নারায়ণগঞ্জ ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে – মুহাম্মাদ গিয়াসউদ্দিন ‘বিএনপির সাইনবোর্ডে’ সোনারগাঁয়ে চাঁদার নিয়ন্ত্রণ ও দখলের অভিযোগ সেলিম সরকারের বিরুদ্ধে নিজের অপকর্ম ঢাকতে মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সাগরের বিরুদ্ধে শামিম ঢালীর মানববন্ধন সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার চাঁদাবাজি, বিচাররের দাবিতে মানববন্ধন রূপগঞ্জের ফকির ফ্যাশন লিঃ শ্রমিকদের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী তৎপর চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষ আহত-৮ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আটককৃত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু মহানগর বিএনপি সদস্য সচিবের মামলায় ৫৩ জনের নামে, অজ্ঞাত ১৫০ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করায় অবৈধ ঘোষণা

দখল-দূষণে ধুঁকে ধুঁকে মরছে শীতলক্ষ্যা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের বুক ছিড়ে বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যা নদী। এ নদীর কল্যাণে জেলাটি হয়ে উঠে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র। প্রাচ্যের ডান্ডি খ্যাত হিসেবেও জেলাটি পরিচিতি পেয়েছে নদীটির আশির্বাদে। জেলার ইতিহাস- ঐতিহ্যের ধারকবাহক হিসেবে অসীম ভূমিকা রাখা স্বচ্ছ সলিলা সুন্দরী নদীটি একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহলের আগ্রাসন ও দূষণের কবলে পরে ধুঁকে ধুঁকে মরছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নদীটির প্রদত্ত পরিচিতি, উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নম্বর-৫৫। যার দৈর্ঘ্য ১০৮ কিলোমিটার। গড় প্রশস্ত ২২৮ মিটার। এটি ব্রহ্মপুত্র নদের একটি শাখা। গাজীপুরের টোক নামক স্থানে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে একটি ধারা বানার নামে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে লাকপুর নামক স্থানে শীতলক্ষ্যা নাম ধারণ করে বৃহত্তম ঢাকা জেলার পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার গলাগাছিয়ার কাছে ধলেশ্বরী নদীতে মিলিত হয়েছে।

বাংলাদেশের বিখ্যাত মসলিন শিল্প এ নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল। বর্তমানে নদীর দুই তীরে অসংখ্য ভারি শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে। ঘোড়াশালের উত্তরে পলাশে তিনটি এবং সিদ্ধিরগঞ্জে একটি তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র অবস্থিত এ নদীর তীরে। দেশের অন্যতম নদীবন্দর নারায়ণগঞ্জ বন্দর ও শহরের অবস্থান শীতলক্ষ্যার তীরে। এক সময় নদীটি পানির স্বচ্ছতা এবং শীতলতার জন্য বিখ্যাত ছিল। নদীটি বছরের পাঁচ মাস জোয়ার-ভাটা দ্বারা প্রবাবিত থাকে, কিন্তু কখনোই কূল ছাপিয়ে যায় না।

কালের বিবর্তনে শীতলক্ষ্যা হারিয়েছে তার অতিত নৈপুণ্য। কথিপয় প্রভাবশালী ও স্বার্থান্বেষী মহল নদীর তীর দখল করে গড়ে তুলেন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানা। সারা বছর অবিরাম শিল্প প্রতিষ্ঠানের দূষিত বর্জ্য নদীতে পড়ছে। গৃহস্থালী, পয়নি:স্কাশন ও শিল্প কারখানার রাসায়নিক বর্জ্যে বর্ষাকালে নদীতে তেমন প্রভাব ফেলতে না পারলেও শুকনো মৌসুমে দূষণের মাত্রা ভয়াবহ রূপনেয়। পানির রঙ কালো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধ। ফলে পরিবেশ বিপর্য আর হুমকির মধ্যে পড়ে জনস্বাস্থ্য। নদীর তীরের বাসিন্দারা পড়েন দুর্ভোগে।

নারায়ণগঞ্জ পরিবশে অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শীতলক্ষ্যা নদীর দুই তীরে ছোট বড় ২ হাজারের অধিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। যার মধ্যে তরল বর্জ্য নির্গমনকারী কারখানা রয়েছে পাঁচ শতাধিক। বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) রয়েছে ৪০৭টি প্রতিষ্ঠানের। তবে অধিকাংশই অকার্যকর। ইটিপি ব্যবহার করছেনা ১০৬ টি প্রতিষ্ঠান। এসব শিল্প কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নদীতে পড়ছে। ফলে দূষিত হয়ে পড়েছে নদীর পানি।

