সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে নারী পাচারকারী চক্রের এক নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে জালকুড়ি উত্তরপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় পাচার করার উদ্দেশ্যে তার ভাড়া করা ফ্যাট বাসায় আটক করে রাখা তিনজন যুবতী নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় ওসি কামরুল ফারুক।
গ্রেপ্তারকৃত নারীর নাম জেবা (৪৫)। তিনি ডিএমপি ঢাকা কদমতলী থানার মুরাদপুর মাদ্রসারোড এলাকার ২২৭ নং বাড়ির ফারুক হোসেনের স্ত্রী। জালকুড়ির মোশারফ হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
উদ্ধারকৃত ভিকটিমরা হলো-সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থানার টেপিরকোনা গ্রামের মৃত ছায়েদ আলির মেয়ে ময়না আক্তার (১৭), সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানার দক্ষিণ বিপক(মাসুমবাজার) এলাকার হামিদ আলির মেয়ে কুটিনা(১৯) ও তারই আপন ছোট বোন জাহেদা (১৮)।
এ ঘটনায় উদ্ধারকৃত ভিকটিম ময়না আক্তারের বড় বোন নাজমা আক্তার(৩৮) বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত জেবাকে প্রধান করে তিন জনের নাম উল্লেখ ও ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেছে। মামলার অপর আসামিরা হলো, ঢাকার পুরানা পল্টনস্থ নিরুপম ইন্টারন্যাশনাল নামীয় ট্রাভেলস কোম্পানির ম্যানেজার মুরাদ(৫৪) ও সহযোগী শাহাদত (৫৩)।
মামলার বাদী নাজমা আক্তার জানায়, মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী থানার হাসাইল বানারি ইউনিয়নের আবদুল সাত্তারের ভাড়া বাড়ি থেকে গত ১৮ আগষ্ট বিকেলে ময়না নিখোঁজ হয়। কোথাও খোঁজে না পেয়ে টঙ্গিবাড়ী থানায় জিডি করা হয়। গত সোমবার ২৮ অক্টোবর সকালে মোবাইল ফোনে ময়না তার অবস্থান জানায়। খবর পেয়ে রাত ১০ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে বিষয়টি ওসি কামরুল ফারুককে জানাই। তখন তিনি তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে ওই বাড়ি থেকে আমার ছোট বোন ময়নাসহ ৩ জনকে উদ্ধার করে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত জেবা নিরুপম ইন্টারন্যাশনাল নামীয় ট্রাভেলস কোম্পানির হয়ে কাজ করে। তাদের একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র রয়েছে। চক্রটি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসহায় গরীব দুঃখী পরিবারের যুবতী নারীদেরকে ফুসলিয়ে লোভনীয় বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসে। তাদেরকে জেবার ভাড়া বাসায় আটক রেখে সময় সুযোগমতে বিদেশে পাচার করে দেয়। আরো তথ্য জানার জন্য ধৃত জেবাকে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।