সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সোমবার (১ অক্টোবর) থানার উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেছেন। ওই মামলায় পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।
ধৃতরা হলো, মোঃ শাহাদাত হোসেন রনি, মোঃ ওমর ফারুক, মোঃ আল আমিন, মোঃ শরীফুল ইসলাম, মোঃ আবু হানিফ, গোলজার হোসেন ও আমজাদ হোসেন। তাদের কাছ থেকে ৯ টি অ-বিষ্ফোরিত ককটেল, ২টি কাঠের লাঠি ও ৩৭ টি ছোট ছোট পাথর উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মামলার অন্য আসামীরা হলো,বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন,থানা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এম,এ হালিম জুয়েল, নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তৈয়ব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মোল্লা, নাসিক ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন, থানা বিএনপি’র সদস্য রিয়াজুল ইসলাম, আকবর হোসেন, শাহ আলম মাস্টার, আইয়ুব আলী মুন্সি, রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, মিনার হোসেন, হেলাল উদ্দিন, পলাশ, ইমাম হোসেন বাদল, শিপন, মশিউর রহমান মিশু, আজহারুল ইসলাম দিপু, পল্টু কর্মকার, আনোয়ার হোসেন, বিল্লাল হোসেন, আ: মান্নান ও আবুল হাসেম কাজী।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানাড়পাড় বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০০ থেকে ১২০ জন নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে সমবেত হয়। এসময় তারা মহাসড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মিছিল করে। এই সংবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এসময় তাদেরকে রাস্তা বন্ধ করে মিছিল করতে নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর অতর্কিতভাবে লাঠি-সোটা, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ইটের আঘাতে আমির হোসেন ও বিল্লাল হোসেন নামে পুলিশে দুই সদস্য আহত হয়। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখন দৌড়ে পালিয়ে যাবার সময় উপরোক্ত আসামীদের আটক করা হয় এবং তাদের হেফাজত থেকে ককটেল, কাঠের লাঠি ও পাথর উদ্ধার করা হয়।