নারায়ণগঞ্জ ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান বিভাজন সৃষ্টির ষড়যন্ত্র শ্রমিকদল নেতা আসলামের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার গিয়াস-মামুনের পূজার অপেক্ষায় মান্নান নারায়ণগঞ্জ চারটি আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর নাম ঘোষণা ১১২ টাকায় ১৪ জনকে চাকরি দিলেন নারায়ণগঞ্জের মানবিক ডিসি নারায়ণগঞ্জ সদর ইউএনও’র সঙ্গে কুতুবপুর নাসিক অন্তর্ভুক্ত করণ বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ মাদক কারবারিদের গ্রেফতারের দাবিতে ফতুল্লায় মানববন্ধন জুলাই শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া ও স্মরণসভা অটো চালক মমিনুলকে পিটিয়ে হত্যা র‌্যাবের অভিযানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূলহোতা মামুন গ্রেফতার ফতুল্লায় যৌথ অভিযানে ১৬ জন মাদক সেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

নবম বিয়ে শুভ হলনা নোয়াখালীর প্রতারক সজিবের

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অক্টোবর ২০১৮
  • ২৯৩ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে নবব বিয়ে করে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছে শাহীন আলম তারেক ওরফে সজিব(২৯) নামে একজন ভূয়া র‌্যাব। নিজেকে পুলিশ ও র‌্যাব অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রতারক সজিব একে একে বিয়ে করে ৯ টি। মঙ্গলবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই প্রতারককে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১১। ধৃত সজিব নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার এখলাসপুর গ্রামের হাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে।

র‌্যাব জানায়, এই প্রতারক নিজেকে তারেক, লিটন ও র‌্যাবের এএসপি সজিব পরিচয় দিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে বিয়ে করা এবং বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন অফিসার ও র‌্যাবের এএসপি পরিচয় দিয়ে একে একে ৯ টি বিয়ে করে সে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে এই প্রতারক সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় নবম বিয়ে সম্পন্ন করেন। তাকে এলাকার সকলেই র‌্যাবের এএসপি সজিব হিসেবে জানে। চিটাগাংরোড এলাকাতেও র‌্যাবের এএসপি হিসেবে রয়েছে তার পরিচিতি। অবশেষে তার এসব অপকর্ম ফাঁস হয়ে যায় র‌্যাব-১১’র কাছে ধরা পড়ার পর। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় প্রতারণার হাতিয়ার হিসেবে এডিট করা বিভিন্ন ছবি। ধরা পরার পর এই প্রতারকের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে একটি ভুয়া পুলিশ আইডি কার্ড, বিপুল পরিমান পুলিশের ভিজিটিং কার্ড, পুলিশ ও র‌্যাবের ইউনিফর্ম পরিহিত ছবি, এএসপি সজিব নাম সম্বলিত পরিচয়দানকারী বিয়ের দাওয়াত কার্ড এবং তিনটি মোবাইল ফোন। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সজিব স্বীকার করে, সে মাত্র সাত দিন আগে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় তার নবম বিয়ে সম্পন্ন করেছে। নববধুকে এই কার্ডগুলো দেখিয়ে বিশ^স্ততা অর্জন করাই তার লক্ষ্য ছিল।

র‌্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক আলেপ উদ্দিন জানান, সজিব মূলত একজন পেশাদার প্রতারক চক্রের সদস্য। তার নিজ এলাকাতেও সে প্রতারক লিটন হিসেবে পরিচিত। সে র‌্যাব-১১ এর এএসপি পরিচয়ে এ পর্যন্ত নয়টি বিয়ে করেছে। প্রতারক সজিব দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় র‌্যাবের এএসপি হিসাবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ লোকের কাছ থেকে মামলার তদ্বদ্বির, আসামী ছাড়ানোর জন্য বিপুল অংকের অর্থ আদায় করাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে আস্থা অর্জন করার জন্য সে বিশেষ কৌশলের আশ্র্রয় নিতো। সে তার মোবাইলে ফটোশপের মাধ্যমে পুলিশ ও র‌্যাবের বিভিন্ন ঊর্ধ্বত কর্মকর্তার র‌্যাংকব্যাজ পরিহিত ছবির সাথে তার নিজের ছবি এডিটিং করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণাসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধ সংগঠিত করত। এমন কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে রাষ্ট্রীয় পদক পরিয়ে দিচ্ছেন সম্বলিত একটি ভুয়া ছবিও তার মোবাইলে পাওয়া যায়। সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করার জন্য রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে তাকে মিটিংরত অবস্থায়, পুলিশের ট্রেনিংরত অবস্থা সম্বলিত ভুয়া ছবিও সে ব্যবহার করে।

