নারায়ণগঞ্জ ০২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও সাবেক সেনা পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে “প্রবাসী নাশীদ ব্যান্ডের” উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত

সিদ্ধিরগঞ্জে ব্লাকমেইলিং করে একাধিক ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে দুই শিক্ষক গ্রেফতার

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২১:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০১৯
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : ব্ল্যাকমেইলিং করে ২০ জনের অধিক যাত্রীকে ৪ বছর ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া মাদ্রাসা রোড এলাকাস্থ বেসরকারি অক্সফোর্ড স্কুলের দুই শিক্ষক গ্রেফতার। বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব-১১ এর একটি দল স্কুলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং ক্যামেরা তল্লাশী করে ছাত্রীর সাথে ধারনকৃত লোমহর্ষক চিত্র জব্দ করে র‌্যাব। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে অভিযুক্ত শিক্ষকদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।

ধৃতরা হলো, ওই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক জুলফিকার ওরফে রফিকুল ইসলাম (৫৫)। তিনি ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার বাকচর এলাকার মৃত শহিদুল্লা শেখের ছেলে। একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম সরকার ওরফে আশরাফুল (৩০)। তিনি মাদারীপুর জেলা সদরের শিলখাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলাম সরকারের ছেলে।

খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাঈদ ও হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আলেপ উদ্দিন জানান,অক্সফোর্ড স্কুলের শিক্ষক বিভিন্ন ছাত্রীদেরকে যৌন হেনস্থা করেছে এমন খবরের ভিত্তিতে স্কুলে এসে অভিযুক্ত এক শিক্ষককে গ্রেফতার করি। তার মোবাইলে যে সমস্ত ডকুমেন্টস পাই তা অত্যন্ত ভয়ানক। বিভিন্ন কৌশল করে সে ২০ এর অধিক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার চিত্র তার মোবাইলে ধারন করার ডকুমেন্ট এবং বিভিন্ন ডিভাইসে পাই। এমন কিছু ডিভাইস পেয়েছি যা এখনো চেক করার সম্ভব হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জানতে পারি,স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার সাথে জড়িত রয়েছে। পরে প্রমান সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষককেও গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরো জানান,ভিকটিমদের পরিবার থেকে কোন অভিযোগ পাইনি। আমরা স্বপ্রনোদিত হয়েই ইনভেষ্টিগেশনটি করেছি। আমরা ভুক্তভোগী পরিবারদেরকে ডাকবো, তারা যদি মামলা করে তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অথবা সাইবার এ্যাক্টে যে অপরাধ হয়েছে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

সিদ্ধিরগঞ্জে ব্লাকমেইলিং করে একাধিক ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে দুই শিক্ষক গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১০:২১:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : ব্ল্যাকমেইলিং করে ২০ জনের অধিক যাত্রীকে ৪ বছর ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া মাদ্রাসা রোড এলাকাস্থ বেসরকারি অক্সফোর্ড স্কুলের দুই শিক্ষক গ্রেফতার। বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব-১১ এর একটি দল স্কুলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং ক্যামেরা তল্লাশী করে ছাত্রীর সাথে ধারনকৃত লোমহর্ষক চিত্র জব্দ করে র‌্যাব। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে অভিযুক্ত শিক্ষকদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।

ধৃতরা হলো, ওই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক জুলফিকার ওরফে রফিকুল ইসলাম (৫৫)। তিনি ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার বাকচর এলাকার মৃত শহিদুল্লা শেখের ছেলে। একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম সরকার ওরফে আশরাফুল (৩০)। তিনি মাদারীপুর জেলা সদরের শিলখাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলাম সরকারের ছেলে।

খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাঈদ ও হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আলেপ উদ্দিন জানান,অক্সফোর্ড স্কুলের শিক্ষক বিভিন্ন ছাত্রীদেরকে যৌন হেনস্থা করেছে এমন খবরের ভিত্তিতে স্কুলে এসে অভিযুক্ত এক শিক্ষককে গ্রেফতার করি। তার মোবাইলে যে সমস্ত ডকুমেন্টস পাই তা অত্যন্ত ভয়ানক। বিভিন্ন কৌশল করে সে ২০ এর অধিক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার চিত্র তার মোবাইলে ধারন করার ডকুমেন্ট এবং বিভিন্ন ডিভাইসে পাই। এমন কিছু ডিভাইস পেয়েছি যা এখনো চেক করার সম্ভব হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জানতে পারি,স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার সাথে জড়িত রয়েছে। পরে প্রমান সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষককেও গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরো জানান,ভিকটিমদের পরিবার থেকে কোন অভিযোগ পাইনি। আমরা স্বপ্রনোদিত হয়েই ইনভেষ্টিগেশনটি করেছি। আমরা ভুক্তভোগী পরিবারদেরকে ডাকবো, তারা যদি মামলা করে তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অথবা সাইবার এ্যাক্টে যে অপরাধ হয়েছে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।