স্টাফ রিপোর্টার :
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রামণ বিস্তার ঠেকাতে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে লকডাউনের চতুর্থদিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাটারী চালিত থ্রি হুইলার,অটোরিকশা, ইজিবাইক,মিশুক সহ আটোগাড়ী মহাসড়ক দখল করে অহরহ চলাচল করছে ।
এতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশংঙ্কা রয়েছে। দ্রুত ব্যাটারী চালিত অটোগাড়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী সচেতন নাগরিক আবুল হোসেন বিশ্বাস।
জানাগেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ বিস্তার রোধে সরকার গত (২৩জুলাই)লকডাউন ঘোষনা করেছেন। এ লকডাউন চলাকালিন সময়ে মহাসড়কে সকল ধরনের পরিবহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।
কিন্তু সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লকডাউনের চতুর্থদিনে সাইনবোর্ড মোড়, সানারপাড় স্টান,মৌচাকে স্থান,চিটাগাংরোড ইউ টার্ন স্টার্ণ,শিমরাইল মোড়,কাচপুর,মদন পুর বাসইসটান,মুগারাপাড়া,মেঘনা ঘাট,তারাবো চৌরাস্তা,রূপসী বাস স্ট্যান্ড,গাউছিয়া মার্কেট,পুরিন্দা বাজার থেকে মহাসড়কে বিভিন্ন যাত্রী বোঝাই করে ব্যাটারী চালিত অটোগাড়ী চলাচল করছে।
এতে বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। কাচপুর হাইওয়ে পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে তারা গাড়ী চালাচ্ছেন। মহাসড়কের পাশে থাকা বিভিন্ন স্টান থেকে সড়কে অন্তত হাজারো অটো গাড়ী চলাচল করছে।
দ্রুত প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রামণ ঠেকাতে অটোগাড়ী চলাচল বন্ধের দাবী জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় ,
সাইনবোর্ড মোড়, সানারপাড় স্টান,মৌচাকে স্থান,চিটাগাংরোড ইউ টার্ন স্টার্ণ,শিমরাইল মোড়,কাচপুর,মদন পুর বাসইসটান,মুরগাপাড়া,মেঘনা ঘাট,তারাবো চৌরাস্তা,রূপসী বাস স্ট্যান্ড,গাউছিয়া মার্কেট,পুরিন্দা বাজার এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ব্যাটারী চালিত অটোগাড়ী অহরহ চলাচল করছে।
যাত্রী খালেক, আয়নাল ও নুরুল ইসলাম বলেন, জরুরী প্রয়োজনে মদনপুর গিয়েছিলাম অটোগাড়ীতে করে আবার কাজ শেষ করে আটোগাড়ীতে চলে আসতে হয়েছে।কিন্তু আটোগাড়ীতে ভাড়া গুনতে হয়েছে তিন গুণ।
সচেতন নাগরিকরা জানান প্রশাসনের সামনে থেকে সাইনবোর্ড মোড় থেকে মেঘনা ঘাট এবং গাউছিয়া পর্যন্ত মহাসড়কে অটোগাড়ী চলাচল করছে। নইলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে যাবে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন,মহাসড়কে অটো গাড়ী চলাচল বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।