সরেজমিনে নদীর নারায়ণগঞ্জ অংশে দেখা গেছে, দূষণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে দখল প্রতিযোগিতা। একাধিক স্থানে নদী ভরাট করে গড়ে তুলা হয়েছে পাথড় ও বালু মহল। মাটির নিচ দিয়ে শিল্প কারখানার বর্জ্য ফেলার পাইপ নদীতে সংযোগ করা হয়েছে। বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজের মালামাল লোড-আন লোড পয়েন্ট গুলোতে মানা হচ্ছেনা নিয়ম নীতি। নষ্ট করা হয়েছে সরকারি অর্থে নদীর তীরে করা বনায়ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দখলদারের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই তারা এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, দি পোর্ট এ্যাক্ট ১৯০৮ ও পোর্ট রুলস ১৯৬৬ অনুযায়ী নদী বন্দরের সংরক্ষক এর (কনসারভেশন অপ পোর্ট) অনুমতি ব্যতীত বন্দর এলাকায় বা সীমনায় (পোর্ট লিমিট) কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোন প্রকার কার্যক্রম গ্রহনের এখতিয়ার নেই। এরুপ কার্যক্রম বন্দর আইন ও হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করার সামিল।

নদীর তীরের বাসিন্দা মোহন সরকার বলেন, যখন ছোট ছিলাম, তখন নদীর পানি দিয়ে রান্না-বান্নার কাজ করা হত। এমনকি নদীর পানি পান করতাম। জেলেরা নদী থেকে মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করত। গোসলের জন্য বিভিন্ন স্থানের পাকা ঘাট ছিল। এখন কিছু ঘাট থাকলেও বর্ষাকালে গোসল ও কাপড় ধোয়ার কাজ করা যায়। কিন্তু শুকনো মৌসুমে পানির দুর্গন্ধে কাছেও যাওয়া যায় না।

নদীর তীরের আরেক বাসিন্দা সোহেল রানা জানান, দখল ও দূষণের পাশাপাশি নদীটি হয়ে গেছে লাশ গুমের অন্যতম মাধ্যম। কিছু দিন পর পরই নদীর বিভিন্ন এলাকা ভেসে উঠে মানুষের মৃত দেহ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করলেও অধিকাংশের পরিচয় সনাক্ত হয়না। তারা হত্যার শিকার হলেও তথ্য প্রমাণের অভাবে ঘাতকরা দেখে যায় আড়ালে।

নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, নদীটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হলেও দখল ও দূষণ মুক্ত রাখার কার্যক্রম চলছে। বহু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে সব উচ্ছেদ করা হবে।

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে – মুহাম্মাদ গিয়াসউদ্দিন

দখল-দূষণে ধুঁকে ধুঁকে মরছে শীতলক্ষ্যা

আপডেট সময় : ০৩:১১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের বুক ছিড়ে বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যা নদী। এ নদীর কল্যাণে জেলাটি হয়ে উঠে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র। প্রাচ্যের ডান্ডি খ্যাত হিসেবেও জেলাটি পরিচিতি পেয়েছে নদীটির আশির্বাদে। জেলার ইতিহাস- ঐতিহ্যের ধারকবাহক হিসেবে অসীম ভূমিকা রাখা স্বচ্ছ সলিলা সুন্দরী নদীটি একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহলের আগ্রাসন ও দূষণের কবলে পরে ধুঁকে ধুঁকে মরছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নদীটির প্রদত্ত পরিচিতি, উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নম্বর-৫৫। যার দৈর্ঘ্য ১০৮ কিলোমিটার। গড় প্রশস্ত ২২৮ মিটার। এটি ব্রহ্মপুত্র নদের একটি শাখা। গাজীপুরের টোক নামক স্থানে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে একটি ধারা বানার নামে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে লাকপুর নামক স্থানে শীতলক্ষ্যা নাম ধারণ করে বৃহত্তম ঢাকা জেলার পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার গলাগাছিয়ার কাছে ধলেশ্বরী নদীতে মিলিত হয়েছে।

বাংলাদেশের বিখ্যাত মসলিন শিল্প এ নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল। বর্তমানে নদীর দুই তীরে অসংখ্য ভারি শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে। ঘোড়াশালের উত্তরে পলাশে তিনটি এবং সিদ্ধিরগঞ্জে একটি তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র অবস্থিত এ নদীর তীরে। দেশের অন্যতম নদীবন্দর নারায়ণগঞ্জ বন্দর ও শহরের অবস্থান শীতলক্ষ্যার তীরে। এক সময় নদীটি পানির স্বচ্ছতা এবং শীতলতার জন্য বিখ্যাত ছিল। নদীটি বছরের পাঁচ মাস জোয়ার-ভাটা দ্বারা প্রবাবিত থাকে, কিন্তু কখনোই কূল ছাপিয়ে যায় না।

কালের বিবর্তনে শীতলক্ষ্যা হারিয়েছে তার অতিত নৈপুণ্য। কথিপয় প্রভাবশালী ও স্বার্থান্বেষী মহল নদীর তীর দখল করে গড়ে তুলেন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানা। সারা বছর অবিরাম শিল্প প্রতিষ্ঠানের দূষিত বর্জ্য নদীতে পড়ছে। গৃহস্থালী, পয়নি:স্কাশন ও শিল্প কারখানার রাসায়নিক বর্জ্যে বর্ষাকালে নদীতে তেমন প্রভাব ফেলতে না পারলেও শুকনো মৌসুমে দূষণের মাত্রা ভয়াবহ রূপনেয়। পানির রঙ কালো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধ। ফলে পরিবেশ বিপর্য আর হুমকির মধ্যে পড়ে জনস্বাস্থ্য। নদীর তীরের বাসিন্দারা পড়েন দুর্ভোগে।

নারায়ণগঞ্জ পরিবশে অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শীতলক্ষ্যা নদীর দুই তীরে ছোট বড় ২ হাজারের অধিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। যার মধ্যে তরল বর্জ্য নির্গমনকারী কারখানা রয়েছে পাঁচ শতাধিক। বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) রয়েছে ৪০৭টি প্রতিষ্ঠানের। তবে অধিকাংশই অকার্যকর। ইটিপি ব্যবহার করছেনা ১০৬ টি প্রতিষ্ঠান। এসব শিল্প কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নদীতে পড়ছে। ফলে দূষিত হয়ে পড়েছে নদীর পানি।

সরেজমিনে নদীর নারায়ণগঞ্জ অংশে দেখা গেছে, দূষণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে দখল প্রতিযোগিতা। একাধিক স্থানে নদী ভরাট করে গড়ে তুলা হয়েছে পাথড় ও বালু মহল। মাটির নিচ দিয়ে শিল্প কারখানার বর্জ্য ফেলার পাইপ নদীতে সংযোগ করা হয়েছে। বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজের মালামাল লোড-আন লোড পয়েন্ট গুলোতে মানা হচ্ছেনা নিয়ম নীতি। নষ্ট করা হয়েছে সরকারি অর্থে নদীর তীরে করা বনায়ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দখলদারের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই তারা এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, দি পোর্ট এ্যাক্ট ১৯০৮ ও পোর্ট রুলস ১৯৬৬ অনুযায়ী নদী বন্দরের সংরক্ষক এর (কনসারভেশন অপ পোর্ট) অনুমতি ব্যতীত বন্দর এলাকায় বা সীমনায় (পোর্ট লিমিট) কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোন প্রকার কার্যক্রম গ্রহনের এখতিয়ার নেই। এরুপ কার্যক্রম বন্দর আইন ও হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করার সামিল।

নদীর তীরের বাসিন্দা মোহন সরকার বলেন, যখন ছোট ছিলাম, তখন নদীর পানি দিয়ে রান্না-বান্নার কাজ করা হত। এমনকি নদীর পানি পান করতাম। জেলেরা নদী থেকে মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করত। গোসলের জন্য বিভিন্ন স্থানের পাকা ঘাট ছিল। এখন কিছু ঘাট থাকলেও বর্ষাকালে গোসল ও কাপড় ধোয়ার কাজ করা যায়। কিন্তু শুকনো মৌসুমে পানির দুর্গন্ধে কাছেও যাওয়া যায় না।

নদীর তীরের আরেক বাসিন্দা সোহেল রানা জানান, দখল ও দূষণের পাশাপাশি নদীটি হয়ে গেছে লাশ গুমের অন্যতম মাধ্যম। কিছু দিন পর পরই নদীর বিভিন্ন এলাকা ভেসে উঠে মানুষের মৃত দেহ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করলেও অধিকাংশের পরিচয় সনাক্ত হয়না। তারা হত্যার শিকার হলেও তথ্য প্রমাণের অভাবে ঘাতকরা দেখে যায় আড়ালে।

নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, নদীটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হলেও দখল ও দূষণ মুক্ত রাখার কার্যক্রম চলছে। বহু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে সব উচ্ছেদ করা হবে।