নারায়ণগঞ্জ ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

নাসিক নির্বাচনে ছেলের জন্য মাঠে নেমে লাল কার্ড পেল মজিবুর রহমান

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
  • ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি মজিবুর রহমানকে অবমূল্যায়ন ও ঘৃণার বহিপ্রকাশ ঘটেছে নাসিক নির্বাচনে। দলীয় প্রভাবখাটিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করা ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের কোণঠাসা করে রাখার দাঁতভাঙা জবাব পেয়েছেন দীর্ঘ দুই যুগের অধিক সময় ধরে সভাপতির পদ আখড়িয়ে রাখা মজিবুর রহমান। তিনি চেয়েছিলেন নিজের ছেলেকে কাউন্সিলর বানাতে। ভোটাররা পড়িয়েছেন তিরস্কারের মালা।
নারায়ণগঞ্জ সিটির সবচেয়ে বড় ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি মজিবুর রহমানের ছেলে মাহমুদুর রহমান। ওয়ার্ডটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার ১০৩ জন। প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। তারা হলেন ওমর ফারুক(ঝুড়ি), মো. আবদুর রহিম(ঘুড়ি), জাহিদুল ইসলাম(ট্রাক্টার), মাহমুদুর রহমান(লাটিম), মাহাবুব আলম(মিষ্টি কুমড়া),আব্দুল মালেক(ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট), আনোয়ার ইসলাম(ঠেলাগাড়ি)।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকেই মজিবুর রহমান তার ছেলে মাহমুদুর রহমানের জন্য মাঠে নামেন। থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়েছে দলীয় মেয়র প্রার্থী ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীর নৌকার জন্য তিনি মাঠে নামেননি এক নং ওয়ার্ড ছাড়া। মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী একাধিক সভায় কেন্দ্রেীয় নেতাদের অতিথি করে এনেছেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে। মেয়রের পাশাপাশি নিজের ছেলের ভোট বৃদ্ধির জন্য তিনি এই কৌশল গ্রহণ করেন বলে মন্তব্য করেন একাধিক আওয়ামীলীগ নেতা। অকান্ত পরিশ্রম ও সর্বাত্বক চেষ্টা করেও নিজের ছেলেকে কাউন্সিলর বিজয়ী করতে পারেননি মজিবুর রহমান। নিজ বাড়ীর পাশের কেন্দ্রেই মজিবুর রহমানের ছেলের ভারাডুবি হয়। খেলায় ফাউল করলে যেমন লাল কার্ড পেতে হয়, তেমনি রাজনীতিতে ফাউল করলে হতে হয় প্রত্যাখ্যান। তাই ফাউল মজিবুর রহমানকেও ভোটাররা লাল কার্ড দেখিয়েছে বলে মনে করছেন অবিজ্ঞমহল।
অভিযোগ জানা গেছে, নাসিক নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার কাউন্সিলর প্রার্থীদের সলীয় সমর্থন দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের আর্থিক বাণিজ্য করে আসছিলেন মজিবুর রহমান। প্রতিটি ওয়ার্ডের বিত্তবান প্রার্থীদের টার্গেট করে দলীয় সমর্থনের নামে অর্থ হাতিয়ে নিতেন তিনি। প্রথম সিটি নির্বাচনে বাণিজ্য ভাল হওয়ায় দ্বিতীয় নির্বাচনে করেন লঙ্কাকান্ড। দলীয় সমর্থন দেওয়ার কথা বলে একই ওয়ার্ডের একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। পরে প্রার্থীরা অর্থলোভী এই নেতার চালাকি আর ধান্ধাবাজি বুঝে ফেলে। এবারের নির্বাচনে কোন প্রার্থীই মজিবুর রহমানের দ্বারে কাছেও যায়নি। ফিটিং দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর ফারুককে। কিন্তু ফারুক তার ফাঁদে পা দেয়নি। কোন সুবিধা করতে না পেয়ে নিজের ছেলেকেই ১ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী করেন। তার ছেলেকে বসিয়ে দিতে কোন প্রার্থী আর্থিক সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব না করায় মাঠে নামেন কোমর বেধে। নিজের ছেলেকেই কাউন্সিলর বানাবেন এই ইচ্ছায় তার কিছু জনবিচ্ছিন্ন নেতা নিয়ে নেমে পড়েন প্রচার প্রচারণা ও গণসংযোগে। বড় বড় মিছিল করে নিজের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মিছিলে বহিরাগত লোক আর শিশু কিশোর দেখে লোকজন হাসা হাসি করলেও মজিবুর রহমান ওয়ার্ডবাসীর মনের ইচ্ছা বুঝতে পারেননি। যার উত্তর তিনে পেয়েছেন ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনি ফলাফল ঘোষনার পর। মজিবুর রহমানের ছেলে বিজয়ের দ্বারে কাছেও যেতে পারেনি। এই ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন চুনা ব্যবসায়ী আনোয়ার ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আব্দুর রহিম।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

