সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নেত্রকোনা থেকে চুরি হওয়া মালামালের মধ্যে ৮২ কয়েল ক্যাবল তাড় সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় শিমরাইল মোড় কাসসাপ মার্কেটের নিচতলায় ফারিয়া ইলেকট্রিক এন্ড হার্ডহয়্যার দোকানে অভিযান চালিয়ে বিআরবি কোম্পানীর চোরাই তাড় উদ্ধার করে। এসময় দোকান মালিক সুজন ও সুমনকে আটক করা হলেও রহস্যজনক কারণে পরে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার একটি হোলসেল দোকানের কয়েকশত বিআরবি কোম্পানীর তার ও ৬৮ টি ফ্যান চুরি হয় গত ২৭ মে। এ ঘটনায় ১ চোরকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত চোরের দেয়া তথ্য মতে নেত্রকোনা ডিবির এসআই ফরিদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ইব্রাহিম পাটোয়ারীকে সাথে নিয়ে গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় এ অভিযান চালায়। এ সময় দোকান থেকে চোরাই তার উদ্ধার করার পর দোকান মালিক সুমন ও সুজনকে আটক করে পুলিশ। তখন সুজন,সুমনের সহযোগী আওলাদ, মিঠু, সবুজসহ ৪/৫ জন ডিবির এসআই ফরিদ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ইব্রাহিম পাটোয়ারীকে গোপনে ডেকে নিয়ে যায় হাজী আহসান উল্যাহ সুপার মার্কেটের একটি চাইনিজ রেস্তোরায়। সেখানে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ দেনদরবার করে সুমন ও সুজনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য নেত্রকোনা ডিবির এসআই ফরিদ হোসেনের হাতে নগদ ২ লাখ টাকা তুলে দেন আওলাদ ও তার সঙ্গীরা। সূত্র জানায় ওই টাকা থেকে একটি অংশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ইব্রাহিম পাটোয়ারীকে দেয় এসআই ফরিদ। রফা দফা শেষে এসআই ফরিদ, এসআই ইব্রাহিম পাটোয়ারী ও আওলাদ, সবুজসহ সবাই চাইনিজ খেতে বসে। এসময় স্থানীয় সাংবাদিকরা চাইনিজ রেস্তোরায় ছুটে গেলে ডিবির এসআই ফরিদ খাওয়া দাওয়া না করে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলেই চাইনিজ থেকে দ্রুত বেরিয়ে চলে যান।
মার্কেটের অন্যান্য দোকানদাররা জানায়, গত ১ সপ্তাহ আগে সুমন, সুজন ও সুফিয়ান ৩ শত কয়েল বিআর তার ও ৬৮ টি ফ্যান নামমাত্র দামে ক্রয় করেন আড়াইহাজারের তপু নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে। চোরাইকৃত ২ শতাধিক কয়েল তার ও ফ্যান গুলি ৩ সহোদর বিভিন্ন দোকানে পাইকারী বিক্রি করে দিয়েছে। অথচ দোকান থেকে ৩ লাধিক টাকা মূল্যের মাত্র ৮২ কয়েল তার উদ্ধার করতে সম হয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে ফরিয়া নামের ওই দোকানের মালিক সুমন , সুজন ও সুফিযান দীর্ঘদিন ধরে চোরাই তার, ফ্যানসহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক মালামাল চোরদের কাছ থেকে নামমাত্র দামে কিনে থাকে। এছাড়া তারা নকল তার, ফ্যানসহ নানা ধরনের মালামাল দোকানে রেখে অরজিনাল মালামাল বলে বিক্রি করে অধিক মুনাফা আদায় করছে। তার চোর সিন্ডিকেট চক্রের সহযোগী হিসেবে সমুন , সুজন ও সুফিয়ান কাজ করছে বলে সূত্র জানায়। ইতিপর্বে ফারিয়া ইলেকট্রনিক্স এন্ড হার্ডওয়ার নামে ওই দোকানে মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে নকল তার উদ্ধারসহ মোটা অংকের টাকা জরিমানা করেছে। তবুও থেমে থাকেনি তাদের অপকর্ম। টাকা পেয়ে সমুন ও সুজনকে গ্রেফতার না করায় মার্কেটের অন্যন্য ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম ােভ বিরাজ করছে। চোরাই মাল ক্রয় করার দায়ে অবিলম্বে সুমন ও সুজনকে ও গ্রেফতার করার জন্য নেত্রকোনা ডিবি পুলিশের পরিদর্শকের কাছে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোডের সকল ইলেকট্রনিক্স পন্য ব্যসায়ীরা জোরালো দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ইব্রাহীম পাটুরোয়ারীর সাথে কথা হলে ২ লাখ টাকা গ্রহনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি টাকার ভাগ নিয়েছেন এ অভিযোগ সঠিক নয়।