আলেপ উদ্দিন আরও জানান, প্রতারক সজীব শুধু এএসপি পরিচয়ই দিতনা, প্রতারনা করার জন্য মানুষের শ্রেনী বুঝে সে কখনো পুলিশের এসআই, কখনো র‌্যাবের ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয় প্রদান করে আসছিল। র‌্যাব-১১ এর আভিযানিক দল তার কাছে বিপুল পরিমান বিয়ের দাওয়াত কার্ড জব্দ করে, যা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় কার্ড গুলো তার নিজের বিয়ের, সেখানেও বর হিসেবে এএসপি সজীব নাম লিখা। দাওয়াত কার্ডগুলোর উপরে র‌্যাব ও পুলিশের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম ঠিকানা লেখা রয়েছে।

 

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান বিভাজন সৃষ্টির ষড়যন্ত্র

নবম বিয়ে শুভ হলনা নোয়াখালীর প্রতারক সজিবের

আপডেট সময় : ০৩:২২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অক্টোবর ২০১৮

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে নবব বিয়ে করে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছে শাহীন আলম তারেক ওরফে সজিব(২৯) নামে একজন ভূয়া র‌্যাব। নিজেকে পুলিশ ও র‌্যাব অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রতারক সজিব একে একে বিয়ে করে ৯ টি। মঙ্গলবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই প্রতারককে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১১। ধৃত সজিব নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার এখলাসপুর গ্রামের হাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে।

র‌্যাব জানায়, এই প্রতারক নিজেকে তারেক, লিটন ও র‌্যাবের এএসপি সজিব পরিচয় দিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে বিয়ে করা এবং বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন অফিসার ও র‌্যাবের এএসপি পরিচয় দিয়ে একে একে ৯ টি বিয়ে করে সে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে এই প্রতারক সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় নবম বিয়ে সম্পন্ন করেন। তাকে এলাকার সকলেই র‌্যাবের এএসপি সজিব হিসেবে জানে। চিটাগাংরোড এলাকাতেও র‌্যাবের এএসপি হিসেবে রয়েছে তার পরিচিতি। অবশেষে তার এসব অপকর্ম ফাঁস হয়ে যায় র‌্যাব-১১’র কাছে ধরা পড়ার পর। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় প্রতারণার হাতিয়ার হিসেবে এডিট করা বিভিন্ন ছবি। ধরা পরার পর এই প্রতারকের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে একটি ভুয়া পুলিশ আইডি কার্ড, বিপুল পরিমান পুলিশের ভিজিটিং কার্ড, পুলিশ ও র‌্যাবের ইউনিফর্ম পরিহিত ছবি, এএসপি সজিব নাম সম্বলিত পরিচয়দানকারী বিয়ের দাওয়াত কার্ড এবং তিনটি মোবাইল ফোন। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সজিব স্বীকার করে, সে মাত্র সাত দিন আগে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় তার নবম বিয়ে সম্পন্ন করেছে। নববধুকে এই কার্ডগুলো দেখিয়ে বিশ^স্ততা অর্জন করাই তার লক্ষ্য ছিল।

র‌্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক আলেপ উদ্দিন জানান, সজিব মূলত একজন পেশাদার প্রতারক চক্রের সদস্য। তার নিজ এলাকাতেও সে প্রতারক লিটন হিসেবে পরিচিত। সে র‌্যাব-১১ এর এএসপি পরিচয়ে এ পর্যন্ত নয়টি বিয়ে করেছে। প্রতারক সজিব দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় র‌্যাবের এএসপি হিসাবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ লোকের কাছ থেকে মামলার তদ্বদ্বির, আসামী ছাড়ানোর জন্য বিপুল অংকের অর্থ আদায় করাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে আস্থা অর্জন করার জন্য সে বিশেষ কৌশলের আশ্র্রয় নিতো। সে তার মোবাইলে ফটোশপের মাধ্যমে পুলিশ ও র‌্যাবের বিভিন্ন ঊর্ধ্বত কর্মকর্তার র‌্যাংকব্যাজ পরিহিত ছবির সাথে তার নিজের ছবি এডিটিং করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণাসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধ সংগঠিত করত। এমন কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে রাষ্ট্রীয় পদক পরিয়ে দিচ্ছেন সম্বলিত একটি ভুয়া ছবিও তার মোবাইলে পাওয়া যায়। সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করার জন্য রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে তাকে মিটিংরত অবস্থায়, পুলিশের ট্রেনিংরত অবস্থা সম্বলিত ভুয়া ছবিও সে ব্যবহার করে।

আলেপ উদ্দিন আরও জানান, প্রতারক সজীব শুধু এএসপি পরিচয়ই দিতনা, প্রতারনা করার জন্য মানুষের শ্রেনী বুঝে সে কখনো পুলিশের এসআই, কখনো র‌্যাবের ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয় প্রদান করে আসছিল। র‌্যাব-১১ এর আভিযানিক দল তার কাছে বিপুল পরিমান বিয়ের দাওয়াত কার্ড জব্দ করে, যা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় কার্ড গুলো তার নিজের বিয়ের, সেখানেও বর হিসেবে এএসপি সজীব নাম লিখা। দাওয়াত কার্ডগুলোর উপরে র‌্যাব ও পুলিশের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম ঠিকানা লেখা রয়েছে।