নাসিক নির্বাচনে ছেলের জন্য মাঠে নেমে লাল কার্ড পেল মজিবুর রহমান

আপডেট সময় : ১১:৫০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি মজিবুর রহমানকে অবমূল্যায়ন ও ঘৃণার বহিপ্রকাশ ঘটেছে নাসিক নির্বাচনে। দলীয় প্রভাবখাটিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করা ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের কোণঠাসা করে রাখার দাঁতভাঙা জবাব পেয়েছেন দীর্ঘ দুই যুগের অধিক সময় ধরে সভাপতির পদ আখড়িয়ে রাখা মজিবুর রহমান। তিনি চেয়েছিলেন নিজের ছেলেকে কাউন্সিলর বানাতে। ভোটাররা পড়িয়েছেন তিরস্কারের মালা।
নারায়ণগঞ্জ সিটির সবচেয়ে বড় ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি মজিবুর রহমানের ছেলে মাহমুদুর রহমান। ওয়ার্ডটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার ১০৩ জন। প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। তারা হলেন ওমর ফারুক(ঝুড়ি), মো. আবদুর রহিম(ঘুড়ি), জাহিদুল ইসলাম(ট্রাক্টার), মাহমুদুর রহমান(লাটিম), মাহাবুব আলম(মিষ্টি কুমড়া),আব্দুল মালেক(ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট), আনোয়ার ইসলাম(ঠেলাগাড়ি)।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকেই মজিবুর রহমান তার ছেলে মাহমুদুর রহমানের জন্য মাঠে নামেন। থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়েছে দলীয় মেয়র প্রার্থী ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীর নৌকার জন্য তিনি মাঠে নামেননি এক নং ওয়ার্ড ছাড়া। মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী একাধিক সভায় কেন্দ্রেীয় নেতাদের অতিথি করে এনেছেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে। মেয়রের পাশাপাশি নিজের ছেলের ভোট বৃদ্ধির জন্য তিনি এই কৌশল গ্রহণ করেন বলে মন্তব্য করেন একাধিক আওয়ামীলীগ নেতা। অকান্ত পরিশ্রম ও সর্বাত্বক চেষ্টা করেও নিজের ছেলেকে কাউন্সিলর বিজয়ী করতে পারেননি মজিবুর রহমান। নিজ বাড়ীর পাশের কেন্দ্রেই মজিবুর রহমানের ছেলের ভারাডুবি হয়। খেলায় ফাউল করলে যেমন লাল কার্ড পেতে হয়, তেমনি রাজনীতিতে ফাউল করলে হতে হয় প্রত্যাখ্যান। তাই ফাউল মজিবুর রহমানকেও ভোটাররা লাল কার্ড দেখিয়েছে বলে মনে করছেন অবিজ্ঞমহল।
অভিযোগ জানা গেছে, নাসিক নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার কাউন্সিলর প্রার্থীদের সলীয় সমর্থন দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের আর্থিক বাণিজ্য করে আসছিলেন মজিবুর রহমান। প্রতিটি ওয়ার্ডের বিত্তবান প্রার্থীদের টার্গেট করে দলীয় সমর্থনের নামে অর্থ হাতিয়ে নিতেন তিনি। প্রথম সিটি নির্বাচনে বাণিজ্য ভাল হওয়ায় দ্বিতীয় নির্বাচনে করেন লঙ্কাকান্ড। দলীয় সমর্থন দেওয়ার কথা বলে একই ওয়ার্ডের একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। পরে প্রার্থীরা অর্থলোভী এই নেতার চালাকি আর ধান্ধাবাজি বুঝে ফেলে। এবারের নির্বাচনে কোন প্রার্থীই মজিবুর রহমানের দ্বারে কাছেও যায়নি। ফিটিং দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর ফারুককে। কিন্তু ফারুক তার ফাঁদে পা দেয়নি। কোন সুবিধা করতে না পেয়ে নিজের ছেলেকেই ১ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী করেন। তার ছেলেকে বসিয়ে দিতে কোন প্রার্থী আর্থিক সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব না করায় মাঠে নামেন কোমর বেধে। নিজের ছেলেকেই কাউন্সিলর বানাবেন এই ইচ্ছায় তার কিছু জনবিচ্ছিন্ন নেতা নিয়ে নেমে পড়েন প্রচার প্রচারণা ও গণসংযোগে। বড় বড় মিছিল করে নিজের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মিছিলে বহিরাগত লোক আর শিশু কিশোর দেখে লোকজন হাসা হাসি করলেও মজিবুর রহমান ওয়ার্ডবাসীর মনের ইচ্ছা বুঝতে পারেননি। যার উত্তর তিনে পেয়েছেন ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনি ফলাফল ঘোষনার পর। মজিবুর রহমানের ছেলে বিজয়ের দ্বারে কাছেও যেতে পারেনি। এই ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন চুনা ব্যবসায়ী আনোয়ার ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আব্দুর রহিম।