নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জে ১০ নং ওয়ার্ডে ড্রেজারের বালু সংরক্ষন করতে তৈরী করা একটি কৃত্রিম ডোবায় পড়ে হৃদয় নামে ৬ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ২ নং ঢাকেশ্বরী রেইলাইনের পাশের দ্বিতীয় মাঠে কৃত্রিমভাবে তৈরী করা ডোবায়। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটলেও জানাজানি হয় রাতে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলছেন হৃদয়কে ভূত-পেত্নী থাপ্পর দিয়েছে তার গালে পাঁচ আংগুলের চড়ের দাগও রয়েছে। এরপর থেকেই এলাকাবাসীর মধ্যে ওই ডোবা নিয়ে আতংক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।এলাকাবাসীর অভিযোগ রাস্তা তৈরীর অজুহাতে বানিজ্যিকভাবে এ ডোবা তৈরী করা হয়। এদিকে ছেলেকে হারিয়ে মা পাগল প্রায়। ছেলের শোকে তিনি বিছানায় পড়ে আছেন। ৩ ভাই ২ বোন, হৃদয় ছিলো সবার ছোট। নিহত হৃদয় নোয়াখালী জেলার মাইজদি থানার পুর্ব মাজরা গ্রামের কাশেম মিয়ার ছেলে। গোদনাইল ভুইয়াপাড়া এলাকায় শাজাহান মিয়াঁর ভাড়াটিয়া বাড়িতে পরিবারের সাথে থাকতো। জানা গেছে, ২ নং ঢাকেশ্বরী রেইলাইন থেকে শুরু করে পাঠানতলী জৈনপুরী মাওলানা বাড়ি পর্যন্ত একটি রাস্তার মেরামত কাজের জন্য বালু স্তুপ করে রাখা হয়েছে। আর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ড্রেজার এর পাইপ দিয়ে বালু আনার জন্য ২ নং ঢাকেশ্বরী রেইলাইন সংলগ্ন মাঠের একপাশে বিশাল করে একটি ডোবা কাটা হয়। যেখানে পাইপ দিয়ে বালু এনে এই ডোবার মধ্যে প্রথমে সংরক্ষর করা হয়।
ঘটনার দিন বিকেলে ওই ডোবার মধ্যে নেমে শিশুরা খেলাধুলা করছিলো। হঠাৎ ড্রেজারের পাইপের পানি ও বালুর চাপে হৃদয় তলিয়ে যায়। হৃদয়ের মা তাকে খুঁজতে এসে ডোবার পাশে তার সেন্ডেল ও গেঞ্জি পেলেও তাকে খুঁজে পাননি। তিনি অনেককে ডোবায় নেমে তার ছেলেকে খুঁজে বের করতে বললেও কেউ এগিয়ে আসনেনি। দীর্ঘ সময় পরে হৃদয়ের বাবা কাশেম এসে ওই ডোবায় নেমে হৃদয়কে উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতলে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। পরে রাতেই হৃদয়কে পাঠানতলি কবরস্থানে দাফন করেন।
এদিকে এ ঘটনার খবর গণমাধ্যমের কর্মীরা রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখতে পান মাঠের মধ্যে বালুর বিশাল ৩ টি স্তুপ ও অসংখ ড্রেজারের পাইপ মওজুদ রয়েছে। কিন্তু শনিবার দুপুরে ঘটনাটির আদ্যোপাান্ত জানতে ফের গণমাধ্যমের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান।