শিমরাইল মোড়ের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ওসি মশিউরের চ্যালেঞ্জ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে সরকারি জমি দখল করে গড়ে উঠা ফটপাত থাকবেনা বলে চ্যালেঞ্জ করেছেন ওসি মশিউর রহমান। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে উচ্ছেদ অভিযান শেষে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, হয় ফুটপাত থাকবে না হয় আমি থাকব। ফুটপাত চাঁদাবাজদের উদ্দেশ্যে ওমি মশিউর রহমানের এই চ্যালেঞ্জ শেষপর্যন্ত ঠিকবে কিনা তা দেখার অপেক্ষায় স্থানীয়রা।
জানা গেছে, চাঁদাবাজ রিপন ওরফে মুরগি রিপন ও জামাল ১৫ লাখ টাকায় ম্যানেজ করে শিমরাইল মোড় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণপাশে রেন্ট-একার স্ট্যান্ড থেকে হাজী আহসান উল্লাহ সুপার মার্কেট পর্যন্ত আড়াই শতাধিক ফুটপাত দোকান বসিয়েছে। প্রতিটি দোকান থেকে দৈনিক ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে রিপন ও জামাল। নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা, হাইওয়ে ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে ফুটপাত বসিয়েছে এবং দৈনিক আদায়কৃত চাঁদা থেকে মাসে হাইওয়ে পুলিশকে দেড়লাখ, থানা পুলিশকে ১ লাখ ২০ হাজার, ও সওজ কর্মকর্তাদের ১ লাখ টাকা মাসোহারা দেয় বলে রিপন বলে বেড়ায়।
জানতে চাইলে রিপন বলেন, হাইওয়ে পুুলিশ উচ্ছেদ করার পর দুই মাস পর্যন্ত কোন ফুটপাত বসতে দেয়নি। তখন চারজন সংবাদকর্মীর আশ্বাসে হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করার জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সাড়ে ৯ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। তা থেকে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেই চারজন সংবাদকর্মীকে, ৩০ হাজার র‌্যাব-১১ ও ২০ হাজার টাকা দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিকে মুরগি কিনে দেই। বাকী টাকা অন্যান্য খাতে ব্যয় হয়।

এবিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত টিআই মশিউর রহমান, সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী ইকবাল ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান উৎকোচ গ্রহণের সত্যতা স্বীকার করেননি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

শিমরাইল মোড়ের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ওসি মশিউরের চ্যালেঞ্জ

আপডেট সময় : ১২:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে সরকারি জমি দখল করে গড়ে উঠা ফটপাত থাকবেনা বলে চ্যালেঞ্জ করেছেন ওসি মশিউর রহমান। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে উচ্ছেদ অভিযান শেষে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, হয় ফুটপাত থাকবে না হয় আমি থাকব। ফুটপাত চাঁদাবাজদের উদ্দেশ্যে ওমি মশিউর রহমানের এই চ্যালেঞ্জ শেষপর্যন্ত ঠিকবে কিনা তা দেখার অপেক্ষায় স্থানীয়রা।
জানা গেছে, চাঁদাবাজ রিপন ওরফে মুরগি রিপন ও জামাল ১৫ লাখ টাকায় ম্যানেজ করে শিমরাইল মোড় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণপাশে রেন্ট-একার স্ট্যান্ড থেকে হাজী আহসান উল্লাহ সুপার মার্কেট পর্যন্ত আড়াই শতাধিক ফুটপাত দোকান বসিয়েছে। প্রতিটি দোকান থেকে দৈনিক ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে রিপন ও জামাল। নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা, হাইওয়ে ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে ফুটপাত বসিয়েছে এবং দৈনিক আদায়কৃত চাঁদা থেকে মাসে হাইওয়ে পুলিশকে দেড়লাখ, থানা পুলিশকে ১ লাখ ২০ হাজার, ও সওজ কর্মকর্তাদের ১ লাখ টাকা মাসোহারা দেয় বলে রিপন বলে বেড়ায়।
জানতে চাইলে রিপন বলেন, হাইওয়ে পুুলিশ উচ্ছেদ করার পর দুই মাস পর্যন্ত কোন ফুটপাত বসতে দেয়নি। তখন চারজন সংবাদকর্মীর আশ্বাসে হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করার জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সাড়ে ৯ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। তা থেকে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেই চারজন সংবাদকর্মীকে, ৩০ হাজার র‌্যাব-১১ ও ২০ হাজার টাকা দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিকে মুরগি কিনে দেই। বাকী টাকা অন্যান্য খাতে ব্যয় হয়।

এবিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত টিআই মশিউর রহমান, সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী ইকবাল ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান উৎকোচ গ্রহণের সত্যতা স্বীকার করেননি।