নারায়ণগঞ্জ ০৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া মাহফিল সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্রদলের মিছিলে রিফাতের চমক সিদ্ধিরগঞ্জে সৃষ্টি যুব সংসদের উদ্যোগে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া সিদ্ধিরগঞ্জে সন্ত্রাস চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ আজাদের নির্দেশে কালাপাহাড়িয়ায় বিএনপির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর সোনারগাঁওয়ে গণিত অলিম্পিয়াড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জমকালো আয়োজনে সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রি-পেইড মিটার বাতিল চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম সিদ্ধিরগঞ্জের বিক্ষুব্দ গ্রাহকদের

সিদ্ধিরগঞ্জে ওসির চ্যালেঞ্জ পাত্তা দেয়নি চাঁদাবাজরা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১৯৭ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে ফুটপাত নিয়ে ওসি মশিউর রহমানের চ্যালেঞ্জ পাত্তা দেয়নি চাঁদাবাজরা। মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে সরকারি জায়গায় হয় ফুটপাত থাকবে না হয় আমি থাকব এমন চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ ডিসেম্বর উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ছিলেন ওসি মশিউর রহমান। কিন্তু একদিন পরই আবার সকল ফুটপাত দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে রিপন ও জামাল।
অভিযোগ জানা গেছে, বিগত দুই বছর ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণপাশে বাইবাস সড়ক দখল করে ফুটপাত দোকান বসিয়ে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে আসছে রিপন ওরফে মুরগি রিপন ও জামাল। চাঁদাবাজির অভিযোগে রিপনকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব-১১। কিন্তু তার চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। গত অক্টোবর মাসে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ সকল ফুটপাথ উচ্ছেদ করে বাইপাস সড়কটি দখলমুক্ত করে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করেন। উচ্ছেদের প্রতিবাদে হকাররা বিক্ষোভ মিছিল করে হকার নেতা সেলিম রেজা ও চাঁদাবাজ জামালসহ তিনজনকে আটক করে হাইওয়ে পুলিশ। তবে দুইজনকে ছেড়ে দিয়ে সেলিম রেজার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। তার পরও উচ্ছেদকৃত সরকারি জায়গা ও বাইপাস সরকটি বেশিদিন দখল মুক্ত রাখতে পারেননি পুলিশ। গত এক ডিসেম্বর থেকে আবার ফুটপাথ বসায় রিপন ও জামাল।
ফুটপাত ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সওজ ও পুলিশ ম্যানেজ করার কথা বলে রিপন ও জামাল প্রতি দোকান থেকে ৫ হাজার টাকা করে এককালিন ১৫ লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে আর উচ্ছেদ হবেনা নিশ্চয়তা দিয়ে দোকান বসায়। প্রতি দোকান থেকে দৈনিক ২০০ টাকা করে চাঁদা নেয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ম্যানেজ করার কথা বলে। আড়াই শতাধিক দোকান থেকে দৈনিক ২০০ টাকা করে চাঁদার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা। মাসে হয় ১৫ লাখ টাকা।
এবিষয়ে রিপন ও জামাল বলে বেড়ায়, মাসে দেড় লাখ টাকা হাইওয়ে পুলিশ, ৫০ হাজার টাকা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান ও দৈনিক থানার টহল পুলিশকে ২ হাজার টাকা করে দিয়ে ম্যানেজ করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় রাজতৈনিক দলের নেতাদের ভাগ দিতে হচ্ছে।

দুই চাঁদাবাজের বক্তব্যের বরাত দিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে গত ২০ ও ২১ ডিসেম্বর দুইদিন ব্যপী উচ্ছেদ অভিযান চালায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান। এসময় গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে তিনি মাসোহারা নেয়ার কথা অস্বীকার করে চ্যালেঞ্জ করেন, সরকারি জায়গায় কোন ফুটপাত থাকবেনা। তবে নিরব ভূমিকা পালন করছেন নারায়ণগঞ্জ সওজ ও হাইওয়ে পুলিশ। ওসির চ্যালেঞ্জ পাত্তা না দিয়ে আবার ফুচপাত গড়ে উঠায় সচেতন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা মনে করছেন ফুটপাত বসিয়ে ওসিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করছে চাঁদাবাজরা।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমানের চ্যালেঞ্জ পাত্তা না দিয়ে ফের ফুটপাত বসানো বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মশিউর রহমান বলেন, পুলিশ ইউপি নির্বাচনের দায়িত্বে থাকার সুযোগে চাঁদাবাজরা আবার ফুটপাত বসিয়েছে। নির্বাচনের পরই দ্রুত ব্যবস্থা নিব। আমি আমার চ্যালেঞ্জ বহাল রাখব। কিছুতেই ফুটপাত বসিয়ে চাঁদাবাজি করতে দিবনা।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া মাহফিল

