নারায়ণগঞ্জ ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর সোনারগাঁওয়ে গণিত অলিম্পিয়াড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জমকালো আয়োজনে সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রি-পেইড মিটার বাতিল চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম সিদ্ধিরগঞ্জের বিক্ষুব্দ গ্রাহকদের সিদ্ধিরগঞ্জের মামলার ফাঁদে চুনা কারখানা মালিকরা আড়াইহাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর উদ্ধোধন চাঁদপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আড়াইহাজারে নৈরাজ্য, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিএনপির শান্তি সমাবেশ যৌথবাহিনীর অভিযান: আড়াইহাজারে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে চুনা কারখানা দখল করতে মালিককে হুমকি

সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে জিডি করে বাদী নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৩৩৩ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ পি,বি,আই শাখার সহকারি উপ-পরিদর্শক(এ.এস.আই) আমিরুলের বিরুদ্ধে জিডি করে জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মক্কীনগর এলাকার মোঃ শাহজাহান নামে এক কাগজ ব্যবসায়ী। গুম হওয়ার আসঙ্কাও করছেন তিনি। পার্শ্ববর্তী ঝুট ব্যবসায়ী জয় বাবুর কাছে ১০ লাখ টাকা পাওনার সূত্র ধরে গত ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এ.এস.আই আমিরুল প্রকাশ্যে শাহজাহানকে মারধর করে। এ ঘটনায় শাহজাহান বাদী হয়ে এ.এস.আই আমিরুলের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জিডি করে। যার নং ১৭৪৫। তারিখ ২৯-১২-১৭। কিন্তু থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত না করে নিরব ভূমিকা পালন করায়,আমিরুল প্রতিনিয়তই শাহজাহানকে হুমকি দিচ্ছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে জিডি করার মজা দেখানোর ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ জানায় শাহজাহান।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নাসিক ১ নং ওয়ার্ডের হীরাঝিল ১৪৭/এ মক্কীনগর এলাকায় বাড়ী ভাড়া নিয়ে পুরাতন কাগজের ব্যবসা করছেন শাহজাহান। একই বাড়ীতে আরেকজন ব্যবসায়ী ছিল তার নাম জয় বাবু। তিনি পালিয়ে যাওয়ার পর বাড়ীওলার অনুমতিতে গত ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেল সোয়া ৩ টায় গোডাউন খোলে পরিস্কার করার সময় নাসিক ৭ নং ওয়ার্ড কদমতলীর বাসিন্দা মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে (পি,বি,আই নারায়ণগঞ্জ শাখায় এ.এস.আই পদে কর্মরত) আমিরুল গিয়ে শাহজাহানকে প্রথমে গালাগালি ও পরে সন্ত্রাসী কায়দায় বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পালিয়ে যাওয়া বাবুর কাছে আমিরুল ১০ লাখ টাকা পাবে বলে জানায় শাহজাহানকে। তার টাকা না দিয়ে কেন গোডাউন খোলা হয়েছে এটাই শাহজাহানের অপরাধ।
ব্যবসায়ী শাহজাহান জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আদমজী ইপিজেডের এস এ মেল, আর ফেক ও চেক পয়েন্ট নামক তিনটি প্যাকেজিং কারখানার ওয়েস্টিজ মালামালের ব্যবসা করছে পি,বি,আই নারায়ণগঞ্জ সাইনবোর্ড কার্যালয়ে কর্মরত এ.এস.আই আমিরুল। কয়েক বছর আগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় কনস্টেবল হিসেবে তৎকালিন অফিসার ইনচার্জ(ওসির) গাড়ি চালক থাকা কালিন সময়ে আমিরুল পুলিশী শক্তি প্রয়োগ করে আদমজী ইপিজেডে ব্যবসা শুরু করে। ব্যবসার সুবাধে মক্কীনগর এলাকায় হাজীর ভাড়ীর ভাড়াটিয়া ঝুট ব্যবসায়ী জয় বাবুর সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে আমিরুল। শুরু করে বাবুর সাথে ওয়েস্টিজ মালামালের ব্যবসা। পরে আমিরুল এ,এস আই পদে পদোন্নতি পেয়ে পি,বি,আই নারায়ণগঞ্জ শাখায় যোগদান করে বেপরোয়া হয়ে উঠে। বাবুকে হুমকি ধমকি দিয়ে ব্যবসার লাভাংশের সিংহ ভাই নিয়ে নেয় আমিরুল। তখন ভয়ে জয় বাবু তার ভাড়া গোডাউনের মালামাল রেখেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বাবু পালিয়ে যাওয়ার পর আমিরুল তার কাছে ১০ লাখ টাকা পাবে বলে গোডাউনে তালা লাগিয়ে দেয়। একটানা ৩ মাস গোডাউন বন্ধ থাকায় বাড়ীর মালিক কোন ভাড়া পায়নি। বাবু আর ফিরে আসার কোন সম্ভাবনা না থাকায় বাড়ীর মালিক পার্শ¦বর্তী ব্যবসায়ী হিসেবে গোডাউন খোলে কি মালামাল আছে তা দেখার অনুরোধ করে। তখন বাড়ীর মালিকের অনুরোধে আমি (শাহজাহান) গত ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে গোডাউন খোলি। গোডাউন খোলার খবর পেয়ে এ.এস.আই আমিরুল এসে গোডাউন খোলার কারণে আমাকে(শাহজাহানকে) মারধর করে। তখন একই এলাকায় বসবাসকারী ফতুল্লা থানায় কর্মরত এসআই আতাউর রহমান ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে রক্ষা করে। পাশাপাশি এ,এস,আই আমিরুলকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই জাহাঙ্গীর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আমিরুলকে উদ্ধার করে। মারধরের ঘটনায় আমি (শাহজাহান) থানায় গিয়ে মামলা করার জন্য লিখিত অভিযোগ করতে চাইলেও পুলিশ তা না করে জিডি করার পরামর্শ দেয়। তখন আমিরুলের বিরুদ্ধে জিডি করি।
শাহজাহানের অভিযোগ,জিডি করার পরও থানা পুলিশ মারধরের ঘটনা তদন্ত না করে নিরব ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে এ,এস,আই আমিরুল প্রতিনিয়তই হুমকি দিচ্ছে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে জিডি করার সাহস কে দিয়েছে তোকে। কোন মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে দেখাবো পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে জিডি করার মজা কত। আমিরুলের এসব হুমকিতে ব্যবসায়ী শাহজাহান জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে। তাকে গুম করা হতে পারে বলে আসঙ্কা করছেন তিনি। তাই ন্যায় বিচার ও জীবনের নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহালের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন শাহজাহান ও তার পরিবার

