নারায়ণগঞ্জ ০৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল দেশ রূপান্তরের নতুন সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ রিয়াদে এনটিভি দর্শক ফোরামের উদ্যোগে জমকালো আয়োজনে ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপন যুবকদের আগামীতে এইদেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে – মাজেদুল ইসলাম সৌদিতে প্রবাসী আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা সিদ্ধিরগঞ্জে সানারপাড় সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ৫৫ বছর পুর্তি উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা সোনারগাঁওয়ে গ্রাম পুলিশের মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের শুভ উদ্বোধন কালাপাহাড়িয়ায় আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া মাহফিল

সিদ্ধিরগঞ্জে যুবলীগ নেতা মতিকে কুপিয়ে জখম প্রতিপক্ষের বাড়ী-ঘরে হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৬:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৯
  • ২৭২ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আওয়ামীলীগের দু,গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ সভাপতি ও নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং প্যানেল মেয়র-২ মতিউর রহমান মতিসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত। ৩ জন আটক। বৃহস্পতিবার(৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় আদমজী নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের ইন্দনে পরিকল্পিত ভাবে মতিকে হত্যা করার জন্য হামলা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে সিরাজ মন্ডল সমর্থকদের বাড়ী-ঘরে হামলা ভাংচুর ও নৌকার একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ করে মতি সমর্থকরা। এনিয়ে দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। যে কোন সময় ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আহত কাউন্সিলর মতিকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকার সূত্রাপুরে আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আদমজী নতুন বাজার এলাকায় নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ সভাপতি মতির সমর্থক আবদুর রাজ্জাক একই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের সমর্থক হান্নান শেখ এবং ইসমাইল এর মধ্যে ৫৪ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে একাদিকবার সালিশী বৈঠক হলে বিরোধ নিস্পত্তি হয়নি। বিরোধপূর্ণ জমিতে হান্নান শেখ নতুন একটি দোকান ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে। তখন প্রতিপক্ষ বাধা দেয়। এতে দুপক্ষের লোকজন জোড় হয়।

বিষয়টি জানতে পেরে মতি মোটরসাইকেলে করে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে হান্নানকে দোকান নির্মাণ করতে নিষেধ করে। এনিয়ে মতির সাথে হান্নানের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় মতি উত্তেজিত হয়ে গালাগালি ও হান্নানকে থাপ্পর মারে। তখন হান্নান কোন বিলম্ব না করে মতিকে কুপিয়ে আহত করে। শুরু হয় দুগ্রুপের মারামারি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় রাজ্জাক (৪০), মনির (৩৯), সোহেল (৩৮), সেলিম মজুমদার(৩০) প্রতিপক্ষের ফারুক (৩২), ইসমাইল (৪৫), হান্নান (৪০), মজিবর (৪৫) ও আলমগির (৩৫) আহত হয়।

এদিকে কাউন্সিলর মতির উপর হামলা ও মারধর করার খবর পেয়ে কয়েক শতাধিক সমর্থক লাঠি সোটা নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে হান্নান গ্রুপের লোকজনের দোকানপাট ও বাড়ী-ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর শুরু করে। এ খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিত শান্ত করে।

পরে বেলা দেড়টার দিকে শিমুলপাড়া মুনলাইট গার্মেন্টস এর পিছুনে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে(একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার ক্যাম্পকরা হয়েছিল) আগুন ধরিয়ে দেয় মতি সমর্থকরা। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের সমর্থক হান্নান প্রধান এই নির্বাচনী ক্যাম্প করেছিল। সিরাজ মন্ডলের সমর্থক হলেও জমি নিয়ে বিরোধ হান্নান আর নির্বাচনী ক্যাম্প করা হান্নান এক ব্যক্তি নয়।

এ দিকে মতি সমর্থকরা অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া ও আক্তার নামে একজনকে পিটিয়ে আহত করায় সিরাজুল ইসলাম মন্ডল সমর্থকরাও উত্তেজিত হয়ে উঠে। পাল্টা হামলা হরার প্রস্তুতি শুরু করে।

