সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউজিং এলাকায় রহমান টাওয়ারের এক অংশিদারের নির্মাণ কাজে বেআইনী ভাবে অন্য অংশিদারের বাধা প্রদান করা নিয়ে উত্তেজনা। প্ররিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ৯ টায় ও দুপুর সাড়ে ১২ টায় দুদফা এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ জানা গেছে, ফেরদৌসী বেগমের জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেও ক্ষ্যান্ত হয়নি তাজুল ইসলাম। গতকাল বুধবার ফেরদৌসী বেগম তার অংশে ঢালাই কাজ শুরু করলে অন্যায় ভাবে বাধা দেয় তাজুল ইসলাম। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শহীদুল ঘটনাস্থলে ছুটে এসে নির্মাণ কাজের ঠিকাদার সাজ্জাতকে আটক করে। এতে পুলিশ জমি দখলকারী তাজুলের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে ফেরদৌসীগং। দেখা দেয় ক্ষোভ। অব্যাহত রাখে নির্মাণ কাজ। পরে তাজুলের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপ-পরিদর্শক মো: ফরিদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে আসলে প্রতিবাদ জানায় ফোরদৌসী পক্ষের লোকজন। তারা পুলিশকে জানায় তাজুল ইসলাম জোর করে ফেরদৌসী বেগমের ৮ ফিট জায়গা দখল করে নিয়ে উল্টো ফেরদৌসীর নির্মাণ কাজে অন্যায় ভাবে বাধা দিচ্ছে। তখন দুপক্ষের লোকজনকে থানায় গিয়ে বিরোধ মিমাংশা করার কথা বলে পুলিশ চলে যায়।
জানা গেছে, আটি হাউজিং এলাকায় তাজুল ইসলাম, ফেরদৌসী বেগম ও আবদুল আউয়াল যৌথ ভাবে জমি কিনে মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করে। রহমান টাওয়ার নামে প্লান্ট পাস করে নির্মাণ কাজ শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই জমির পরিমাপ নিয়ে তাজুল ইসলামের সাথে ফেরদৌসী বেগমের বিরোধ দেখা দেয়। ফেরদৌসী বেগমের অভিযোগ তাজুল ইসলাম তার কিনা সাড়ে ৪ শতাংশ থেকে ৮ ফিট জমি দখল করে নিয়েছে। জমি উদ্ধার করতে ফেরদৌসী বেগম আদালতে মামলা করে। আদালত জমিতে স্থিতি অবস্থায় বজায় রাখার নির্দেশ দেয়।
এ দিকে তাজুল ইসলাম তার কিনা ৭ দশমিক ১৬ শতাংশে প্লান্ট পাস ছাড়াই নূরতাজ টাওয়ার নাম করণ করে পৃথক ভাবে নির্মাণ কাজ শুরু করে। এতে বিরোধ আরো ঘনিভুত হয়। কারণ তিন অংশিদারের সমস্থ জমি একসাথে রহমান টাওয়ার নামে প্লান্ট পাস করানো হয়েছে। তাজুল ইসলাম কি করে নূরতাজ টাওয়ার নাম করণ করেছে তা নিয়ে অন্য অংশিদারদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়।
এ বিষয়ে, রহমান টাওয়ারের চেয়ারম্যান মো: আবদুল আউয়ালের সাথে কথা হলে তিনি জানান, তাজুল ইসলাম কিনেছে ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ আর দখল করেছে ৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। যা ফেরদৌসী বেগমের অংশ থেকে কমেছে। এলাকার গন্যমান্য লোকদের নিয়ে কয়েক দফা মাপ-ঝোপ করে দেখা গেছে ফেরদৌসী বেগমের প্রায় ৮ ফিট জায়গা দখল করেছে তাজুল ইসলাম। কিন্তু সে দখল না ছেড়ে উল্টো ফেরদৌসী বেগমের নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে পুলিশের সাহায্যে ফায়দা লুটার পায়তারা করছে।
অভিযুক্ত তাজুল ইসরামের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও তার ছেলে শহীদুল ইসলাম শাহীন জানায়, তাদের অংশে জমি কম আছে। ফেরদৌসী বেগম আদালতে গিয়েছে, আমরাও আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আইনগত ভাবেই তা সমাধান হবে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া থানার উপ-পরিদর্শক শহীদুল ও ফরিদ এ বিষয়ে কোন মন্তব্য না করে ওসি(তদন্ত) সেলিম মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) সেলিম মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানায়, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ১ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে দু,পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ রাত ৯ টায় থানা হাজির থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।