সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের এক স্বর্ণব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মারধর ও পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে অপহরণকারী ও অজ্ঞান পার্টি চক্রের দুই নারী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বটতলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (৩ ফেব্রæয়ারি) বিকেল ৩ টায় র্যাবের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার সনদ বড়–য়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, সিদ্ধিরগঞ্জের আজিবপুর এলাকার ছিফা আক্তার ও বরিশাল জেলার বিমান বন্দর থানার বারইখালী গ্রামের রাহিমা জান্নাতুল ওরফে খালেদা।
সংবাদ র্যাব জানায়, দীর্ঘদিন সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে এসে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় স্বর্ণের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মীর হোসেন (৪২)। কিছুদিন আগে তার দোকানে এসে একটি রুপার ব্রেসলেট কিনেন ছিফা আক্তার। গত পহেলা ফেব্রæয়ারি দুপুর দেড়টার দিকে তিনি আবার মীর হোসেনের দোকানে এসে তার এক আত্মীয়ের স্বর্ণের গহনা বানানোর অর্ডার নেওয়ার জন্য মীর হোসেনকে ওই আত্মীয়ের বাসায় যেতে বলেন। মীর হোসেন যেতে রাজি না হলে ছিফা আক্তার চলে যায়। পরে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য মীর হোসেন তার দোকান থেকে বেড় হলে ছিফা আক্তারসহ ২-৩ জন মিলে একটি সিএনজি নিয়ে মীর হোসেনের সামনে দাঁড় করিয়ে তার নাকে রুমাল ধরে অচেতন করে ফেলে। পরে সিএনজিতে উঠিয়ে তাকে অপহরণ করে কাঁচপুরের সোনাপুর বটতলা এলাকায় নিয়ে আটকে রাখে। এসময় চক্রের সদস্যরা মোবাইলে মীর হোসেন ও ছিফা আক্তারের অশ্লীল ছবি ধারণ করে তাকে বø্যাকমেইল করে। তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মুক্তিপণ হিসাবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। মীর হোসেন টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারধর করা হয়। তখন তিনি আটক অবস্থায় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে বড় ভাই মোকলেস মিয়াকে মুক্তিপণের ৫ টাকা দিয়ে তাকে উদ্ধার করতে বলেন। মুক্তিপণের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় পুনরায় মারধর ও হত্যার হুমকি দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১১ এর সিপিএসসি কোম্পানির একটি গোয়েন্দা দল যথাযথ গুরুত্বের সাথে তার অবস্থান সনাক্ত করে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অপরহণকারী চক্রের সক্রিয় ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য র্যাব তাদেরকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছেন।