নারায়ণগঞ্জ ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া মাহফিল সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্রদলের মিছিলে রিফাতের চমক সিদ্ধিরগঞ্জে সৃষ্টি যুব সংসদের উদ্যোগে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া সিদ্ধিরগঞ্জে সন্ত্রাস চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ আজাদের নির্দেশে কালাপাহাড়িয়ায় বিএনপির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর সোনারগাঁওয়ে গণিত অলিম্পিয়াড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জমকালো আয়োজনে সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রি-পেইড মিটার বাতিল চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম সিদ্ধিরগঞ্জের বিক্ষুব্দ গ্রাহকদের

সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড স্কুল বন্ধ ও শিক্ষকদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪১:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০১৯
  • ২২২ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মাদ্রারোড এলাকায় অবস্থিত অক্সফোর্ড হাই স্কুল বন্ধ ও ২০’অধিক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত সহকারী শিক্ষক আরিফ ও প্রধান শিক্ষক জুলফিকারের ফাঁসি দাবিতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। গতকাল রোববার সকাল ১১’টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাশ্চমপপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, কান্দাপাড়া আনন্দলোক উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী আব্দুস সামাদ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, এন আলম মেরিড কেয়ার স্কুল, গ্রীন বাংলা মডেল হাইস্কুল, মৌচাক আইডিয়াল স্কুল, প্রত্যাশা মডেল স্কুল, কুসুমকলি কিন্ডারগার্টেন স্কুল, কান্দাপাড়া পাবলিক স্কুল, হলিচাইল্ড কিন্ডারগার্টেন স্কুল, নলেজ আইডিয়াল স্কুল, ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ফাস্ট স্কুল, আনন্দলোক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মিজমিজি পাশ্চমপপাড় সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়সহ ১৫’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষীকা ও শিক্ষার্থীরা মানববন্দনে অংশগ্রহণ করেন। নাসিক ২’নং ওয়ার্ডের কান্দাপাড়া, সানারপাড় রহিম মার্কেট, সাহেবপাড়া, চৌধুরীপাড়া, মিজমিজি পশ্চিমপাড়া, মিজমিজি দক্ষিনপাড়াসহ ওয়ার্ডের সকল জনসাধারন এ মানববন্ধনে যোগদান করেন। মানববন্ধটি ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক বাসস্ট্যান্ড থেকে সানাড়পাড় বাসস্ট্যান্ড ও মৌচাক থেকে শিমরাইল পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। শিক্ষকদের ফাঁসির দাবিতে আয়োজিত এই মানববন্ধনে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীদের সাথে শতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদরা। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, নাসিক ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রাজু, মিজমিজি পশ্চিম পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান, এন আলম মেরিট কেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল আলম, আনন্দলোক উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুর রহীম, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক হাজী মো. সুমন কাজী, যুবলীগ নেতা এনায়েত হোসেন, ইয়ার হোসেন মাসুম, ইয়াসিন আরাফাত রাশেল, কামরুল ইসলাম, রোকন, মনির হোসেন ও সরল প্রমূখ। মানববন্ধনে বক্তারা প্রথমে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। এবং সেই সাথে তাদেরকে বিচার পক্রিয়ার মাধ্যমে সর্ব্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি করেন। পাশাপাশি অক্সফোর্ড হাই স্কুলটিকে বন্ধেরও দাবি জানান। বক্তারা আরও বলেন, ভবিষ্যতে আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত হন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহীন শাহ্ পারভেজ, ওসি (অপারেশন) জসিম উদ্দিন, উপ-পরিদর্শক শামিম হোসেন, হাফিজুর রহমান ও সাখাওয়াত হোসেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে উত্তরে মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছি। বিস্তারিত তথ্যের জন্য তাদের দু’জনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। তাছাড়াও যদি আরো কোন বø্যাকমেইলিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা মামলা করতে চায় আমরা তাদের মামলা নিবো। এর আগে ২৮’জুন সহকারি শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম আরিফ ও মদদদাতা প্রশিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক আশরাফুল আরিফের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন স্কুলের নির্যাতিত এক ছাত্রীর বাবা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপর মামলাটি দায়ের করেন র‌্যাব-১১ এর ডিএডি আব্দুল আজিজ । উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড হাই স্কুলের সহকারি শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম আরিফ আপত্তিকর ছবি তুলে ২০’র অধিক ছাত্রীকে বø্যাকমেইল করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ কাজে সহায়তা করেন একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকার। এ অভিযোগে এলাকাবাসী ওই শিক্ষককে আটক করে গণধোলাই দিয়ে প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে গ্রেফতারকৃত দু’শিক্ষক ২’টি মামলায় পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া মাহফিল

সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড স্কুল বন্ধ ও শিক্ষকদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৯:৪১:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মাদ্রারোড এলাকায় অবস্থিত অক্সফোর্ড হাই স্কুল বন্ধ ও ২০’অধিক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত সহকারী শিক্ষক আরিফ ও প্রধান শিক্ষক জুলফিকারের ফাঁসি দাবিতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। গতকাল রোববার সকাল ১১’টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাশ্চমপপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, কান্দাপাড়া আনন্দলোক উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী আব্দুস সামাদ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, এন আলম মেরিড কেয়ার স্কুল, গ্রীন বাংলা মডেল হাইস্কুল, মৌচাক আইডিয়াল স্কুল, প্রত্যাশা মডেল স্কুল, কুসুমকলি কিন্ডারগার্টেন স্কুল, কান্দাপাড়া পাবলিক স্কুল, হলিচাইল্ড কিন্ডারগার্টেন স্কুল, নলেজ আইডিয়াল স্কুল, ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ফাস্ট স্কুল, আনন্দলোক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মিজমিজি পাশ্চমপপাড় সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়সহ ১৫’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষীকা ও শিক্ষার্থীরা মানববন্দনে অংশগ্রহণ করেন। নাসিক ২’নং ওয়ার্ডের কান্দাপাড়া, সানারপাড় রহিম মার্কেট, সাহেবপাড়া, চৌধুরীপাড়া, মিজমিজি পশ্চিমপাড়া, মিজমিজি দক্ষিনপাড়াসহ ওয়ার্ডের সকল জনসাধারন এ মানববন্ধনে যোগদান করেন। মানববন্ধটি ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক বাসস্ট্যান্ড থেকে সানাড়পাড় বাসস্ট্যান্ড ও মৌচাক থেকে শিমরাইল পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। শিক্ষকদের ফাঁসির দাবিতে আয়োজিত এই মানববন্ধনে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীদের সাথে শতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদরা। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, নাসিক ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রাজু, মিজমিজি পশ্চিম পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান, এন আলম মেরিট কেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল আলম, আনন্দলোক উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুর রহীম, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক হাজী মো. সুমন কাজী, যুবলীগ নেতা এনায়েত হোসেন, ইয়ার হোসেন মাসুম, ইয়াসিন আরাফাত রাশেল, কামরুল ইসলাম, রোকন, মনির হোসেন ও সরল প্রমূখ। মানববন্ধনে বক্তারা প্রথমে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। এবং সেই সাথে তাদেরকে বিচার পক্রিয়ার মাধ্যমে সর্ব্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি করেন। পাশাপাশি অক্সফোর্ড হাই স্কুলটিকে বন্ধেরও দাবি জানান। বক্তারা আরও বলেন, ভবিষ্যতে আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত হন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহীন শাহ্ পারভেজ, ওসি (অপারেশন) জসিম উদ্দিন, উপ-পরিদর্শক শামিম হোসেন, হাফিজুর রহমান ও সাখাওয়াত হোসেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে উত্তরে মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছি। বিস্তারিত তথ্যের জন্য তাদের দু’জনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। তাছাড়াও যদি আরো কোন বø্যাকমেইলিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা মামলা করতে চায় আমরা তাদের মামলা নিবো। এর আগে ২৮’জুন সহকারি শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম আরিফ ও মদদদাতা প্রশিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক আশরাফুল আরিফের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন স্কুলের নির্যাতিত এক ছাত্রীর বাবা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপর মামলাটি দায়ের করেন র‌্যাব-১১ এর ডিএডি আব্দুল আজিজ । উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড হাই স্কুলের সহকারি শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম আরিফ আপত্তিকর ছবি তুলে ২০’র অধিক ছাত্রীকে বø্যাকমেইল করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ কাজে সহায়তা করেন একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকার। এ অভিযোগে এলাকাবাসী ওই শিক্ষককে আটক করে গণধোলাই দিয়ে প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে গ্রেফতারকৃত দু’শিক্ষক ২’টি মামলায় পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে।