নারায়ণগঞ্জ ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

সিদ্ধিরগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা আটক ১৭ এলাকা জন শূন্য

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :সিদ্ধিরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় নাসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডল ও বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখ ও দুইশ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের বড় ভাই ঘটনার ইন্দনদাতা মজিবুর রহমান মন্ডলসহ মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ৯ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
তারা হলো, মজিবুর রহমান মন্ডল, আলমগীর হোসেন, মাঈনুদ্দিন, খোকন, শাহআলম শুভ, রুবেল, মাজেদা, আল-আমিন ও জনি। তাদেরকে ঘটনার দিন রাতেই আটক করা হয়েছিল। মামলা দায়ের করার পর ৪ জুলাই দুপুরে এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নাম জানা জায়নি।
পুলিশ জানায়, গত দুই জুলাই রাত সাড়ে ৭ টার দিকে নাসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুমিলপাড়ার আইলপাড়া রেললাইন এলাকায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরে আরো দুই দফা মারামারি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মারামারিতে উভয় গ্রুপের কম পক্ষে ১৩ জন আহত হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ মতিউর রহমান মতি জানান, তুচ্ছ বিষয়কে ইন্দন দিয়ে বড় করেছে ঘটনার নায়ক মাদক ব্যবসায়ী শাকিলের পিতা মোফাজ্জল হোসেন মুন্সি ও সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের বড় ভাই মজিবুর রহমান মন্ডল।
এদিকে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ ও দুইশ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পর থেকে এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে গাঁ ঢাকা দিয়েছে তারা। ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন লোককেও এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। মামলা থেকে বাদ পড়েনি পুলিশের একান্ত কাছের লোক হিসেবে পরিচিত জ্বালানি তেল চোরাকারবারিদের সরদার সোর্স আশরাফ উদ্দিন। কাউন্সিলর মতির ঘনিষ্ট ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা খন্দকার মানিক মাষ্টারকেও আসামি করা হয়েছে। মামলায় নাম উল্লেখিত আসামিরা কাউন্সিলর মতি ও সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের কর্মী ও সমর্থক।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

সিদ্ধিরগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা আটক ১৭ এলাকা জন শূন্য

আপডেট সময় : ১০:৫৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :সিদ্ধিরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় নাসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডল ও বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখ ও দুইশ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের বড় ভাই ঘটনার ইন্দনদাতা মজিবুর রহমান মন্ডলসহ মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ৯ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
তারা হলো, মজিবুর রহমান মন্ডল, আলমগীর হোসেন, মাঈনুদ্দিন, খোকন, শাহআলম শুভ, রুবেল, মাজেদা, আল-আমিন ও জনি। তাদেরকে ঘটনার দিন রাতেই আটক করা হয়েছিল। মামলা দায়ের করার পর ৪ জুলাই দুপুরে এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নাম জানা জায়নি।
পুলিশ জানায়, গত দুই জুলাই রাত সাড়ে ৭ টার দিকে নাসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুমিলপাড়ার আইলপাড়া রেললাইন এলাকায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরে আরো দুই দফা মারামারি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মারামারিতে উভয় গ্রুপের কম পক্ষে ১৩ জন আহত হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ মতিউর রহমান মতি জানান, তুচ্ছ বিষয়কে ইন্দন দিয়ে বড় করেছে ঘটনার নায়ক মাদক ব্যবসায়ী শাকিলের পিতা মোফাজ্জল হোসেন মুন্সি ও সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের বড় ভাই মজিবুর রহমান মন্ডল।
এদিকে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ ও দুইশ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পর থেকে এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে গাঁ ঢাকা দিয়েছে তারা। ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন লোককেও এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। মামলা থেকে বাদ পড়েনি পুলিশের একান্ত কাছের লোক হিসেবে পরিচিত জ্বালানি তেল চোরাকারবারিদের সরদার সোর্স আশরাফ উদ্দিন। কাউন্সিলর মতির ঘনিষ্ট ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা খন্দকার মানিক মাষ্টারকেও আসামি করা হয়েছে। মামলায় নাম উল্লেখিত আসামিরা কাউন্সিলর মতি ও সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের কর্মী ও সমর্থক।