নারায়ণগঞ্জ ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিচার পতির সাথে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাক্ষাৎ রূপগঞ্জে ইয়াবাসহ জিয়া মঞ্চ দলের নেতা গ্রেফতার মহানগর কৃষকদলের সভাপতি এনামুল হক স্বপন ও সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল কে হাসান আল মামুনের শুভেচ্ছা সৌদি আরবে “ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি সোসাইটি”র বনভোজন ও নাশিদ সন্ধ্যা সৌদি প্রবাসী দালাল ইব্রাহিমের বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল দেশ রূপান্তরের নতুন সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ রিয়াদে এনটিভি দর্শক ফোরামের উদ্যোগে জমকালো আয়োজনে ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপন যুবকদের আগামীতে এইদেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে – মাজেদুল ইসলাম সৌদিতে প্রবাসী আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা

বিস্ফোরণ ঘটনাকে নাশকতা মনে করছেন শামীম ওসমান

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে মনে করছেন না নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান। ঘটনাটিকে তিনি নাশকতামূলক বলে আশঙ্কা করছেন। পাশাপাশি ঘটনা উর্ধ্বতন পর্যায়ে তদন্তের দাবি করেন তিনি।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পশ্চিম তল্লার বায়তুস সালাত জামে মসজিদ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং দেয়ার সময় তিনি এসব কখা বলেন। শামীম ওসমান বলেন, আমি এ ঘটনাটি নাশকতামূল বলে আশঙ্কা করছি। কারণ গ্যাস জমে ৪৫ জন মানুষ পুড়ে ফেলবে এটা সম্ভব না। এসি আমাদের অনেকের বাড়িতে আছে। এসি বিষ্ফোরণ হলে বাইরে হবে। কারণ এর গ্যাস চেম্বার বাইরে থাকে। দ্বিতীয়ত, গ্যাস সংযোগ দেখলাম গেইটের সামনে। ওটা দিয়ে ভিতরে ঢুকবে না। এখানে খোলা বাতাশ, গ্যাস সেটার সঙ্গে বেড়িয়ে যাবে। ভিতরে যদি কিছু থেকে থাকে সেটা বের করার দায়িত্ব তদন্ত কর্মকর্তার। কিন্তু প্রশ্ন হলো স্পার্ক করলে কে? আগুনটা লাগলো কি করে ? এতগুলো মানুষ একসাথে পুড়ে গেল। এভাবে, একই সঙ্গে এতগুলো মানুষ পুড়ে যাওয়া অসম্ভব।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন, চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন। প্রয়োজনে যারা নিহত, আহত হয়েছে ভবিষ্যতে তাদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। আমরাও বিষয়টা দেখবো। এগুলো ধাপে ধাপে করা যাবে। কিন্তু মানুষের জীবন তো ফিরিয়ে আনা যাবে না। যারা মারা গেল তারা তো শহীদের দরজা পেয়েই গেছেন। কিন্তু যারা এখনো আহত তাদের পরিবারের কি শোক, এটা একমাত্র তারাই বুঝতে পারছে। আমাদের যায় নাই, আমরা বুঝতে পারবো না। আমি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করবো, যারা বিছানায় কাতরাচ্ছে তাদের জন্য দোয়া করবেন।
তিনি বলেন, আমি তদন্তকারী কর্মকর্তা না। তবে ২০০১ সালে আমার সঙ্গে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। চুন খেয়ে যার মুখ পুড়ে সে সব জায়গায় চুনের গন্ধ পায়। আমি এখানে চুনের গন্ধ পাচ্ছি। এ ধরণের ঘটনা শাহ জালাল বাবার দরগায়ও ঘটেছে দেখলাম, এ জন্য কয়েকজনকে ধরাও হয়েছে। আমি বলছি না, এটা ওটার সঙ্গে সম্পৃক্ত কিন্তু আমার মনে হয়, তদন্ত আরো গভীরভাবে হওয়া উচিৎ। আমি মনে করি, প্লাস্টিক, রাসায়নিক বা এসকল ঘটনা তদন্তে যারা অভিজ্ঞ লোক তাদের এই ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হোক। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিজ্ঞ কারা সেটা সরকার নির্ধারণ করবেন। তবে আমি মনে করি এ ঘটনাটিকে আরো নজর দেয়া দরকার।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজ চলাকালীন অবস্থায় পশ্চিম তল্লায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে মসজিদের ভেতর থাকা অধিকাংশ ব্যক্তি দগ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ৩৭ জনকে ভর্তি করা হয়। মোট দগ্ধ হয়েছেন ৪২ জন। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৪ জন মারা গেছেন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিচার পতির সাথে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাক্ষাৎ

