নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং সমাজ কল্যাণ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জাবেদকে চাঁদা না দেয়ায় একটি পরিবারকে একঘড়ে করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ভোক্তভূগী পরিবার জেলা পুলিশ সুপার ও র্যাব-১১ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। উল্টো আরো বেকায়দায় পড়েছে বলে অভিযোগ জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আটি হাউজিং এলাকায় মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মো: পারভেজ সরকার পাঁচ কাঠা জমি কিনে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করে। হাইজিং সোসাইটির দাবি অনুযায়ী গ্যাস, বিদ্যুৎ সংযোগ চার্জ প্রদান করার পরও অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বাড়ীর ডিস, ইন্টারনেট লাইন কেটে ফেলার পাশাপাশি নির্ধারিত মাসিক ফি দেওয়ার পরও ময়লা অপসারণ বন্ধ করে একঘড়ে করে রাখে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ কাজ চলাকালিন ভবন ভাঙার ভয় দেখিয়ে জাবেদ দুই লাখ টাকা চাঁদা নেয়। গত এগারো জুলাই বাড়ীতে সাবমারসিবল পাম্প বসানোর সময় সন্ধ্যায় জাবেদ ও বাবুর নেতৃত্বে একদল লোক বাড়ীতে গিয়ে তাদের অনুমতি ছাড়া পাম্প বসানোর কারণে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও পিটিয়ে হাত পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়। তাদের কথা না শোনলে বাড়ীর বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন ও চলাচেলর রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে।
ভোক্তভূগী পারভেজ সরকার জানায়, হাউজিং এলাকায় কেহ জমি কিনে বাড়ী নির্মাণ করলে সোসাইটির নেতাদেরকে চাঁদা দিতে হয়। অন্যথায় শুরু হয় বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতন।
অভিযুক্ত জাবেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি চাঁদা দাবির অভিযোগ আস্বীকার করেন।
হাউজিং সোসাইটির সভাপতি নাসিক ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ লাইন সংক্রান্ত বিষয়ে আশপাশের লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতি পারভেজ সরকারকে সোসাইটির কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল। কিন্ত তিনি আসেননি।
জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পাঠানো হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমানের সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে ওসি তদন্ত সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযোগটি এখনো পাইনি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।