ইলেক্ট্রনিক্সসহ শতকোটি টাকার নকল প্রসাধনী জব্দ : আটক-৮

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০০:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৯
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিদেশী উন্নত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রসাধনী তৈরির একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় কারখানার গোডাউনে মজুত করে রাখা ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীসহ অন্তত শতকোটি টাকা মূল্যের নকল প্রসাধনী পণ্য জব্দ করা হয়। আটক করা হয়েছে কারখানার হিসাব রক্ষকসহ ৮ জনকে। গত বুধবার রাত ১০ টার দিকে পুলিশ এ অভিযান চালায়।

আটকরা হলো- মো: সিরাজুম ইসলাম (১৮), সোহাগ (২৪), আমিনুল ইসলাম (৩২), রাজীব (১৮), অহিদুল ইসলাম (৩৫), মাইনুল ইসলাম (৩২), মেহেদী হাসান (১৮) ও হিসাব রক্ষক সাইফুল ইসলাম (৩৫)।

অভিযানস্থল পরিদর্শন শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন আর রশিদ জানান, রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা মো: বেলায়েত হোসেন নামে এক ব্যক্তি, শিমরাইল এলাকায় সুনস্টার মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড ও ম্যাক্স ইলেক্ট্রো ইন্ডাস্ট্রিজ নামে দুইটি প্রতিষ্ঠন গড়ে তুলে দীর্ষদিন ধরে নকল ইলেক্ট্রনিক্স এবং প্রসাধনী পণ্য তৈরি ও বাজারজাত করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এখানে ইংলেন্ড, জাপান, ইন্ডিয়া, চায়না,আমেরিকা, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন উন্নত দেশের নামি দামি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন প্রসাধনী ময়লা পানি, রং ও সেন্ট দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। কুবরা, ফগ, রয়েল, এয়ার ফ্রেশনারের মতো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে এসব প্রসাধনী তৈরি করে তা বাজারজাত করছে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, কারখানার আরেকটি গোডাউনে গিয়ে দেখা যায় ৬৫ থেকে ৭০ ইঞ্চি টিভি বানাচ্ছেন তারা। সনি, স্যামসাং, এলজি, প্যানাসনিকস ও বিভিন্ন ব্রান্ডের টিভি এবং মাইক্রো-ওভেন তৈরি করছে। নামি দামি ব্র্যান্ডের নাম থাকলেও এগুলো সব নকল। এসব নকল ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য কিনে দেশের সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। প্রতারক চক্র বিশাল বড় গোডাউনে এসব নকল পণ্য মজুত করে বাজার জাত করছে সরকারের বিশাল অঙ্কের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে। তিনি বলেন, অভিযান না চালালে এসব পণ্য তারা বাজারজাত করত। তাদের তৈরি সেন্ট ও প্রসাধনী খুবই বাজে। মানুষ এসব ফারপিউম, বডি স্প্রে ব্যবহার করলে গা এর চামড়া নষ্ট হবে। ক্যান্সার রোগ হওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে। জব্দকৃত পণ্য সামগ্রীর মূল্য আনুমানিক একশ কোটি টাকা হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
এসময় পুলিশ সপার আলো বলেন, অভিযানে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরসহ কারখানার মালিককেও আইনের আওতায় আনা হবে।

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

ইলেক্ট্রনিক্সসহ শতকোটি টাকার নকল প্রসাধনী জব্দ : আটক-৮

আপডেট সময় : ০৯:০০:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিদেশী উন্নত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রসাধনী তৈরির একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় কারখানার গোডাউনে মজুত করে রাখা ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীসহ অন্তত শতকোটি টাকা মূল্যের নকল প্রসাধনী পণ্য জব্দ করা হয়। আটক করা হয়েছে কারখানার হিসাব রক্ষকসহ ৮ জনকে। গত বুধবার রাত ১০ টার দিকে পুলিশ এ অভিযান চালায়।

আটকরা হলো- মো: সিরাজুম ইসলাম (১৮), সোহাগ (২৪), আমিনুল ইসলাম (৩২), রাজীব (১৮), অহিদুল ইসলাম (৩৫), মাইনুল ইসলাম (৩২), মেহেদী হাসান (১৮) ও হিসাব রক্ষক সাইফুল ইসলাম (৩৫)।

অভিযানস্থল পরিদর্শন শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন আর রশিদ জানান, রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা মো: বেলায়েত হোসেন নামে এক ব্যক্তি, শিমরাইল এলাকায় সুনস্টার মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড ও ম্যাক্স ইলেক্ট্রো ইন্ডাস্ট্রিজ নামে দুইটি প্রতিষ্ঠন গড়ে তুলে দীর্ষদিন ধরে নকল ইলেক্ট্রনিক্স এবং প্রসাধনী পণ্য তৈরি ও বাজারজাত করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এখানে ইংলেন্ড, জাপান, ইন্ডিয়া, চায়না,আমেরিকা, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন উন্নত দেশের নামি দামি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন প্রসাধনী ময়লা পানি, রং ও সেন্ট দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। কুবরা, ফগ, রয়েল, এয়ার ফ্রেশনারের মতো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে এসব প্রসাধনী তৈরি করে তা বাজারজাত করছে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, কারখানার আরেকটি গোডাউনে গিয়ে দেখা যায় ৬৫ থেকে ৭০ ইঞ্চি টিভি বানাচ্ছেন তারা। সনি, স্যামসাং, এলজি, প্যানাসনিকস ও বিভিন্ন ব্রান্ডের টিভি এবং মাইক্রো-ওভেন তৈরি করছে। নামি দামি ব্র্যান্ডের নাম থাকলেও এগুলো সব নকল। এসব নকল ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য কিনে দেশের সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। প্রতারক চক্র বিশাল বড় গোডাউনে এসব নকল পণ্য মজুত করে বাজার জাত করছে সরকারের বিশাল অঙ্কের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে। তিনি বলেন, অভিযান না চালালে এসব পণ্য তারা বাজারজাত করত। তাদের তৈরি সেন্ট ও প্রসাধনী খুবই বাজে। মানুষ এসব ফারপিউম, বডি স্প্রে ব্যবহার করলে গা এর চামড়া নষ্ট হবে। ক্যান্সার রোগ হওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে। জব্দকৃত পণ্য সামগ্রীর মূল্য আনুমানিক একশ কোটি টাকা হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
এসময় পুলিশ সপার আলো বলেন, অভিযানে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরসহ কারখানার মালিককেও আইনের আওতায় আনা হবে।