নারায়ণগঞ্জ ০৮:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর সোনারগাঁওয়ে গণিত অলিম্পিয়াড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জমকালো আয়োজনে সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রি-পেইড মিটার বাতিল চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম সিদ্ধিরগঞ্জের বিক্ষুব্দ গ্রাহকদের সিদ্ধিরগঞ্জের মামলার ফাঁদে চুনা কারখানা মালিকরা আড়াইহাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর উদ্ধোধন চাঁদপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আড়াইহাজারে নৈরাজ্য, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিএনপির শান্তি সমাবেশ যৌথবাহিনীর অভিযান: আড়াইহাজারে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

একই ঘাটের মাঝি সাজু ফাজি হলে আমির কেন হাজী ?

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৫:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুলাই ২০১৮
  • ৪২৬ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল আরামবাগ এলাকার অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদকের ডন শাহজাহান সাজু এবং কাজী আমির হোসেন একই ঘাটের মাঝি। একসময় তারা দুজনের মধ্যে দহরম মহরম সম্পর্ক ছিল। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম তারা এক সাথে করেছে। দুজনের বিরুদ্ধেই রয়েছে একাধিক মামলা।একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে জেল হাজত বাসও করেছে তারা।স্থানীয়দের প্রশ্ন সাজু যদি ফাজি হয় তাহলে কাজী আমির কি করে হাজী হলো। প্রকাশ্যে গুলা গুলিসহ কাজী আমিরের বহু অপকর্মের স্বাক্ষী এলাকাবাসী। বৃহত্তর গোদনাইলের শীর্ষ ১১ সন্ত্রাসীর মধ্যে কাজী আমির ও সাজু অন্যতম। তবে আমিরের সাথে আছে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি। সাধারণ এলাকাবাসীর মতে কাজী আমির নিজে ধোয়া তুলষি পাতা সেজে কাউন্সিলর হাজী ইফতেখার আলম খোকনের সাথে হাত মিলিয়ে প্রতিপক্ষ ঘায়েল করার মিশনে নেমেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড গোদনাইল আরামবাগ এলাকার অস্ত্রধারী শীর্ষ তিন সন্ত্রাসী শাহজাহান সাজু, কাজী আমির ও সেলিম ওরফে টুন্ডা সেলিম এক জোট হয়ে সকল অপকর্ম করতো। একক আদিপত্য বিস্তার করার লোভ লালসায় তাদের মধ্যে দেখা দেয় বিরোধ। একেকজন একেক ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন নিয়ে টুন্ডা সেলিমকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায় প্রতিপক্ষরা। প্রতিপক্ষের হামলায় ভাগ্য গুণে প্রাণে বেচে যাওয়া টুন্ডা সেলিম শান্ত হয়ে পড়ে। মাঠ দখলে নেয় সাজু ও আমির। আমির হাত মিলায় ফতুল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদকের ডন চুন্নুর সাথে। চুন্নুকে সাথে নিয়ে আমির গোদনাইল লক্ষীনারায়ণ, চিত্তরঞ্জন এলাকায় গড়ে তুলে মাদকের আস্তানা। আরামবাগ এলাকার একাংশ নিয়ন্ত্রন করে সাজু। গুলিবিদ্ধ টুন্ডা সেলিম সুস্থ হয়ে এলাকায় ফিরে আসার পর অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয় সাজু। দীর্ঘদিন জেল হাজত বাস করে জামিনে বের হয়ে আবার এলাকার নিয়ন্ত্রন নিয়ে মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু মাঠ দখলের সুযোগ দেয়নি কাজী আমির। এক পর্যায় আমিরের মাদক ব্যবসার অংশিদার চুন্নু অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার হয়। এতে বেকায়দায় পড়ে যায় আমির। এ সুযোগে স্বঅবস্থানে ফিরে যায় সাজু। একই চক্রের দীর্ঘ দিনের সহকর্মী বর্তমান নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী ইফতেখার আলম খোকনের সবচেয়ে আপনজন হয়ে উঠে