলে দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় উত্তেজিত হয়ে সোহেল ডাব কাটার জন্য আনা বটি দিয়ে সুমনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে । মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সোহেল বাগানের একটি ডোবার পাশে গর্ত খুড়ে লাশ প্লাষ্টিকের বস্তায় ভরে মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। সোহেলের দেয়া তথ্যমতে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সোহেল বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে।

এদিকে আসামি সোহেলের মা জুলেকা ও ভাই ইব্রাহীম মামলা মিমাংশা করার জন্য বাদী ইউনুছ আলীকে প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে ইউনুছ আলীর অভিযোগ। তাদের ভয়ে তিনি লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার রতনপুর এলাকা ছেড়ে সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন। এখানেও তিনি রেহাই পাচ্ছেন না। বিভিন্ন লোকমারফত হুমকি দিয়ে যচ্ছেন। এতে তিনি নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।