নারায়ণগঞ্জ ০৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নিজের অপকর্ম ঢাকতে মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সাগরের বিরুদ্ধে শামিম ঢালীর মানববন্ধন সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার চাঁদাবাজি, বিচাররের দাবিতে মানববন্ধন রূপগঞ্জের ফকির ফ্যাশন লিঃ শ্রমিকদের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী তৎপর চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষ আহত-৮ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আটককৃত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু মহানগর বিএনপি সদস্য সচিবের মামলায় ৫৩ জনের নামে, অজ্ঞাত ১৫০ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করায় অবৈধ ঘোষণা বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প সরিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে- বিকেএমইএর সভাপতি নানা আয়োজনে রিয়াদে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

সিদ্ধিরগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ২ বিচারকসহ আটক-৩

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৫:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০
  • ১৫৬ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় গ্রাম্য টাউট মাদবরদের বিচারে অভিযুক্তকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। অবশেষে ১ দিন পর অভিযুক্ত মুদি দোকানদার রতন মিয়া (৫০) বিচারক জাকির হোসেন ও কবিরকে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিকেলে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে গত ৫ জুলাই রাত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে। তবে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি সাজানো নাটক বলে দাবি করেন অভিযুক্ত রতনের পরিবার।
জানা গেছে, নাসিক ৩ নম্বর ওয়ার্ড নয়াআটি এলাকায় গত রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রতন মিয়ার মুদি দোকানে সদাই করতে যায় একই এলাকার ৭ বছরের এক শিশু কন্যা। এসময় রতন ওই শিশু কন্যাকে ফুসলিয়ে দোকানের ভিতরে নিয়ে সাটার বন্ধ করে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। তখন শিশুটির চিৎকারে আশ পাশের লোকজন ছুটে গিয়ে রতনকে ধরে গনপিটুনি দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে স্থানীয় টাউট মাতবর ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা পরিচয়দানকারী মিল্টন মিয়া, হিরন মিয়া, বিল্লাল হোসেন, জাকির হোসেন, আনোয়ার হোসেন আনু, শাহ-আলমসহ কয়েকজন মিলে সামাজিক ভাবে বিচার সালিশী করে মিমাংশা করার কথা বলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রতনকে পুলিশের কাছ থেকে রেখে দেয়।
অভিযোগ উঠে, উল্লেখিত বিচারকরা গত সোমবার বিকেলে টায়ার মার্কেট এলাকায় বালুর মাঠে বিচার সালিশে বসে। বিচারে রতনকে মারধর, জোতা পিটা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
এদিকে অভিযুক্ত রতন মিয়ার পরিবারের দাবি ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি সাজানো নাটক। অর্থ আদায় করার জন্য শিশুর পিতা ও টাউট মাদবররা এ নাটক সাজিয়েছে। কারণ ধর্ষণ বা ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় সামাজিক ভাবে বিচার করা আইন বহির্ভুত। এমন স্পর্শ কাতর ঘটনার বিচার সামাজিক ভাবে করা যায়না বলে মন্তব্য করেন এলাকার সচেতন মহল।
এ ঘটনার বিচারে অংশ গ্রহণকারী কোন মাদবরের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ফোন করলেও কেহ মোবাইল রিসিভ করেননি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুকের ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ধর্ষণের চেষ্টার বিচার কোন অবস্থাতেই এলাকায় সালিশী করে মিমাংশা করার কোন এখতিয়ার নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। পুলিশ সুপারের আশ্বাসের ঘন্টা দুয়েক পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত রতন ও দুই বিচারককে গ্রেপ্তার করে। বাকিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নিজের অপকর্ম ঢাকতে মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সাগরের বিরুদ্ধে শামিম ঢালীর মানববন্ধন

সিদ্ধিরগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ২ বিচারকসহ আটক-৩

আপডেট সময় : ০২:২৫:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় গ্রাম্য টাউট মাদবরদের বিচারে অভিযুক্তকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। অবশেষে ১ দিন পর অভিযুক্ত মুদি দোকানদার রতন মিয়া (৫০) বিচারক জাকির হোসেন ও কবিরকে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিকেলে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে গত ৫ জুলাই রাত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে। তবে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি সাজানো নাটক বলে দাবি করেন অভিযুক্ত রতনের পরিবার।
জানা গেছে, নাসিক ৩ নম্বর ওয়ার্ড নয়াআটি এলাকায় গত রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রতন মিয়ার মুদি দোকানে সদাই করতে যায় একই এলাকার ৭ বছরের এক শিশু কন্যা। এসময় রতন ওই শিশু কন্যাকে ফুসলিয়ে দোকানের ভিতরে নিয়ে সাটার বন্ধ করে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। তখন শিশুটির চিৎকারে আশ পাশের লোকজন ছুটে গিয়ে রতনকে ধরে গনপিটুনি দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে স্থানীয় টাউট মাতবর ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা পরিচয়দানকারী মিল্টন মিয়া, হিরন মিয়া, বিল্লাল হোসেন, জাকির হোসেন, আনোয়ার হোসেন আনু, শাহ-আলমসহ কয়েকজন মিলে সামাজিক ভাবে বিচার সালিশী করে মিমাংশা করার কথা বলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রতনকে পুলিশের কাছ থেকে রেখে দেয়।
অভিযোগ উঠে, উল্লেখিত বিচারকরা গত সোমবার বিকেলে টায়ার মার্কেট এলাকায় বালুর মাঠে বিচার সালিশে বসে। বিচারে রতনকে মারধর, জোতা পিটা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
এদিকে অভিযুক্ত রতন মিয়ার পরিবারের দাবি ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি সাজানো নাটক। অর্থ আদায় করার জন্য শিশুর পিতা ও টাউট মাদবররা এ নাটক সাজিয়েছে। কারণ ধর্ষণ বা ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় সামাজিক ভাবে বিচার করা আইন বহির্ভুত। এমন স্পর্শ কাতর ঘটনার বিচার সামাজিক ভাবে করা যায়না বলে মন্তব্য করেন এলাকার সচেতন মহল।
এ ঘটনার বিচারে অংশ গ্রহণকারী কোন মাদবরের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ফোন করলেও কেহ মোবাইল রিসিভ করেননি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুকের ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ধর্ষণের চেষ্টার বিচার কোন অবস্থাতেই এলাকায় সালিশী করে মিমাংশা করার কোন এখতিয়ার নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। পুলিশ সুপারের আশ্বাসের ঘন্টা দুয়েক পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত রতন ও দুই বিচারককে গ্রেপ্তার করে। বাকিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।