আমির। এতে দূরে সরে যায় সাজু ও টুন্ডা সেলিম। কাউন্সিলর খোকন সাথে থাকায় কাজী আমির শক্তিশালী হয়ে উঠে। কাজী আমিরের বদনজরে কিছু দিন আগে মাদকসহ গ্রেফতার হয় সাজু। টুন্ডা সেলিম নিক্রিয়। ফলে মাঠে আমির একা। নিজের শক্তি পদর্শনের কৌশল হিসেবে কয়েক দিন আগে মাদক বিরোধী মিছিলের নামে এলাকায় শোডাউন করে কাজী আমির। মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে শোডাউন করা মাদক বিরোধী এই মিছিলের আগের সারিতে ছিলেন নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন। মাদক ডনের উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলে কাউন্সিলর খোকনের উপস্থিতি নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। আমির তার শক্তি পদর্শনের মোহড়া দিতে সরকারের উন্নয়নের সফলতায় একটি মিছিল করে। মিছিল শেষে প্রতিপক্ষের হামলায় আমির গ্রুপের কয়েকজন আহত হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সাজু যেমন ভয়ঙ্কর তেমনি ভয়ঙ্কর কাজী আমির। দুজনই অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। বৃহত্তর গোদনাইলের শীর্ষ ১১ সন্ত্রাসীর মধ্যে সাজু ও আমির অন্যতম। একসময় তারা একই গ্রুপের সদস্য ছিল। ড্রেজার ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গোদনাইল ভূইয়াপাড়ার যুবলীগ সন্ত্রাসী মহসিন ভূইয়ার বাড়ীতে দিনদুপুরে হামলা চালিয়েছিল কাজী আমির। ওই হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল নাসিক ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রহুল আমিন মোল্লার ভাই। কাজী আমির ও সাজু এক জোট হয়ে হামলা করায় মহসিন গ্রুপ ঠিকতে পারেনি। তাছাড়া অস্ত্রের দিক দিয়ে আমির সাজু শক্তিশালী। মাদক ব্যবসার আদিপত্য নিয়েই সাজু বাহিনী হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেছিল টুন্ডা সেলিমকে।
নির্ভরযোগ্য একটি গোপন সূত্রে জানা গেছে, কাজী আমির, সাজু ও টুন্ডা সেলিমের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করার খেলাটা খেলেছেন ইফতেখার আলম খোকন। একক অদিপত্য বিস্তার করতেই খোকন এই খেলাটা খেলেছিল। কারণ তখন খোকন কাউন্সিলর ছিলেন না। তিনি কাউন্সিলর হবেন তা কখনো ভাবতও না। কিন্তু এক অদৃশ্য আশির্বাদে খোকন কাউন্সিলর হয়ে যাওয়ার পর সকল পরিকল্পনা বদলিয়ে ফেলে। আমিরকে হাতে নিয়ে মাঠ নিয়ন্ত্রন করার সুযোগ দিয়ে সাজু ও টুন্ডা সেলিমকে দুর্বল করে দেয়। সেলিম চুপ হয়ে গেলেও সাজু লড়া চড়া বন্ধু করতে পারছেনা।
একটি সূত্র জানায়, শুধু গোদনাইল নয় সমস্ত সিদ্ধিরগঞ্জের মধ্যে মাদকের সবচেয়ে বড় আস্তানা আরামবাগ। অবৈধ অস্ত্রও সবচেয়ে বেশি আরামবাগে। আর এই আরাম বাগের নিয়ন্ত্রক কাজী আমির ও সাজু। পর্দার আড়ালে রয়েছেন আওয়ামীলীগ বিএনপির কয়েকজন নেতা ও ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন। পর্যবেক্ষক মহলের মতে কাজী আমির ও খোকন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমানের ¯েœহ ভাজন হওয়ায় তাদের অপকর্ম নিয়ে কোন কথা হচ্ছে না। প্রশাসনিক ভাবেই আমিরের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করছেনা। তবে সাজুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ প্রশাসন। সাজু গ্রেফতার হওয়ায় আমির শিবিরে উল্লাস। তারা মাদকের বিরোদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। সাজুকে ফাজি বানিয়ে হাজী হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আমির। এতে হাস্য কৌতুকের সৃষ্টি হয়েছে গোদনাইলের অন্যান্য সন্ত্রাসী শিবির ও সাধারণ মানুষের মাঝে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ

একই ঘাটের মাঝি সাজু ফাজি হলে আমির কেন হাজী ?