পরিস্থিত নিয়ন্ত্রন রাখতে সিরাজুল ইসমলাম মন্ডলের বাড়ীর সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ। একদিকে কাউন্সিলর মতির কার্যালয়ের সামনে হাজার হাজার নেতাকর্মী, অপরদিকে সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের বাড়ীর সামনেও শত শত লোকজনের উপস্থিতি, যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এ ঘটনা বিষয়ে মতিউর রহমান মতি ও কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শাহিন শাহ পারভেজ জানায়, জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক পক্ষের লোকজন মতিকে মারধর করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল

সিদ্ধিরগঞ্জে যুবলীগ নেতা মতিকে কুপিয়ে জখম প্রতিপক্ষের বাড়ী-ঘরে হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ

আপডেট সময় : ০১:২৬:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আওয়ামীলীগের দু,গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ সভাপতি ও নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং প্যানেল মেয়র-২ মতিউর রহমান মতিসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত। ৩ জন আটক। বৃহস্পতিবার(৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় আদমজী নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের ইন্দনে পরিকল্পিত ভাবে মতিকে হত্যা করার জন্য হামলা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে সিরাজ মন্ডল সমর্থকদের বাড়ী-ঘরে হামলা ভাংচুর ও নৌকার একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ করে মতি সমর্থকরা। এনিয়ে দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। যে কোন সময় ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আহত কাউন্সিলর মতিকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকার সূত্রাপুরে আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আদমজী নতুন বাজার এলাকায় নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ সভাপতি মতির সমর্থক আবদুর রাজ্জাক একই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের সমর্থক হান্নান শেখ এবং ইসমাইল এর মধ্যে ৫৪ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে একাদিকবার সালিশী বৈঠক হলে বিরোধ নিস্পত্তি হয়নি। বিরোধপূর্ণ জমিতে হান্নান শেখ নতুন একটি দোকান ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে। তখন প্রতিপক্ষ বাধা দেয়। এতে দুপক্ষের লোকজন জোড় হয়।

বিষয়টি জানতে পেরে মতি মোটরসাইকেলে করে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে হান্নানকে দোকান নির্মাণ করতে নিষেধ করে। এনিয়ে মতির সাথে হান্নানের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় মতি উত্তেজিত হয়ে গালাগালি ও হান্নানকে থাপ্পর মারে। তখন হান্নান কোন বিলম্ব না করে মতিকে কুপিয়ে আহত করে। শুরু হয় দুগ্রুপের মারামারি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় রাজ্জাক (৪০), মনির (৩৯), সোহেল (৩৮), সেলিম মজুমদার(৩০) প্রতিপক্ষের ফারুক (৩২), ইসমাইল (৪৫), হান্নান (৪০), মজিবর (৪৫) ও আলমগির (৩৫) আহত হয়।

এদিকে কাউন্সিলর মতির উপর হামলা ও মারধর করার খবর পেয়ে কয়েক শতাধিক সমর্থক লাঠি সোটা নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে হান্নান গ্রুপের লোকজনের দোকানপাট ও বাড়ী-ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর শুরু করে। এ খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিত শান্ত করে।

পরে বেলা দেড়টার দিকে শিমুলপাড়া মুনলাইট গার্মেন্টস এর পিছুনে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে(একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার ক্যাম্পকরা হয়েছিল) আগুন ধরিয়ে দেয় মতি সমর্থকরা। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের সমর্থক হান্নান প্রধান এই নির্বাচনী ক্যাম্প করেছিল। সিরাজ মন্ডলের সমর্থক হলেও জমি নিয়ে বিরোধ হান্নান আর নির্বাচনী ক্যাম্প করা হান্নান এক ব্যক্তি নয়।

এ দিকে মতি সমর্থকরা অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া ও আক্তার নামে একজনকে পিটিয়ে আহত করায় সিরাজুল ইসলাম মন্ডল সমর্থকরাও উত্তেজিত হয়ে উঠে। পাল্টা হামলা হরার প্রস্তুতি শুরু করে।

পরিস্থিত নিয়ন্ত্রন রাখতে সিরাজুল ইসমলাম মন্ডলের বাড়ীর সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ। একদিকে কাউন্সিলর মতির কার্যালয়ের সামনে হাজার হাজার নেতাকর্মী, অপরদিকে সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের বাড়ীর সামনেও শত শত লোকজনের উপস্থিতি, যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এ ঘটনা বিষয়ে মতিউর রহমান মতি ও কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শাহিন শাহ পারভেজ জানায়, জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক পক্ষের লোকজন মতিকে মারধর করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।