সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের মধ্য সানারপাড় এলাকার গৃহবধূ লায়লা হত্যার রহস্য উদঘাটন। ধর্ষণের পর পরকীয়া গ্রেমিক আশরাফুল তাকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ ঘরে রেখেই পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবিরের আদালতে স্বীকারক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক প্রেমিক আশরাফুল (৩৬)।
আদালতে আশরাফুল স্বীকারক্তি দেয়, গত ২৫ অক্টোবর লায়না আমাকে ফোন করে তার বাসায় ডেকে নেয়। যাওয়ার পর সে আমার পরিবার (স্ত্রী-সন্তান) ও আমাকে গালাগাল করতে থাকে। আমি তাকে গালাগালি বন্ধ করতে বললে সে শোনেনি। তখন আমি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধর্ষণ করি। পরে তার গলা চেপে ধরি। এতে শ্বাসরোধ হয়ে সে মারা গেলে আমি পালিয়ে যাই। আশরাফুল লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার মহিষখোচা এলাকার মৃত সোলায়মান আলীর ছেলে। সানারপাড় লন্ডনমার্কে মহাকাশ রোড এলাকার সাইফুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া। স্মার্ট নামে একটি গার্মেন্টস কারখানায় কিউসি হিসাবে চাকুরী করতো।
আদালতকে আশরাফুল আরো জানায়, প্রায় ১৭ বা ১৮ বছর আগে লায়লার বিয়ে হলেও কোন সন্তান হয়নি। গত ২ বছর ধরে তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সন্তানের আশায় সে আমার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে।
লায়লা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর পরিদর্শক গিয়াসউদ্দিন ডেমরা সারুলিয়া এলাকা থেকে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করলে হত্যার দায় স্বীকার করে এ জবানবন্দি দেয় আশরাফুল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গিয়াসউদ্দিন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর বিকেল ৩ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মধ্য সানারপাড় এলাকার খলিল মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে লায়লা আক্তার (৩০) এর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লায়লা ওই বাসায় তার স্বামীর সাথেই থাকতো।