নূরুল হুদা মেহেদী ঃ
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, শ্রীলঙ্কায় যখন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হলো তখন সেখান থেকে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশে চলে আসে। বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি করে কেউ তার দেশে হয়ত এটা নিয়ে যেত চাইছে। আমি দেশের নাম উল্লেখ করলাম না। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস শিল্প সরিয়ে নিতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। শনিবার(০৭ সেপ্টেম্বর )সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, গতকাল শুক্রবার ইন্ডিয়ার একটি পত্রিকায় এ ব্যাপারে নিউজ ছাপা হয়েছে। তাদের দেশে অনেক অর্ডার যাচ্ছে। তারা মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে। তাই আমাদের সতর্ক হতে হবে। বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টসে অরাজকতা করা হচ্ছে। ওই সমস্ত এলাকার রাজনৈতিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের এই ক্রান্তিলগ্নে ভূমিকা পালন করতে হবে।শ্রমিক ভাইদের বলব কারো উস্কানিতে পা দেবেন না। এর ফলে আপনারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যারা বিদেশীদের দ্বারা লালিত-পালিত হয়ে কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুজ্জামান বলেন, কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন, কোনোভাবেই চাঁদাবাজি করা যাবে না, দখল করা যাবে না। তারা বহু চেষ্টা করছে। স্থানীয় নেতারা মঞ্চে উঠে বলছে, কোনোভাবে চাঁদা দেবেন না। আমাদের বলবেন, আমরা ব্যবস্থা নেব। এসব রাজনৈতিক বক্তব্য শেষ করেই মঞ্চ থেকে নেমেই ফোন করে বলেন, ভাই ঝুটটা দিলেন না? এমন শত শত ফোন আমি পেয়েছি। গত এক মাস যাবৎ চাঁদাবাজি, দখল, মামলা চলছে। আমরা ব্যাবসায়ীরা কখনো রাজনীতির সাথে জড়িত না। আমরা কখনো কখনো পরিস্থিতির শিকার। ব্যাবসায়ীরা স্বাধীনতার পর থেকে নির্যাতিত হওয়ার ভয়ে থাকি কিন্তু বলতে পারি না। দিন শেষে পরিবর্তন হলে আমাদের ওপর দিয়েই ঝড়-ঝাপটা যায়।
তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন গত কয়েক দিন কিভাবে চাঁদাবাজি হয়েছে। কিভাবে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। আমার চেম্বারও আক্রান্ত। দশ লাখ টাকার দাবি ছিল, তিন লাখ টাকায় মিটিয়েছি। সাত লাখ টাকার জন্য চাপ আছে। আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান বিকেএমইএ- ও চাঁদা দিয়েছে বাধ্য হয়ে। আমি বলতে চাই, টাকা ফেরত দিতে হবে। আমি নাম উল্লেখ করলাম না, সময় দিলাম। প্রয়োজনে শহীদ মিনারে গিয়ে লাল কার্ড দেখাবো, প্রয়োজনে শহর থেকে বের করে দেব। দলীয় প্রধানদের লিখিত অভিযোগ দেব।
চেম্বার সভাপতি বলেন, আমরা ব্যবসায়ী। আমরা ঝামেলামুক্ত ব্যাবসা করতে চাই। পরিস্থিতি যেহেতু স্বাভাবিক হচ্ছে না। আমার নিজেকেই নিজের রক্ষার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানে লাঠি রাখবেন। আমরা একসাথে এদের একত্রিত হয়ে প্রতিহত করবো। কোনো ব্যাবসায়ী কোনো ভুল অভিযোগ করবেন না। এটা কারো বিরুদ্ধে প্রমাণিত হলে চেম্বারের সদস্য পদ খারিজসহ আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ ভাইদের বলতে চাই, একটু এক্টিভ হোন। আমরা সহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব। শহরের ট্রাফিক ব্যাবস্থা ভেঙে পড়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরে চলা যাচ্ছে না। নারায়ণগঞ্জের মানুষের দাবি চেম্বার আর কোনোদিন রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হবে না। এটা ব্যবসায়ীদের কার্যক্রমের জন্যই ব্যবহৃত হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, বিকেএমইএ ’র নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, রতন কুমার সাহা, মাহবুবুর রহমান, মহসিন রব্বানী, তারেক সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ আবু জাফর, মো. সেলিম হোসেন, সোহেল আক্তার, আশিকুর রহমান, মো. জাকারিয়া ওয়াহিদসহ এনসিসিআই এর অন্যান্য সদস্য ও কর্মকর্তাবৃন্দ ।
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প সরিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে- বিকেএমইএর সভাপতি
- প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ০৬:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- ৩৮ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :