নারায়ণগঞ্জ ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর সোনারগাঁওয়ে গণিত অলিম্পিয়াড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জমকালো আয়োজনে সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রি-পেইড মিটার বাতিল চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম সিদ্ধিরগঞ্জের বিক্ষুব্দ গ্রাহকদের সিদ্ধিরগঞ্জের মামলার ফাঁদে চুনা কারখানা মালিকরা আড়াইহাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর উদ্ধোধন চাঁদপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আড়াইহাজারে নৈরাজ্য, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিএনপির শান্তি সমাবেশ যৌথবাহিনীর অভিযান: আড়াইহাজারে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে চুনা কারখানা দখল করতে মালিককে হুমকি

বালু সংরক্ষন রাখার ডোবায় পরে শিশুর মৃত্যু

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৬:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জে ১০ নং ওয়ার্ডে ড্রেজারের বালু সংরক্ষন করতে তৈরী করা একটি কৃত্রিম ডোবায় পড়ে হৃদয় নামে ৬ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ২ নং ঢাকেশ্বরী রেইলাইনের পাশের দ্বিতীয় মাঠে কৃত্রিমভাবে তৈরী করা ডোবায়। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটলেও জানাজানি হয় রাতে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলছেন হৃদয়কে ভূত-পেত্নী থাপ্পর দিয়েছে তার গালে পাঁচ আংগুলের চড়ের দাগও রয়েছে। এরপর থেকেই এলাকাবাসীর মধ্যে ওই ডোবা নিয়ে আতংক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।এলাকাবাসীর অভিযোগ রাস্তা তৈরীর অজুহাতে বানিজ্যিকভাবে এ ডোবা তৈরী করা হয়। এদিকে ছেলেকে হারিয়ে মা পাগল প্রায়। ছেলের শোকে তিনি বিছানায় পড়ে আছেন। ৩ ভাই ২ বোন, হৃদয় ছিলো সবার ছোট। নিহত হৃদয় নোয়াখালী জেলার মাইজদি থানার পুর্ব মাজরা গ্রামের কাশেম মিয়ার ছেলে। গোদনাইল ভুইয়াপাড়া এলাকায় শাজাহান মিয়াঁর ভাড়াটিয়া বাড়িতে পরিবারের সাথে থাকতো। জানা গেছে, ২ নং ঢাকেশ্বরী রেইলাইন থেকে শুরু করে পাঠানতলী জৈনপুরী মাওলানা বাড়ি পর্যন্ত একটি রাস্তার মেরামত কাজের জন্য বালু স্তুপ করে রাখা হয়েছে। আর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ড্রেজার এর পাইপ দিয়ে বালু আনার জন্য ২ নং ঢাকেশ্বরী রেইলাইন সংলগ্ন মাঠের একপাশে বিশাল করে একটি ডোবা কাটা হয়। যেখানে পাইপ দিয়ে বালু এনে এই ডোবার মধ্যে প্রথমে সংরক্ষর করা হয়।

ঘটনার দিন বিকেলে ওই ডোবার মধ্যে নেমে শিশুরা খেলাধুলা করছিলো। হঠাৎ ড্রেজারের পাইপের পানি ও বালুর চাপে হৃদয় তলিয়ে যায়। হৃদয়ের মা তাকে খুঁজতে এসে ডোবার পাশে তার সেন্ডেল ও গেঞ্জি পেলেও তাকে খুঁজে পাননি। তিনি অনেককে ডোবায় নেমে তার ছেলেকে খুঁজে বের করতে বললেও কেউ এগিয়ে আসনেনি। দীর্ঘ সময় পরে হৃদয়ের বাবা কাশেম এসে ওই ডোবায় নেমে হৃদয়কে উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতলে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। পরে রাতেই হৃদয়কে পাঠানতলি কবরস্থানে দাফন করেন।

