নারায়ণগঞ্জ ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

মিয়ানমারে রয়টার্সের ২সাংবাদিকে ৭বছরের কারাদণ্ড

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ১৪০ বার পড়া হয়েছে

 

মিয়ানমারের একটি আদালত ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে স্টেট সিক্রেটস অ্যাক্টস (রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন) লঙ্ঘনের দায়ে সাত বছরের কারদÐ দিয়েছে। এই দুই সাংবাদিক মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের তথ্য সংগ্রহের সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন।
৩ সেপ্টেম্বর, সোমবার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন জেলা জজ আদালত এই রায় ঘোষণা করে। এ সময় সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) এবং কিয়াও সো ওর (২৮) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানানো হয়।
বিচারক ইয়ে লইন তার রায় ঘোষণার সময় বলেন, ‘সাংবাদিক ওয়া লোন এবং কিয়াও সো ওর গোপন তথ্য সংগ্রহের সময় রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভেঙেছেন। তাদের সাত বছরের কারাদÐ দেওয়া হলো এবং ইতোমধ্যে হাজতবাসের সময় তাদের সাজা থেকে বাদ যাবে।’
রয়টার্সের প্রধান সম্পাদক স্টিফেন জে অ্যাডলার রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মিয়ানমারের জন্য, রয়টার্সের সাংবাদিক ওয়া লোন ও কিয়াও সো ওর জন্য এবং বিশ্বের সব সংবাদমাধ্যমের জন্য আজ একটি দুঃখের দিন।
এই দুই সাংবাদিক বরাবরই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসছেন। আর মামলার বিচারের সময় আদালতকে তারা জানান, গত ১২ ডিসেম্বর ইয়াঙ্গুনের এক রেস্তোরাঁয় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে দুই পুলিশ সদস্য তাদের হাতে কিছু মোড়ানো কাগজ ধরিয়ে দেন এবং তার পরপরই সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
রয়টার্স লিখেছে, ওই দুই সাংবাদিককে ধরার জন্য ওই ঘটনা সাজানো হয়েছিল। মামলার বিচারের সময় প্রত্যক্ষদর্শী এক পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্যে বিষয়টি ওঠে এসেছিল।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাংবাদিক ওয়া লোন ২০১৬ সালে রয়টার্স যোগ দেন। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ বিভিন্ন ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করেছেন তিনি। আর কিয়াও সো ও গতবছর সেপ্টেম্বর থেকে রয়টার্সের প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
গ্রেফতার হওয়ার আগে ওয়া লোন এবং কিয়াও সো ও রাখাইনের সেনা অভিযানের সময় এক গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করে লাশ পুঁতে ফেলার একটি ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান করছিলেন।
আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই সাংবাদিককে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংগঠন তাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানালেও মিয়ানমার সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।
বরং চলতি বছরের ৯ জুলাই এই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশে বলা হয়, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে অভিযোগ এনেছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

মিয়ানমারে রয়টার্সের ২সাংবাদিকে ৭বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৭:২২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 

মিয়ানমারের একটি আদালত ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে স্টেট সিক্রেটস অ্যাক্টস (রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন) লঙ্ঘনের দায়ে সাত বছরের কারদÐ দিয়েছে। এই দুই সাংবাদিক মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের তথ্য সংগ্রহের সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন।
৩ সেপ্টেম্বর, সোমবার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন জেলা জজ আদালত এই রায় ঘোষণা করে। এ সময় সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) এবং কিয়াও সো ওর (২৮) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানানো হয়।
বিচারক ইয়ে লইন তার রায় ঘোষণার সময় বলেন, ‘সাংবাদিক ওয়া লোন এবং কিয়াও সো ওর গোপন তথ্য সংগ্রহের সময় রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভেঙেছেন। তাদের সাত বছরের কারাদÐ দেওয়া হলো এবং ইতোমধ্যে হাজতবাসের সময় তাদের সাজা থেকে বাদ যাবে।’
রয়টার্সের প্রধান সম্পাদক স্টিফেন জে অ্যাডলার রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মিয়ানমারের জন্য, রয়টার্সের সাংবাদিক ওয়া লোন ও কিয়াও সো ওর জন্য এবং বিশ্বের সব সংবাদমাধ্যমের জন্য আজ একটি দুঃখের দিন।
এই দুই সাংবাদিক বরাবরই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসছেন। আর মামলার বিচারের সময় আদালতকে তারা জানান, গত ১২ ডিসেম্বর ইয়াঙ্গুনের এক রেস্তোরাঁয় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে দুই পুলিশ সদস্য তাদের হাতে কিছু মোড়ানো কাগজ ধরিয়ে দেন এবং তার পরপরই সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
রয়টার্স লিখেছে, ওই দুই সাংবাদিককে ধরার জন্য ওই ঘটনা সাজানো হয়েছিল। মামলার বিচারের সময় প্রত্যক্ষদর্শী এক পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্যে বিষয়টি ওঠে এসেছিল।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাংবাদিক ওয়া লোন ২০১৬ সালে রয়টার্স যোগ দেন। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ বিভিন্ন ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করেছেন তিনি। আর কিয়াও সো ও গতবছর সেপ্টেম্বর থেকে রয়টার্সের প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
গ্রেফতার হওয়ার আগে ওয়া লোন এবং কিয়াও সো ও রাখাইনের সেনা অভিযানের সময় এক গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করে লাশ পুঁতে ফেলার একটি ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান করছিলেন।
আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই সাংবাদিককে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংগঠন তাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানালেও মিয়ানমার সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।
বরং চলতি বছরের ৯ জুলাই এই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশে বলা হয়, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে অভিযোগ এনেছে।