নারায়ণগঞ্জ ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সৌদি আরবে “প্রবাসী নাশীদ ব্যান্ডের” উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত রিয়াদে সিলেট সদর উপজেলা প্রবাসীদের উদ্যোগে সংবর্ধণা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইনভেস্টার নজরুল ইসলামের রিয়াদ গালফ টুলেডো রেষ্টুরেন্টে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে ৬ দিনেও নিখোঁজ ব্যবসায়ীর সন্ধান মেলেনি রিয়াদে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে ব্যাচ ৯৫-৯৭ এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত এতিমদের সন্মানে প্রবাসী সাংবাদিক ফারুক চানের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালরা দিচ্ছে পুলিশ ভেরিফিকেশন!

সিদ্ধিরগঞ্জের মাদক সম্রাজ্ঞী রোকসানা অধরা

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রনিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের আলোচিত মাদক সম্রাজ্ঞী রোকসানা অধরা। পঞ্ছায়েত মাদবর কর্তৃক নিজ এলাকা থেকে বিতারিত হয়ে রোকসানা ওমরপুর ও সাইলোগেইট এলাকায় নতুন আস্তানা গড়ে তুলে অভিনব কৌশলে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে। রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন এই মাদক সম্রাজ্ঞীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করছেনা বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জের বাগানবাড়ী এলাকার আলোচিত মাদক সম্রাজ্ঞী রোকসানা নিজ এলাকা থেকে বিতারিত হলেও তার মাদক ব্যবসা বন্ধ হচ্ছেনা। বিলুপ্ত সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্রশাসক আলাহাজ্ব আবদুল মতিন প্রধানের নেতৃত্বে এলাকার পঞ্ছায়েত মাদবরা রোকসানাকে বাগানবাড়ী এলাকা থেকে বিতারিত করে দেয়। নিজ এলাকা থেকে পঞ্ছায়েত মাদবর কর্তৃক বিতারিত হয়ে রোকসানা কিছু দিন আত্বগোপনে থেকে নাসিক ৫ নং ওয়ার্ডের সাইলোগেইট আমিজ উদ্দিন ভবন ও ওমরপুর এলাকায় নতুন আস্তানা গড়ে তুলে আবার শুরু করেছে মাদক ব্যবসা।
জানা গেছে, নারী-পুরুষসহ শক্তিশালী একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র গড়ে তুলেছে রোকসানা। কমপক্ষে ১০/১২ জন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে এ চক্রের। এ চক্রটি পাইকারী ও খুচরা ভাবে গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট এবং হেরোইন বিক্রি করে থাকে। পাইকাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গাঁজা, হেরোইন ও ইয়াবার বড় বড় চালান রোকসানার কাছে পৌঁছে দেয়। তার পর রোকসনা সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন খুচরা মাদক বিক্রেতাদের কাছে তা সরবরাহ করে। পাইকারী বাদেও রোকসানা তার বাহিনী দিয়ে খুচরা ভাবেও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের একশ্রেণীর অসাধু অফিসার ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে রোকসানা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সূত্রটির দাবি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জেলা গোয়েন্দা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ মাদকদ্রব্যসহ একাধিকবার রোকসানাকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। যতবারই সে গ্রেফতার হয়েছে ততবারই কিছুদিন পর আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে মাদক ব্যবসা অব্যাহত রাখছে। কিছুতেই সে মাদক ব্যবসা বন্ধ না করায় এলাকার পরিবেশ ও যুবসমাজকে রক্ষা করতে স্থানীয় পঞ্ছায়েত কমিটির লোকজন রোকসানাকে এলাকা থেকে বিতারিত করে দেয়। তার পরও এই মাদক সম্রাজ্ঞী তার মাদক ব্যবসা বন্ধ করছেনা। গত কয়েক মাস ধরে সে সাইলো ও ওমরপুর এলাকায় নতুন কৌশলে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই মাদকের বিষাক্ত ছোঁঁবল থেকে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও যুবসমাজকে রক্ষা করতে রোকসানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও র‌্যাব-১১ বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদি আরবে “প্রবাসী নাশীদ ব্যান্ডের” উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

সিদ্ধিরগঞ্জের মাদক সম্রাজ্ঞী রোকসানা অধরা

আপডেট সময় : ০২:৫৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ মে ২০১৮

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রনিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের আলোচিত মাদক সম্রাজ্ঞী রোকসানা অধরা। পঞ্ছায়েত মাদবর কর্তৃক নিজ এলাকা থেকে বিতারিত হয়ে রোকসানা ওমরপুর ও সাইলোগেইট এলাকায় নতুন আস্তানা গড়ে তুলে অভিনব কৌশলে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে। রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন এই মাদক সম্রাজ্ঞীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করছেনা বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জের বাগানবাড়ী এলাকার আলোচিত মাদক সম্রাজ্ঞী রোকসানা নিজ এলাকা থেকে বিতারিত হলেও তার মাদক ব্যবসা বন্ধ হচ্ছেনা। বিলুপ্ত সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্রশাসক আলাহাজ্ব আবদুল মতিন প্রধানের নেতৃত্বে এলাকার পঞ্ছায়েত মাদবরা রোকসানাকে বাগানবাড়ী এলাকা থেকে বিতারিত করে দেয়। নিজ এলাকা থেকে পঞ্ছায়েত মাদবর কর্তৃক বিতারিত হয়ে রোকসানা কিছু দিন আত্বগোপনে থেকে নাসিক ৫ নং ওয়ার্ডের সাইলোগেইট আমিজ উদ্দিন ভবন ও ওমরপুর এলাকায় নতুন আস্তানা গড়ে তুলে আবার শুরু করেছে মাদক ব্যবসা।
জানা গেছে, নারী-পুরুষসহ শক্তিশালী একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র গড়ে তুলেছে রোকসানা। কমপক্ষে ১০/১২ জন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে এ চক্রের। এ চক্রটি পাইকারী ও খুচরা ভাবে গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট এবং হেরোইন বিক্রি করে থাকে। পাইকাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গাঁজা, হেরোইন ও ইয়াবার বড় বড় চালান রোকসানার কাছে পৌঁছে দেয়। তার পর রোকসনা সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন খুচরা মাদক বিক্রেতাদের কাছে তা সরবরাহ করে। পাইকারী বাদেও রোকসানা তার বাহিনী দিয়ে খুচরা ভাবেও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের একশ্রেণীর অসাধু অফিসার ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে রোকসানা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সূত্রটির দাবি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জেলা গোয়েন্দা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ মাদকদ্রব্যসহ একাধিকবার রোকসানাকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। যতবারই সে গ্রেফতার হয়েছে ততবারই কিছুদিন পর আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে মাদক ব্যবসা অব্যাহত রাখছে। কিছুতেই সে মাদক ব্যবসা বন্ধ না করায় এলাকার পরিবেশ ও যুবসমাজকে রক্ষা করতে স্থানীয় পঞ্ছায়েত কমিটির লোকজন রোকসানাকে এলাকা থেকে বিতারিত করে দেয়। তার পরও এই মাদক সম্রাজ্ঞী তার মাদক ব্যবসা বন্ধ করছেনা। গত কয়েক মাস ধরে সে সাইলো ও ওমরপুর এলাকায় নতুন কৌশলে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই মাদকের বিষাক্ত ছোঁঁবল থেকে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও যুবসমাজকে রক্ষা করতে রোকসানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও র‌্যাব-১১ বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।