সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আইলপাড়া এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল আলী ফকির এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। ২০১০ সালের ২৫ জুলাই না ফেরার দেশে চলে গেছেন। বিগত ১৯১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আলোকিত এই মানুষটি পৃথিবীতে আসেন। পিতা মাতার আদর্শে বাস্তবতার নিরিখে ছোট বেলা থেকেই সহজ ও সরলতায় মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। মানুষের বিপদ-আপদে সব সময় এগিয়ে গিয়েছেন আব্দুল আলী ফকির। মানুষের হৃদয় জয় করে সমাজকর্মী হিসেবে যথেষ্ট কাজ করেছেন তাঁর নিজ এলাকায় ও প্বার্শবর্তী অন্যান্য এলাকাতে। তরুন বয়সেই মানুষের আস্থার প্রতিক হিসেবে ছিলেন আব্দুল আলী ফকির। যদিও তিনি সামাজিক কাজে অনেক বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন, তারপরও থেমে থাকেন-নি তিনি। পরিবার পরিজনকে যেভাবে তিনি ভালোবাসতেন একই ভাবে সাধারণ মানুষকেও তিনি ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ রাখতেন। এলাকায় পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও রাস্তার কাজ সহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নে আব্দুল আলী ফকির এর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। একনিষ্ঠ সমাজসেবক মানব দরদী আবদুল আলী ফকির শুধু একটি নামই নয়- একটি ইতিহাস ও ঐতিহ্য। তার পরিশ্রমের ফসল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডের নতুন আইলপাড়া এলাকার জনসাধারণ রাস্তা, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস পেয়ে আজ সুফল ভোগ করছে। এই কীর্তিমান গুণী ব্যাক্তিটি কেবল সমাজসেবকই ছিলেন না, তিনি মানুষকে আলোকিত করার লক্ষ্যে যথেষ্ট কাজ করেছেন। আজ তিনি মানুষের মাঝে নেই কিন্তু তার অবদান তাকে জাগিয়ে তুলছে। তাইতো তারই স্মরনে গড়ে উঠেছে আব্দুল আলী ফকির স্মৃতি সংসদ।
সংগঠনটির মূল শ্লোগান হচ্ছে ” সমাজ প্রেমের মৃত্যু নাই – সমাজ প্রেমিকের মৃত্যু নাই “। প্রতিষ্ঠাতা প্রধান গোলাম মোস্তফা সাচ্ বলেন আব্দুল আলী ফকির স্বশরীরে নেই কিন্তু তাঁর কর্মই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তিনি আলোকজ্জ্বল হয়ে থাকবেন সকলের মাঝে অনন্তকাল।
মরহুম আব্দুল আলী ফকির এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৫ জুলাই রবিবার আসর পূর্ব
সংগঠনের প্রধান সম্বনয়ক গোলাম মোস্তফা সাচ্ এর নেতৃত্বে পাঠানটুলী কবরস্থানে মরহুমের সমাধিতে পুস্পার্পন এবং দোয়া মোনাজাত করা হয়, এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক যুবনেতা মাইন উদ্দিন বারী, এ সি আই শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মঈন উদ্দিন চিস্তী , স্মৃতি সংসদের সম্বনয়ক মোঃ বাহার উদ্দিন, আব্দুল মোতালেব,আব্দুর রশিদ, আব্দুল জব্বার, গোলাম মর্তূজা আকাশ, পাবেল , আয়াত উর রশিদ প্রমুখ। এরপর বাদ আসর আইলপাড়া জামে মসজিদ , নতুন আইলপাড়া জামে মসজিদ এবং গোরস্থান জামে মসজিদে