নারায়ণগঞ্জ ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নিজের অপকর্ম ঢাকতে মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সাগরের বিরুদ্ধে শামিম ঢালীর মানববন্ধন সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার চাঁদাবাজি, বিচাররের দাবিতে মানববন্ধন রূপগঞ্জের ফকির ফ্যাশন লিঃ শ্রমিকদের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী তৎপর চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষ আহত-৮ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আটককৃত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু মহানগর বিএনপি সদস্য সচিবের মামলায় ৫৩ জনের নামে, অজ্ঞাত ১৫০ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করায় অবৈধ ঘোষণা বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প সরিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে- বিকেএমইএর সভাপতি নানা আয়োজনে রিয়াদে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

সিদ্ধিরগঞ্জে রাজউকের অভিযানে ক্ষুব্ধ ভবন মালিকরা

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জে বহুতল একটি বভনের বর্ধিত অংশ ভেঙে ভবনটি সিলগালা করে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। একই সময় অন্য দুটি ভবন মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুর দেড়টায় মাদানীনগর এলাকায় রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
তবে ভবন মালিকদের অভিযোগ রাজউক কর্মকর্তাদের দাবিকৃত উৎকোচ না দেওয়ায় বিনা নোটিশে অভিযান চালিয়ে ভাঙচুর ও জরিমানা করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে রাজউক কর্মকর্তাদের এসব বাণিজ্য। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন ভবন মালিকরা।
অভিযানে উপস্থিত রাজউকের ৬ নম্বর জোনের ৩ এর অথরাইজড অফিসার মো: রাজিবুল ইসলাম বলেন, মাদানীনগর সিটি টাওয়ারটি আবাসিক ভবন করার অনুমতি নিয়ে বাণিজ্যিক করা হয়েছে। তাছাড়া নকশা বহির্ভুত ভাবে ভবনের সামনের অংশ বর্ধিত করা হয়েছে। ফলে বর্ধিত অংশ ভেঙে দিয়ে ভবনটি সিলগালা করা হয়েছে।
রাজউক জোন ৭ এর পরিচালক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদার বলেন, নকশা বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করা সিটি টাওয়ারের বার্ধিত অংশ ভাঙা হয়েছে। একই অভিযোগে জাকির হোসেন নামে একজন বাড়ির মালিককে ১ লাখ ও নূরুল ইসলাম নামে আরেকজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযান বিষয়ে বাড়ির মালিকরা বলেছেন ভিন্ন কথা। সিটি টাওয়ারের একাধিক মালিকদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক দুজন বলেন, রাজউকের অনুমতি নিয়েই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখনো কাজ চলমান রয়েছে। রাজউক কর্মকর্তারা তাদের অফিসে ডেকে নিয়ে মোটা অংকের অর্থ দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অপরাকতা প্রকাশ করায় এ অভিযান চালিয়ে ভবনের অংশিক ভাঙচুর ও সিলগালা করে অফিসে গিয়ে দেখা করতে বলেছেন। ভবনটি নির্মাণ কাজ শুরু করার পর থেকে এপর্যন্ত তিনবার অভিযান চালিয়েছে রাজউক। প্রতিবারই অভিযান চালানোর আগে তাদের সাইনবোর্ডস্থ অফিসে ডেকে নিয়ে অর্থ দাবি করে। অর্থ দিতে রাজি না হওয়ায় অভিযান চালিয়ে আংশিক ভাঙচুর করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে অফিসে গিয়ে তাদের দাবিকৃত টাকা দিয়ে ভাঙা অংশ মেরামত করা হয়। এবারও একই কৌশল করেছেন রাজউক কর্মকর্তারা।
একই অভিযোগ জানান নূরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া শিবলু। তিনি বলেন, বাড়ির মালিক নূরুল ইসলাম বাহ্মনবাড়িয়া থাকেন। গত শনিবার রাজউকের ৩ জন কর্মকর্তা এসে বাড়ির মালিককের মোবাইল নাম্বার নিয়ে ফোন করে অফিসে গিয়ে দেখা করতে বলেন। তিনি দেখা না করায় বিনা নোটিশে অভিযান চালিয়ে অর্ধেক সিঁড়ি ভেঙে দিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। অপর বাড়ির মালিক জাকির হোসেন কোন কথা বলতে রাজি না হলেও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জরিমানার ১ লাখ টাকা দিয়ে দিয়েছে। তাদের সঙ্গে জামেলা করলে বিপদ বাড়বে। শুধু তারাই নয় এমন অভিযোগ বহু ভবন মালিকের। টাকা না দিলেই অভিযান চালিয়ে ভবন ভাঙচুর করা হয়। পরে টাকা দিয়ে করতে হয় মেরামত। গত ৬ মাসে অন্তত ২ শতাধিক ভবনে অংশিক ভাঙচুর অভিযান চালিয়েছে রাজউক। সবগুলো ভবনই পরে আগের অবস্থান ঠিক রেখেই মেরামত করা হয়েছে রাজউককে ম্যানেজ করে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নিজের অপকর্ম ঢাকতে মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সাগরের বিরুদ্ধে শামিম ঢালীর মানববন্ধন

সিদ্ধিরগঞ্জে রাজউকের অভিযানে ক্ষুব্ধ ভবন মালিকরা

আপডেট সময় : ০৬:৪২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জে বহুতল একটি বভনের বর্ধিত অংশ ভেঙে ভবনটি সিলগালা করে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। একই সময় অন্য দুটি ভবন মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুর দেড়টায় মাদানীনগর এলাকায় রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
তবে ভবন মালিকদের অভিযোগ রাজউক কর্মকর্তাদের দাবিকৃত উৎকোচ না দেওয়ায় বিনা নোটিশে অভিযান চালিয়ে ভাঙচুর ও জরিমানা করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে রাজউক কর্মকর্তাদের এসব বাণিজ্য। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন ভবন মালিকরা।
অভিযানে উপস্থিত রাজউকের ৬ নম্বর জোনের ৩ এর অথরাইজড অফিসার মো: রাজিবুল ইসলাম বলেন, মাদানীনগর সিটি টাওয়ারটি আবাসিক ভবন করার অনুমতি নিয়ে বাণিজ্যিক করা হয়েছে। তাছাড়া নকশা বহির্ভুত ভাবে ভবনের সামনের অংশ বর্ধিত করা হয়েছে। ফলে বর্ধিত অংশ ভেঙে দিয়ে ভবনটি সিলগালা করা হয়েছে।
রাজউক জোন ৭ এর পরিচালক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদার বলেন, নকশা বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করা সিটি টাওয়ারের বার্ধিত অংশ ভাঙা হয়েছে। একই অভিযোগে জাকির হোসেন নামে একজন বাড়ির মালিককে ১ লাখ ও নূরুল ইসলাম নামে আরেকজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযান বিষয়ে বাড়ির মালিকরা বলেছেন ভিন্ন কথা। সিটি টাওয়ারের একাধিক মালিকদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক দুজন বলেন, রাজউকের অনুমতি নিয়েই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখনো কাজ চলমান রয়েছে। রাজউক কর্মকর্তারা তাদের অফিসে ডেকে নিয়ে মোটা অংকের অর্থ দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অপরাকতা প্রকাশ করায় এ অভিযান চালিয়ে ভবনের অংশিক ভাঙচুর ও সিলগালা করে অফিসে গিয়ে দেখা করতে বলেছেন। ভবনটি নির্মাণ কাজ শুরু করার পর থেকে এপর্যন্ত তিনবার অভিযান চালিয়েছে রাজউক। প্রতিবারই অভিযান চালানোর আগে তাদের সাইনবোর্ডস্থ অফিসে ডেকে নিয়ে অর্থ দাবি করে। অর্থ দিতে রাজি না হওয়ায় অভিযান চালিয়ে আংশিক ভাঙচুর করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে অফিসে গিয়ে তাদের দাবিকৃত টাকা দিয়ে ভাঙা অংশ মেরামত করা হয়। এবারও একই কৌশল করেছেন রাজউক কর্মকর্তারা।
একই অভিযোগ জানান নূরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া শিবলু। তিনি বলেন, বাড়ির মালিক নূরুল ইসলাম বাহ্মনবাড়িয়া থাকেন। গত শনিবার রাজউকের ৩ জন কর্মকর্তা এসে বাড়ির মালিককের মোবাইল নাম্বার নিয়ে ফোন করে অফিসে গিয়ে দেখা করতে বলেন। তিনি দেখা না করায় বিনা নোটিশে অভিযান চালিয়ে অর্ধেক সিঁড়ি ভেঙে দিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। অপর বাড়ির মালিক জাকির হোসেন কোন কথা বলতে রাজি না হলেও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জরিমানার ১ লাখ টাকা দিয়ে দিয়েছে। তাদের সঙ্গে জামেলা করলে বিপদ বাড়বে। শুধু তারাই নয় এমন অভিযোগ বহু ভবন মালিকের। টাকা না দিলেই অভিযান চালিয়ে ভবন ভাঙচুর করা হয়। পরে টাকা দিয়ে করতে হয় মেরামত। গত ৬ মাসে অন্তত ২ শতাধিক ভবনে অংশিক ভাঙচুর অভিযান চালিয়েছে রাজউক। সবগুলো ভবনই পরে আগের অবস্থান ঠিক রেখেই মেরামত করা হয়েছে রাজউককে ম্যানেজ করে।