বিস্ফোরণ ঘটনাকে নাশকতা মনে করছেন শামীম ওসমান

আপডেট সময় : ১০:৫৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে মনে করছেন না নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান। ঘটনাটিকে তিনি নাশকতামূলক বলে আশঙ্কা করছেন। পাশাপাশি ঘটনা উর্ধ্বতন পর্যায়ে তদন্তের দাবি করেন তিনি।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পশ্চিম তল্লার বায়তুস সালাত জামে মসজিদ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং দেয়ার সময় তিনি এসব কখা বলেন। শামীম ওসমান বলেন, আমি এ ঘটনাটি নাশকতামূল বলে আশঙ্কা করছি। কারণ গ্যাস জমে ৪৫ জন মানুষ পুড়ে ফেলবে এটা সম্ভব না। এসি আমাদের অনেকের বাড়িতে আছে। এসি বিষ্ফোরণ হলে বাইরে হবে। কারণ এর গ্যাস চেম্বার বাইরে থাকে। দ্বিতীয়ত, গ্যাস সংযোগ দেখলাম গেইটের সামনে। ওটা দিয়ে ভিতরে ঢুকবে না। এখানে খোলা বাতাশ, গ্যাস সেটার সঙ্গে বেড়িয়ে যাবে। ভিতরে যদি কিছু থেকে থাকে সেটা বের করার দায়িত্ব তদন্ত কর্মকর্তার। কিন্তু প্রশ্ন হলো স্পার্ক করলে কে? আগুনটা লাগলো কি করে ? এতগুলো মানুষ একসাথে পুড়ে গেল। এভাবে, একই সঙ্গে এতগুলো মানুষ পুড়ে যাওয়া অসম্ভব।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন, চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন। প্রয়োজনে যারা নিহত, আহত হয়েছে ভবিষ্যতে তাদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। আমরাও বিষয়টা দেখবো। এগুলো ধাপে ধাপে করা যাবে। কিন্তু মানুষের জীবন তো ফিরিয়ে আনা যাবে না। যারা মারা গেল তারা তো শহীদের দরজা পেয়েই গেছেন। কিন্তু যারা এখনো আহত তাদের পরিবারের কি শোক, এটা একমাত্র তারাই বুঝতে পারছে। আমাদের যায় নাই, আমরা বুঝতে পারবো না। আমি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করবো, যারা বিছানায় কাতরাচ্ছে তাদের জন্য দোয়া করবেন।
তিনি বলেন, আমি তদন্তকারী কর্মকর্তা না। তবে ২০০১ সালে আমার সঙ্গে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। চুন খেয়ে যার মুখ পুড়ে সে সব জায়গায় চুনের গন্ধ পায়। আমি এখানে চুনের গন্ধ পাচ্ছি। এ ধরণের ঘটনা শাহ জালাল বাবার দরগায়ও ঘটেছে দেখলাম, এ জন্য কয়েকজনকে ধরাও হয়েছে। আমি বলছি না, এটা ওটার সঙ্গে সম্পৃক্ত কিন্তু আমার মনে হয়, তদন্ত আরো গভীরভাবে হওয়া উচিৎ। আমি মনে করি, প্লাস্টিক, রাসায়নিক বা এসকল ঘটনা তদন্তে যারা অভিজ্ঞ লোক তাদের এই ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হোক। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিজ্ঞ কারা সেটা সরকার নির্ধারণ করবেন। তবে আমি মনে করি এ ঘটনাটিকে আরো নজর দেয়া দরকার।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজ চলাকালীন অবস্থায় পশ্চিম তল্লায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে মসজিদের ভেতর থাকা অধিকাংশ ব্যক্তি দগ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ৩৭ জনকে ভর্তি করা হয়। মোট দগ্ধ হয়েছেন ৪২ জন। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৪ জন মারা গেছেন।