নারায়ণগঞ্জ ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

সিদ্ধিরগঞ্জে ভূল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হাসপাতাল ভাঙচুর

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতাল ঘেরাউ, ভঙচুর করে অভিযুক্ত চিকিৎসকসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে নিহতের স্বজনরা। গত শুক্রবার রাত আটটায় আদমজী নতুন বাজার এলাকায় আলিফ জেনারেল হাসপাতালে এঘটনা ঘটে। এর আগেও এ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে এসব ঘটনা ধামা চাপা দেয় কর্তৃপক্ষ।

নিহতের নাম ছায়েদ আলি (৪৯)। তিনি সুমিলপাড়া এলাকার মো: সাইজুদ্দিনের ছেলে। আটক চিকিৎসকের নাম মশিউর রহমান।

নিহতের ছেলে জাহিদ জানায়, সন্ধ্যা সাতটার দিকে হঠাৎ তার বাবার বুকে ব্যাথা শুরু হলে আলিফ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার মশিউর রহমান তাৎক্ষনিক বাবাকে বেডে নিয়ে সেলাইন পুশ করে। কিছুক্ষন পর সেলাইনের সরঙ্গ তিনটি ইনজেকশন দেন। তখনই বাবার খিচুনি উঠে মারা যায়। মুত্যু গোপন রেখে ডাক্তার মশিউর রহমান বাবাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়ে ডাক্তার মশিউর হাসপাতালের একটি কক্ষে লোকিয়ে থাকেন।

জানা গেছে, ছায়েদ আলির মৃত্যুর খবর পেয়ে তার আত্মীয় স্বজনরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের ওপর চড়াও হন। পরে হাসপাতালের বেশ কয়েকটি কক্ষের দরজার ও তালা ভেঙে অভিযুক্ত ডাক্তারকে আটক করেন।

এখবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি (অপারেশন) আবু বক্কর সিদ্দিকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অভিযুক্ত ডাক্তারসহ তিন জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানান,অভিযুক্ত ডাক্তারসহ তিন জনকে আটক করা হলেও ভোক্তভূগী পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজি না হওযায় শনিবার দুপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিকারণে অভিযোগ করা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা আমার জানা নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে দুই পক্ষের মধ্যে মিমাংসা হয়েছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

সিদ্ধিরগঞ্জে ভূল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হাসপাতাল ভাঙচুর

আপডেট সময় : ১১:৩৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতাল ঘেরাউ, ভঙচুর করে অভিযুক্ত চিকিৎসকসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে নিহতের স্বজনরা। গত শুক্রবার রাত আটটায় আদমজী নতুন বাজার এলাকায় আলিফ জেনারেল হাসপাতালে এঘটনা ঘটে। এর আগেও এ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে এসব ঘটনা ধামা চাপা দেয় কর্তৃপক্ষ।

নিহতের নাম ছায়েদ আলি (৪৯)। তিনি সুমিলপাড়া এলাকার মো: সাইজুদ্দিনের ছেলে। আটক চিকিৎসকের নাম মশিউর রহমান।

নিহতের ছেলে জাহিদ জানায়, সন্ধ্যা সাতটার দিকে হঠাৎ তার বাবার বুকে ব্যাথা শুরু হলে আলিফ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার মশিউর রহমান তাৎক্ষনিক বাবাকে বেডে নিয়ে সেলাইন পুশ করে। কিছুক্ষন পর সেলাইনের সরঙ্গ তিনটি ইনজেকশন দেন। তখনই বাবার খিচুনি উঠে মারা যায়। মুত্যু গোপন রেখে ডাক্তার মশিউর রহমান বাবাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়ে ডাক্তার মশিউর হাসপাতালের একটি কক্ষে লোকিয়ে থাকেন।

জানা গেছে, ছায়েদ আলির মৃত্যুর খবর পেয়ে তার আত্মীয় স্বজনরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের ওপর চড়াও হন। পরে হাসপাতালের বেশ কয়েকটি কক্ষের দরজার ও তালা ভেঙে অভিযুক্ত ডাক্তারকে আটক করেন।

এখবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি (অপারেশন) আবু বক্কর সিদ্দিকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অভিযুক্ত ডাক্তারসহ তিন জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানান,অভিযুক্ত ডাক্তারসহ তিন জনকে আটক করা হলেও ভোক্তভূগী পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজি না হওযায় শনিবার দুপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিকারণে অভিযোগ করা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা আমার জানা নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে দুই পক্ষের মধ্যে মিমাংসা হয়েছে।