সিদ্ধিরগঞ্জে ওসির চ্যালেঞ্জ পাত্তা দেয়নি চাঁদাবাজরা

আপডেট সময় : ১১:১৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে ফুটপাত নিয়ে ওসি মশিউর রহমানের চ্যালেঞ্জ পাত্তা দেয়নি চাঁদাবাজরা। মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে সরকারি জায়গায় হয় ফুটপাত থাকবে না হয় আমি থাকব এমন চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ ডিসেম্বর উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ছিলেন ওসি মশিউর রহমান। কিন্তু একদিন পরই আবার সকল ফুটপাত দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে রিপন ও জামাল।
অভিযোগ জানা গেছে, বিগত দুই বছর ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণপাশে বাইবাস সড়ক দখল করে ফুটপাত দোকান বসিয়ে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে আসছে রিপন ওরফে মুরগি রিপন ও জামাল। চাঁদাবাজির অভিযোগে রিপনকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব-১১। কিন্তু তার চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। গত অক্টোবর মাসে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ সকল ফুটপাথ উচ্ছেদ করে বাইপাস সড়কটি দখলমুক্ত করে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করেন। উচ্ছেদের প্রতিবাদে হকাররা বিক্ষোভ মিছিল করে হকার নেতা সেলিম রেজা ও চাঁদাবাজ জামালসহ তিনজনকে আটক করে হাইওয়ে পুলিশ। তবে দুইজনকে ছেড়ে দিয়ে সেলিম রেজার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। তার পরও উচ্ছেদকৃত সরকারি জায়গা ও বাইপাস সরকটি বেশিদিন দখল মুক্ত রাখতে পারেননি পুলিশ। গত এক ডিসেম্বর থেকে আবার ফুটপাথ বসায় রিপন ও জামাল।
ফুটপাত ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সওজ ও পুলিশ ম্যানেজ করার কথা বলে রিপন ও জামাল প্রতি দোকান থেকে ৫ হাজার টাকা করে এককালিন ১৫ লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে আর উচ্ছেদ হবেনা নিশ্চয়তা দিয়ে দোকান বসায়। প্রতি দোকান থেকে দৈনিক ২০০ টাকা করে চাঁদা নেয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ম্যানেজ করার কথা বলে। আড়াই শতাধিক দোকান থেকে দৈনিক ২০০ টাকা করে চাঁদার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা। মাসে হয় ১৫ লাখ টাকা।
এবিষয়ে রিপন ও জামাল বলে বেড়ায়, মাসে দেড় লাখ টাকা হাইওয়ে পুলিশ, ৫০ হাজার টাকা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান ও দৈনিক থানার টহল পুলিশকে ২ হাজার টাকা করে দিয়ে ম্যানেজ করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় রাজতৈনিক দলের নেতাদের ভাগ দিতে হচ্ছে।

দুই চাঁদাবাজের বক্তব্যের বরাত দিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে গত ২০ ও ২১ ডিসেম্বর দুইদিন ব্যপী উচ্ছেদ অভিযান চালায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান। এসময় গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে তিনি মাসোহারা নেয়ার কথা অস্বীকার করে চ্যালেঞ্জ করেন, সরকারি জায়গায় কোন ফুটপাত থাকবেনা। তবে নিরব ভূমিকা পালন করছেন নারায়ণগঞ্জ সওজ ও হাইওয়ে পুলিশ। ওসির চ্যালেঞ্জ পাত্তা না দিয়ে আবার ফুচপাত গড়ে উঠায় সচেতন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা মনে করছেন ফুটপাত বসিয়ে ওসিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করছে চাঁদাবাজরা।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমানের চ্যালেঞ্জ পাত্তা না দিয়ে ফের ফুটপাত বসানো বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মশিউর রহমান বলেন, পুলিশ ইউপি নির্বাচনের দায়িত্বে থাকার সুযোগে চাঁদাবাজরা আবার ফুটপাত বসিয়েছে। নির্বাচনের পরই দ্রুত ব্যবস্থা নিব। আমি আমার চ্যালেঞ্জ বহাল রাখব। কিছুতেই ফুটপাত বসিয়ে চাঁদাবাজি করতে দিবনা।