আপডেট সময় : ১০:১৫:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুলাই ২০১৮

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল আরামবাগ এলাকার অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদকের ডন শাহজাহান সাজু এবং কাজী আমির হোসেন একই ঘাটের মাঝি। একসময় তারা দুজনের মধ্যে দহরম মহরম সম্পর্ক ছিল। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম তারা এক সাথে করেছে। দুজনের বিরুদ্ধেই রয়েছে একাধিক মামলা।একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে জেল হাজত বাসও করেছে তারা।স্থানীয়দের প্রশ্ন সাজু যদি ফাজি হয় তাহলে কাজী আমির কি করে হাজী হলো। প্রকাশ্যে গুলা গুলিসহ কাজী আমিরের বহু অপকর্মের স্বাক্ষী এলাকাবাসী। বৃহত্তর গোদনাইলের শীর্ষ ১১ সন্ত্রাসীর মধ্যে কাজী আমির ও সাজু অন্যতম। তবে আমিরের সাথে আছে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি। সাধারণ এলাকাবাসীর মতে কাজী আমির নিজে ধোয়া তুলষি পাতা সেজে কাউন্সিলর হাজী ইফতেখার আলম খোকনের সাথে হাত মিলিয়ে প্রতিপক্ষ ঘায়েল করার মিশনে নেমেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড গোদনাইল আরামবাগ এলাকার অস্ত্রধারী শীর্ষ তিন সন্ত্রাসী শাহজাহান সাজু, কাজী আমির ও সেলিম ওরফে টুন্ডা সেলিম এক জোট হয়ে সকল অপকর্ম করতো। একক আদিপত্য বিস্তার করার লোভ লালসায় তাদের মধ্যে দেখা দেয় বিরোধ। একেকজন একেক ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন নিয়ে টুন্ডা সেলিমকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায় প্রতিপক্ষরা। প্রতিপক্ষের হামলায় ভাগ্য গুণে প্রাণে বেচে যাওয়া টুন্ডা সেলিম শান্ত হয়ে পড়ে। মাঠ দখলে নেয় সাজু ও আমির। আমির হাত মিলায় ফতুল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদকের ডন চুন্নুর সাথে। চুন্নুকে সাথে নিয়ে আমির গোদনাইল লক্ষীনারায়ণ, চিত্তরঞ্জন এলাকায় গড়ে তুলে মাদকের আস্তানা। আরামবাগ এলাকার একাংশ নিয়ন্ত্রন করে সাজু। গুলিবিদ্ধ টুন্ডা সেলিম সুস্থ হয়ে এলাকায় ফিরে আসার পর অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয় সাজু। দীর্ঘদিন জেল হাজত বাস করে জামিনে বের হয়ে আবার এলাকার নিয়ন্ত্রন নিয়ে মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু মাঠ দখলের সুযোগ দেয়নি কাজী আমির। এক পর্যায় আমিরের মাদক ব্যবসার অংশিদার চুন্নু অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার হয়। এতে বেকায়দায় পড়ে যায় আমির। এ সুযোগে স্বঅবস্থানে ফিরে যায় সাজু। একই চক্রের দীর্ঘ দিনের সহকর্মী বর্তমান নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী ইফতেখার আলম খোকনের সবচেয়ে আপনজন হয়ে উঠে আমির। এতে দূরে সরে যায় সাজু ও টুন্ডা সেলিম। কাউন্সিলর খোকন সাথে থাকায় কাজী আমির শক্তিশালী হয়ে উঠে। কাজী আমিরের বদনজরে কিছু দিন আগে মাদকসহ গ্রেফতার হয় সাজু। টুন্ডা সেলিম নিক্রিয়। ফলে মাঠে আমির একা। নিজের শক্তি পদর্শনের কৌশল হিসেবে কয়েক দিন আগে মাদক বিরোধী মিছিলের নামে এলাকায় শোডাউন করে কাজী আমির। মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে শোডাউন করা মাদক বিরোধী এই মিছিলের আগের সারিতে ছিলেন নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন। মাদক ডনের উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলে কাউন্সিলর খোকনের উপস্থিতি নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। আমির তার শক্তি পদর্শনের মোহড়া দিতে সরকারের উন্নয়নের সফলতায় একটি মিছিল করে। মিছিল শেষে প্রতিপক্ষের হামলায় আমির গ্রুপের কয়েকজন আহত হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সাজু যেমন ভয়ঙ্কর তেমনি ভয়ঙ্কর কাজী আমির। দুজনই অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। বৃহত্তর গোদনাইলের শীর্ষ ১১ সন্ত্রাসীর মধ্যে সাজু ও আমির অন্যতম। একসময় তারা একই গ্রুপের সদস্য ছিল। ড্রেজার ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গোদনাইল ভূইয়াপাড়ার যুবলীগ সন্ত্রাসী মহসিন ভূইয়ার বাড়ীতে দিনদুপুরে হামলা চালিয়েছিল কাজী আমির। ওই হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল নাসিক ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রহুল আমিন মোল্লার ভাই। কাজী আমির ও সাজু এক জোট হয়ে হামলা করায় মহসিন গ্রুপ ঠিকতে পারেনি। তাছাড়া অস্ত্রের দিক দিয়ে আমির সাজু শক্তিশালী। মাদক ব্যবসার আদিপত্য নিয়েই সাজু বাহিনী হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেছিল টুন্ডা সেলিমকে।
নির্ভরযোগ্য একটি গোপন সূত্রে জানা গেছে, কাজী আমির, সাজু ও টুন্ডা সেলিমের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করার খেলাটা খেলেছেন ইফতেখার আলম খোকন। একক অদিপত্য বিস্তার করতেই খোকন এই খেলাটা খেলেছিল। কারণ তখন খোকন কাউন্সিলর ছিলেন না। তিনি কাউন্সিলর হবেন তা কখনো ভাবতও না। কিন্তু এক অদৃশ্য আশির্বাদে খোকন কাউন্সিলর হয়ে যাওয়ার পর সকল পরিকল্পনা বদলিয়ে ফেলে। আমিরকে হাতে নিয়ে মাঠ নিয়ন্ত্রন করার সুযোগ দিয়ে সাজু ও টুন্ডা সেলিমকে দুর্বল করে দেয়। সেলিম চুপ হয়ে গেলেও সাজু লড়া চড়া বন্ধু করতে পারছেনা।
একটি সূত্র জানায়, শুধু গোদনাইল নয় সমস্ত সিদ্ধিরগঞ্জের মধ্যে মাদকের সবচেয়ে বড় আস্তানা আরামবাগ। অবৈধ অস্ত্রও সবচেয়ে বেশি আরামবাগে। আর এই আরাম বাগের নিয়ন্ত্রক কাজী আমির ও সাজু। পর্দার আড়ালে রয়েছেন আওয়ামীলীগ বিএনপির কয়েকজন নেতা ও ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন। পর্যবেক্ষক মহলের মতে কাজী আমির ও খোকন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমানের ¯েœহ ভাজন হওয়ায় তাদের অপকর্ম নিয়ে কোন কথা হচ্ছে না। প্রশাসনিক ভাবেই আমিরের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করছেনা। তবে সাজুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ প্রশাসন। সাজু গ্রেফতার হওয়ায় আমির শিবিরে উল্লাস। তারা মাদকের বিরোদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। সাজুকে ফাজি বানিয়ে হাজী হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আমির। এতে হাস্য কৌতুকের সৃষ্টি হয়েছে গোদনাইলের অন্যান্য সন্ত্রাসী শিবির ও সাধারণ মানুষের মাঝে।