এদিকে এ ঘটনার খবর গণমাধ্যমের কর্মীরা রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখতে পান মাঠের মধ্যে বালুর বিশাল ৩ টি স্তুপ ও অসংখ ড্রেজারের পাইপ মওজুদ রয়েছে। কিন্তু শনিবার দুপুরে ঘটনাটির আদ্যোপাান্ত জানতে ফের গণমাধ্যমের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর

বালু সংরক্ষন রাখার ডোবায় পরে শিশুর মৃত্যু

আপডেট সময় : ১০:৫৬:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জে ১০ নং ওয়ার্ডে ড্রেজারের বালু সংরক্ষন করতে তৈরী করা একটি কৃত্রিম ডোবায় পড়ে হৃদয় নামে ৬ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ২ নং ঢাকেশ্বরী রেইলাইনের পাশের দ্বিতীয় মাঠে কৃত্রিমভাবে তৈরী করা ডোবায়। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটলেও জানাজানি হয় রাতে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলছেন হৃদয়কে ভূত-পেত্নী থাপ্পর দিয়েছে তার গালে পাঁচ আংগুলের চড়ের দাগও রয়েছে। এরপর থেকেই এলাকাবাসীর মধ্যে ওই ডোবা নিয়ে আতংক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।এলাকাবাসীর অভিযোগ রাস্তা তৈরীর অজুহাতে বানিজ্যিকভাবে এ ডোবা তৈরী করা হয়। এদিকে ছেলেকে হারিয়ে মা পাগল প্রায়। ছেলের শোকে তিনি বিছানায় পড়ে আছেন। ৩ ভাই ২ বোন, হৃদয় ছিলো সবার ছোট। নিহত হৃদয় নোয়াখালী জেলার মাইজদি থানার পুর্ব মাজরা গ্রামের কাশেম মিয়ার ছেলে। গোদনাইল ভুইয়াপাড়া এলাকায় শাজাহান মিয়াঁর ভাড়াটিয়া বাড়িতে পরিবারের সাথে থাকতো। জানা গেছে, ২ নং ঢাকেশ্বরী রেইলাইন থেকে শুরু করে পাঠানতলী জৈনপুরী মাওলানা বাড়ি পর্যন্ত একটি রাস্তার মেরামত কাজের জন্য বালু স্তুপ করে রাখা হয়েছে। আর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ড্রেজার এর পাইপ দিয়ে বালু আনার জন্য ২ নং ঢাকেশ্বরী রেইলাইন সংলগ্ন মাঠের একপাশে বিশাল করে একটি ডোবা কাটা হয়। যেখানে পাইপ দিয়ে বালু এনে এই ডোবার মধ্যে প্রথমে সংরক্ষর করা হয়।

ঘটনার দিন বিকেলে ওই ডোবার মধ্যে নেমে শিশুরা খেলাধুলা করছিলো। হঠাৎ ড্রেজারের পাইপের পানি ও বালুর চাপে হৃদয় তলিয়ে যায়। হৃদয়ের মা তাকে খুঁজতে এসে ডোবার পাশে তার সেন্ডেল ও গেঞ্জি পেলেও তাকে খুঁজে পাননি। তিনি অনেককে ডোবায় নেমে তার ছেলেকে খুঁজে বের করতে বললেও কেউ এগিয়ে আসনেনি। দীর্ঘ সময় পরে হৃদয়ের বাবা কাশেম এসে ওই ডোবায় নেমে হৃদয়কে উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতলে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। পরে রাতেই হৃদয়কে পাঠানতলি কবরস্থানে দাফন করেন।

এদিকে এ ঘটনার খবর গণমাধ্যমের কর্মীরা রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখতে পান মাঠের মধ্যে বালুর বিশাল ৩ টি স্তুপ ও অসংখ ড্রেজারের পাইপ মওজুদ রয়েছে। কিন্তু শনিবার দুপুরে ঘটনাটির আদ্যোপাান্ত জানতে ফের গণমাধ্যমের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান।