নারায়ণগঞ্জ ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও সাবেক সেনা পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহরে নারী সমাবেশ ও মিছিল

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঘরে বাইরে নারী নির্যাতন বন্ধ, সমকাজে সমমজুরি নিশ্চিত, গৃহস্থলি কাজের আর্থিক মূল্য জিডিপিতে অন্র্Íভূক্ত ও বাসাবাড়িসহ সর্বত্র ২৪ ঘন্টা গ্যাস প্রবাহ নিশ্চিত করার দাবিতে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও শহরে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মিমি পূজা দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শম্পা বসু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুন্নাহার রুমা, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রিমা আক্তার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিউটি আক্তার, জেলা কমিটির সদস্য মোর্শেদা আক্তার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুন্নি সরদার প্রমূখ ।

শম্পা বসু বলেন, ‘সমাজে নারীর মানবিক অধিকার ও মর্যাদা’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালের ৫ জানুয়ারি ন্ারী সংগঠন হিসেবে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের আত্মপ্রকাশ ঘটে। দেশে অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী । পরিবার, কর্মক্ষেত্রসহ সকল ক্ষেত্রে নারীর শ্রম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন নারী ছাড়া যেমন পরিবার চিন্তা করা যায় না তেমনি সমাজও চিন্তা করা যায় না। অথচ সমাজের সর্বত্র তো বটেই আমাদের দেশের আইনেও সম্পত্তিতে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সম্পত্তিতে সমঅধিকার না থাকায় নারী যেমন সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি সমাজ ও পরিবারে অধ:স্তন পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির শিকার হচ্ছে। একদিকে পুঁিজবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কারণে ধনী-গরিব বৈষম্য, অপরদিকে পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণে নারী হিসেবে শোষণ অর্থাৎ দ্বৈত শোষণ ও বৈষম্যের শিকার হতে হয়।

পেশাজীবি শ্রমজীবি নারীদের অবস্থা আরও করুন। বেতন বৈষম্য, নিরাপদ কর্মপরিবেশের অভাব, পর্যাপ্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি ও ডে-কেয়ার সেন্টার না থাকায় নারীদের কর্মজীবনকে দু:সহ করে তুলছে। একজন গৃহিনী নারী সারাদিন ঘরের সকল কাজ করার পরও পরিবারে তার শ্রম ও অবদান স্বীকৃত হয় না। আবার কর্মজীবি নারী বাহিরে পরিশ্রম করে উপার্জন করার পরও ঘরের সকল কাজের দায়িত্ব তাকে পালন করতে হয়।

আবু নাঈম খান বিপ্লব বলেন, দেশের সর্বত্র বেড়ে চলেছে নারী ও শিশু নির্যাতন। অথচ কোন নির্যাতনেরই উল্লেখযোগ্য বিচার বা শাস্তি হচ্ছে না। দেশে ফ্যাসিবাদী দু:শাসন গণতন্ত্রহীনতায় বদ্ধ জলাশয়ে আবর্জনা জমার মতো জনগনের সংকট যেমন বাড়ছে তেমন নারীর উপর নিপীড়নও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। একটা দেশের উন্নয়ন কখনই অবকাঠামোগত হতে পারে না। মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন, তার নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত, নারীর ভয়হীন সুস্থ স্বাভাবিক জীবন হতে পারে উন্নয়নের মানদন্ড। কিন্তু দেশে প্রতিদিন অসংখ্য নারী-শিশু নিযার্তনের ঘটনা শুধু পত্রিকাতেই আসে। অথচ কি নির্বিকার আমাদের রাষ্ট্র ও প্রশাসন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গণতন্ত্র ও সভ্যতার স্বার্থে, উন্নত রুচিবোধ ও সংস্কৃতির চেতনার আলোকে নারী পুরুষের সৌন্দর্যমন্ডিত জীবন ও যৌথ কর্ম প্রয়াসের বিকল্প নেই। সমাজের অগ্রগতি ও প্রগতির স্বার্থে, সুস্থ নিরাপদ জীবনযাপন পরবর্তী প্রজন্মের মনুষ্যত্ব নিয়ে বেড়ে উঠার স্বার্থে নারী পুরুষের অসাম্য-বৈষম্য বিলোপ আজ সময়ের দাবি। সেই দাবি পূরণের লক্ষ্যে নারী আন্দোলন ও নারী পুরুষের মিলিতভাবে সমাজ পরিবর্তনের সংগ্রাম বেগবান করা অপরিহার্য।

নেতৃবৃন্দ বাসাবাড়িসহ সর্বত্র ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা, গ্যাস-বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার, নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি জানান এবং দেশে নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি বৈষম্যসহ সকল ক্ষেত্রে অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে সমাজে ও পরিবারে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই

সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহরে নারী সমাবেশ ও মিছিল

আপডেট সময় : ১২:৪৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঘরে বাইরে নারী নির্যাতন বন্ধ, সমকাজে সমমজুরি নিশ্চিত, গৃহস্থলি কাজের আর্থিক মূল্য জিডিপিতে অন্র্Íভূক্ত ও বাসাবাড়িসহ সর্বত্র ২৪ ঘন্টা গ্যাস প্রবাহ নিশ্চিত করার দাবিতে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও শহরে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মিমি পূজা দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শম্পা বসু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুন্নাহার রুমা, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রিমা আক্তার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিউটি আক্তার, জেলা কমিটির সদস্য মোর্শেদা আক্তার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুন্নি সরদার প্রমূখ ।

শম্পা বসু বলেন, ‘সমাজে নারীর মানবিক অধিকার ও মর্যাদা’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালের ৫ জানুয়ারি ন্ারী সংগঠন হিসেবে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের আত্মপ্রকাশ ঘটে। দেশে অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী । পরিবার, কর্মক্ষেত্রসহ সকল ক্ষেত্রে নারীর শ্রম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন নারী ছাড়া যেমন পরিবার চিন্তা করা যায় না তেমনি সমাজও চিন্তা করা যায় না। অথচ সমাজের সর্বত্র তো বটেই আমাদের দেশের আইনেও সম্পত্তিতে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সম্পত্তিতে সমঅধিকার না থাকায় নারী যেমন সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি সমাজ ও পরিবারে অধ:স্তন পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির শিকার হচ্ছে। একদিকে পুঁিজবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কারণে ধনী-গরিব বৈষম্য, অপরদিকে পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণে নারী হিসেবে শোষণ অর্থাৎ দ্বৈত শোষণ ও বৈষম্যের শিকার হতে হয়।

পেশাজীবি শ্রমজীবি নারীদের অবস্থা আরও করুন। বেতন বৈষম্য, নিরাপদ কর্মপরিবেশের অভাব, পর্যাপ্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি ও ডে-কেয়ার সেন্টার না থাকায় নারীদের কর্মজীবনকে দু:সহ করে তুলছে। একজন গৃহিনী নারী সারাদিন ঘরের সকল কাজ করার পরও পরিবারে তার শ্রম ও অবদান স্বীকৃত হয় না। আবার কর্মজীবি নারী বাহিরে পরিশ্রম করে উপার্জন করার পরও ঘরের সকল কাজের দায়িত্ব তাকে পালন করতে হয়।

আবু নাঈম খান বিপ্লব বলেন, দেশের সর্বত্র বেড়ে চলেছে নারী ও শিশু নির্যাতন। অথচ কোন নির্যাতনেরই উল্লেখযোগ্য বিচার বা শাস্তি হচ্ছে না। দেশে ফ্যাসিবাদী দু:শাসন গণতন্ত্রহীনতায় বদ্ধ জলাশয়ে আবর্জনা জমার মতো জনগনের সংকট যেমন বাড়ছে তেমন নারীর উপর নিপীড়নও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। একটা দেশের উন্নয়ন কখনই অবকাঠামোগত হতে পারে না। মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন, তার নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত, নারীর ভয়হীন সুস্থ স্বাভাবিক জীবন হতে পারে উন্নয়নের মানদন্ড। কিন্তু দেশে প্রতিদিন অসংখ্য নারী-শিশু নিযার্তনের ঘটনা শুধু পত্রিকাতেই আসে। অথচ কি নির্বিকার আমাদের রাষ্ট্র ও প্রশাসন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গণতন্ত্র ও সভ্যতার স্বার্থে, উন্নত রুচিবোধ ও সংস্কৃতির চেতনার আলোকে নারী পুরুষের সৌন্দর্যমন্ডিত জীবন ও যৌথ কর্ম প্রয়াসের বিকল্প নেই। সমাজের অগ্রগতি ও প্রগতির স্বার্থে, সুস্থ নিরাপদ জীবনযাপন পরবর্তী প্রজন্মের মনুষ্যত্ব নিয়ে বেড়ে উঠার স্বার্থে নারী পুরুষের অসাম্য-বৈষম্য বিলোপ আজ সময়ের দাবি। সেই দাবি পূরণের লক্ষ্যে নারী আন্দোলন ও নারী পুরুষের মিলিতভাবে সমাজ পরিবর্তনের সংগ্রাম বেগবান করা অপরিহার্য।

নেতৃবৃন্দ বাসাবাড়িসহ সর্বত্র ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা, গ্যাস-বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার, নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি জানান এবং দেশে নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি বৈষম্যসহ সকল ক্ষেত্রে অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে সমাজে ও পরিবারে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।