নারায়ণগঞ্জ ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে অপকর্ম চাঁদাবাজি সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও সাবেক সেনা পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ

সিদ্ধিরগঞ্জে স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে স্বামী ও ভাসরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা। গত শনিবার রাতে শাশুড়ি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলো- গোদনাইল এসও মন্ডলপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের ছেলে মো: তরিকুল ইসলাম পলাশ (১৮) ও মো: জাহিদুল ইসলাম (২৬)।
মালার বাদী সুমিলপাড়া এলাকার হারুর রশিদের স্ত্রী নূর নাহার বেগম (৪৩)।
জানা গেছে, বাদীর মেয়ে জান্নাতুল আক্তার (১৪) এর সঙ্গে ছয় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তরিকুল ইসলাম পলাশ। সেসুবাধে তারা গত মে মাসের ২৪ তারিখ পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য ও দুই লাখ টাকা ওয়াশিল দিয়ে গোপনে বিয়ে করে। মামলায় মেয়ের বয়স ১৪ উল্লেখ করা হলেও কাবিন নামায় ১৮ দেখানো হয়েছে। আড়াইহাজার থানার কাজী ইউনুস আলী বিয়ে রেজিষ্ট্রি করেন। বিয়ের পর তরিকুল স্ত্রীকে নিজ বাড়ীতে না নিয়ে শশুর বাড়ীতে রাখেন। বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের পরিবার জানতেন। তাই তরিকুল শশুর বাড়ীতেই স্ত্রীর সঙ্গে মাঝে মাঝে রাত খাটাত। তবে জানতেন না তরিকুলের পরিবার।
তরিকুল ইসলাম পলাশের পিতা নাসিক ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মন্ডল জানান, ছেলে মেয়ের প্রেম ও বিয়ের বিষয়টি আমি জানতাম না। পরে দেখি কাবিনে ছেলে মেয়ের প্রাপ্ত বয়স উল্লেখ করা হলেও প্রকৃত পক্ষে তারা দুইজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। দেশের প্রচলিত আইনে ১৪ বছরের মেয়ের বিয়ে বাল্যবিয়ের অপরাধে পড়ে। আমি একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হয়ে বাল্য বিয়ে সমর্থন করতে পারিনা। তাই ছেলে মেয়েরা না বুঝে যে ভুল করেছে তার একটি সামাধানের জন্য গত ২৭ আগস্ট উভয় পরিবার বৈঠকে বসি। আমি আইন অনুযায়ী সামাধানের সম্মতি জানালেও মেয়ের পরিবার একটি মহলের ইন্দনে আমার দুই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করে। তবে আমার বড় ছেলেকে মামলার আসামি করা ষড়যন্ত্রমূলক।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, প্রেমের সুবাধে গত ১৮ মে তরিকুল জান্নাতুলের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়। তখন থেকে জান্নাতুল বিশ্বাস করে তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের কথা বলেই বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে। সর্ব শেষ গত ২৩ আগস্ট ভোরে বাদীর নিজ বাড়ীতে জান্নাতুলকে ধর্ষণ করে। তখন কবে উঠিয়ে নিবে জিজ্ঞাসা করলে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে উঠিয়ে নেবার আশ্বাস দিয়ে তরিকুল চলে যায়। পরে পরিবারের কূ-পরামর্শে বিয়ের কথা অস্বীকার করে। তরিকুলের বড় ভাই জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি এই বিয়ে কিছুতেই মেনে নিবেন না বলে হুমকি দেয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে অপকর্ম চাঁদাবাজি

সিদ্ধিরগঞ্জে স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

আপডেট সময় : ১১:১৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে স্বামী ও ভাসরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা। গত শনিবার রাতে শাশুড়ি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলো- গোদনাইল এসও মন্ডলপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের ছেলে মো: তরিকুল ইসলাম পলাশ (১৮) ও মো: জাহিদুল ইসলাম (২৬)।
মালার বাদী সুমিলপাড়া এলাকার হারুর রশিদের স্ত্রী নূর নাহার বেগম (৪৩)।
জানা গেছে, বাদীর মেয়ে জান্নাতুল আক্তার (১৪) এর সঙ্গে ছয় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তরিকুল ইসলাম পলাশ। সেসুবাধে তারা গত মে মাসের ২৪ তারিখ পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য ও দুই লাখ টাকা ওয়াশিল দিয়ে গোপনে বিয়ে করে। মামলায় মেয়ের বয়স ১৪ উল্লেখ করা হলেও কাবিন নামায় ১৮ দেখানো হয়েছে। আড়াইহাজার থানার কাজী ইউনুস আলী বিয়ে রেজিষ্ট্রি করেন। বিয়ের পর তরিকুল স্ত্রীকে নিজ বাড়ীতে না নিয়ে শশুর বাড়ীতে রাখেন। বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের পরিবার জানতেন। তাই তরিকুল শশুর বাড়ীতেই স্ত্রীর সঙ্গে মাঝে মাঝে রাত খাটাত। তবে জানতেন না তরিকুলের পরিবার।
তরিকুল ইসলাম পলাশের পিতা নাসিক ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মন্ডল জানান, ছেলে মেয়ের প্রেম ও বিয়ের বিষয়টি আমি জানতাম না। পরে দেখি কাবিনে ছেলে মেয়ের প্রাপ্ত বয়স উল্লেখ করা হলেও প্রকৃত পক্ষে তারা দুইজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। দেশের প্রচলিত আইনে ১৪ বছরের মেয়ের বিয়ে বাল্যবিয়ের অপরাধে পড়ে। আমি একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হয়ে বাল্য বিয়ে সমর্থন করতে পারিনা। তাই ছেলে মেয়েরা না বুঝে যে ভুল করেছে তার একটি সামাধানের জন্য গত ২৭ আগস্ট উভয় পরিবার বৈঠকে বসি। আমি আইন অনুযায়ী সামাধানের সম্মতি জানালেও মেয়ের পরিবার একটি মহলের ইন্দনে আমার দুই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করে। তবে আমার বড় ছেলেকে মামলার আসামি করা ষড়যন্ত্রমূলক।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, প্রেমের সুবাধে গত ১৮ মে তরিকুল জান্নাতুলের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়। তখন থেকে জান্নাতুল বিশ্বাস করে তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের কথা বলেই বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে। সর্ব শেষ গত ২৩ আগস্ট ভোরে বাদীর নিজ বাড়ীতে জান্নাতুলকে ধর্ষণ করে। তখন কবে উঠিয়ে নিবে জিজ্ঞাসা করলে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে উঠিয়ে নেবার আশ্বাস দিয়ে তরিকুল চলে যায়। পরে পরিবারের কূ-পরামর্শে বিয়ের কথা অস্বীকার করে। তরিকুলের বড় ভাই জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি এই বিয়ে কিছুতেই মেনে নিবেন না বলে হুমকি দেয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।