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর

সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে জিডি করে বাদী নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে

আপডেট সময় : ০৪:২৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০১৮

নারায়ণগঞ্জ পি,বি,আই শাখার সহকারি উপ-পরিদর্শক(এ.এস.আই) আমিরুলের বিরুদ্ধে জিডি করে জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মক্কীনগর এলাকার মোঃ শাহজাহান নামে এক কাগজ ব্যবসায়ী। গুম হওয়ার আসঙ্কাও করছেন তিনি। পার্শ্ববর্তী ঝুট ব্যবসায়ী জয় বাবুর কাছে ১০ লাখ টাকা পাওনার সূত্র ধরে গত ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এ.এস.আই আমিরুল প্রকাশ্যে শাহজাহানকে মারধর করে। এ ঘটনায় শাহজাহান বাদী হয়ে এ.এস.আই আমিরুলের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জিডি করে। যার নং ১৭৪৫। তারিখ ২৯-১২-১৭। কিন্তু থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত না করে নিরব ভূমিকা পালন করায়,আমিরুল প্রতিনিয়তই শাহজাহানকে হুমকি দিচ্ছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে জিডি করার মজা দেখানোর ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ জানায় শাহজাহান।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নাসিক ১ নং ওয়ার্ডের হীরাঝিল ১৪৭/এ মক্কীনগর এলাকায় বাড়ী ভাড়া নিয়ে পুরাতন কাগজের ব্যবসা করছেন শাহজাহান। একই বাড়ীতে আরেকজন ব্যবসায়ী ছিল তার নাম জয় বাবু। তিনি পালিয়ে যাওয়ার পর বাড়ীওলার অনুমতিতে গত ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেল সোয়া ৩ টায় গোডাউন খোলে পরিস্কার করার সময় নাসিক ৭ নং ওয়ার্ড কদমতলীর বাসিন্দা মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে (পি,বি,আই নারায়ণগঞ্জ শাখায় এ.এস.আই পদে কর্মরত) আমিরুল গিয়ে শাহজাহানকে প্রথমে গালাগালি ও পরে সন্ত্রাসী কায়দায় বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পালিয়ে যাওয়া বাবুর কাছে আমিরুল ১০ লাখ টাকা পাবে বলে জানায় শাহজাহানকে। তার টাকা না দিয়ে কেন গোডাউন খোলা হয়েছে এটাই শাহজাহানের অপরাধ।
ব্যবসায়ী শাহজাহান জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আদমজী ইপিজেডের এস এ মেল, আর ফেক ও চেক পয়েন্ট নামক তিনটি প্যাকেজিং কারখানার ওয়েস্টিজ মালামালের ব্যবসা করছে পি,বি,আই নারায়ণগঞ্জ সাইনবোর্ড কার্যালয়ে কর্মরত এ.এস.আই আমিরুল। কয়েক বছর আগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় কনস্টেবল হিসেবে তৎকালিন অফিসার ইনচার্জ(ওসির) গাড়ি চালক থাকা কালিন সময়ে আমিরুল পুলিশী শক্তি প্রয়োগ করে আদমজী ইপিজেডে ব্যবসা শুরু করে। ব্যবসার সুবাধে মক্কীনগর এলাকায় হাজীর ভাড়ীর ভাড়াটিয়া ঝুট ব্যবসায়ী জয় বাবুর সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে আমিরুল। শুরু করে বাবুর সাথে ওয়েস্টিজ মালামালের ব্যবসা। পরে আমিরুল এ,এস আই পদে পদোন্নতি পেয়ে পি,বি,আই নারায়ণগঞ্জ শাখায় যোগদান করে বেপরোয়া হয়ে উঠে। বাবুকে হুমকি ধমকি দিয়ে ব্যবসার লাভাংশের সিংহ ভাই নিয়ে নেয় আমিরুল। তখন ভয়ে জয় বাবু তার ভাড়া গোডাউনের মালামাল রেখেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বাবু পালিয়ে যাওয়ার পর আমিরুল তার কাছে ১০ লাখ টাকা পাবে বলে গোডাউনে তালা লাগিয়ে দেয়। একটানা ৩ মাস গোডাউন বন্ধ থাকায় বাড়ীর মালিক কোন ভাড়া পায়নি। বাবু আর ফিরে আসার কোন সম্ভাবনা না থাকায় বাড়ীর মালিক পার্শ¦বর্তী ব্যবসায়ী হিসেবে গোডাউন খোলে কি মালামাল আছে তা দেখার অনুরোধ করে। তখন বাড়ীর মালিকের অনুরোধে আমি (শাহজাহান) গত ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে গোডাউন খোলি। গোডাউন খোলার খবর পেয়ে এ.এস.আই আমিরুল এসে গোডাউন খোলার কারণে আমাকে(শাহজাহানকে) মারধর করে। তখন একই এলাকায় বসবাসকারী ফতুল্লা থানায় কর্মরত এসআই আতাউর রহমান ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে রক্ষা করে। পাশাপাশি এ,এস,আই আমিরুলকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই জাহাঙ্গীর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আমিরুলকে উদ্ধার করে। মারধরের ঘটনায় আমি (শাহজাহান) থানায় গিয়ে মামলা করার জন্য লিখিত অভিযোগ করতে চাইলেও পুলিশ তা না করে জিডি করার পরামর্শ দেয়। তখন আমিরুলের বিরুদ্ধে জিডি করি।
শাহজাহানের অভিযোগ,জিডি করার পরও থানা পুলিশ মারধরের ঘটনা তদন্ত না করে নিরব ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে এ,এস,আই আমিরুল প্রতিনিয়তই হুমকি দিচ্ছে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে জিডি করার সাহস কে দিয়েছে তোকে। কোন মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে দেখাবো পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে জিডি করার মজা কত। আমিরুলের এসব হুমকিতে ব্যবসায়ী শাহজাহান জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে। তাকে গুম করা হতে পারে বলে আসঙ্কা করছেন তিনি। তাই ন্যায় বিচার ও জীবনের নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহালের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন শাহজাহান ও তার পরিবার